কেন ‘বাবা’ দত্তক নিলেন সুপারস্টার রজনীকান্ত?
অসম্ভবকে সম্ভব করার আরেক নাম রজনীকান্ত। তাঁর সাম্প্রতিকতম ‘মহাকীর্তি’ হল, তাঁর ছবি ‘কাবালি’ মুক্তির দিন চেন্নাই, বেঙ্গালুরু আর মেঙ্গালুরের একাধিক অফিসে ছুটি ঘোষণা করা হয়।
সম্প্রতি তাঁর আর একটি ‘মহাকীর্তি’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে উঠেছে। এক বৃদ্ধের সঙ্গে দক্ষিণী সুপারস্টারের ছবি জুড়ে লেখা হয়েছে একটা ছোট্ট মেসেজ— ‘মিট দ্য রিচেষ্ট ম্যান অন আর্থ’। ব্যপারটা কী!
কিছুদিন আগে এক পঁচাত্তর বছরের বৃদ্ধকে ‘বাবা’ হিসেবে দত্তক নেন থালাইভা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ছবির বৃদ্ধ আসলে সুপারস্টার রজনীর দত্তক-পিতা। আপনি হয়তো অবাক হচ্ছেন, লোকে সন্তান দত্তক নেন আর সুপারস্টার রজনী দত্তক নিলেন বাবা! হ্যাঁ, এই ধরনের ব্যাতিক্রমী কাজ রজনীকান্তের পক্ষেই সম্ভব! কিন্তু পঁচাত্তর বছরের বৃদ্ধকে ‘বাবা’ হিসেবে দত্তক নেওয়ার কারণ শুনলে হয়তো আপনি আরও অবাক হবেন।
বছর পঁচাত্তরের এই বৃদ্ধের নাম কল্যান সুন্দরম। দীর্ঘ ৩০ বছর তিনি চেন্নাইয়ে লাইব্রেরিয়ানের কাজ করেছেন। কর্মজীবনের সমস্ত উপার্জন তিনি নিয়মিত গরীব, অসহায় মানুষদের দান করে দিয়েছেন। নিজের মাইনের সবটুকু যদি তিনি দানই করে থাকেন তাহলে তাঁর নিজের দিন গুজারন হত কি ভাবে! নিজের দু’বেলার অন্ন সংস্থানের জন্য ছুটির পর তিনি একটি হোটেলে কাজ করতেন। নিজের একশো শতাংশ মাইনে দিয়েই তিনি থেমে থাকেননি। অবসরের পর পাওয়া দশ লক্ষ টাকাও তিনি দান করে দেন। অবাক হচ্ছেন! এখনও শেষ হয়নি। তাঁর আজীবন সেবামূলক কাজ এবং দানধ্যানের জন্য তাঁকে ‘ম্যান অফ দ্য মিলেনিয়াম’ সম্মানে সম্মানিত করে একটি সংস্থা। পুরষ্কারমূল্য বাবদ তাঁকে দেওয়া হয় ৩০ কোটি টাকা! পুরষ্কারমূল্যের এই ৩০ কোটি টাকাও অবলীলায় দান করে দেন এই বৃদ্ধ।
No comments: