বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, গুলশান-শোলাকিয়াসহ সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সব সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িত ও মদদদাতাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। চিহ্নিত এই মদদদাতাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আজ (শনিবার) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, ‘চিহ্নিত হলেও আরো অধিকতর তদন্তের স্বার্থে এখনই সেসব প্রকাশ করা যাচ্ছে না।’
আবারো জঙ্গি বিরোধী সাঁড়াশি অভিযান চালানো হবে কী না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যে কোনো সময়ই যে কোনো রকম অভিযান চালানো দরকার হলে আমরা চালাবো। এখনো অভিযান চলছে। যখন প্রয়োজন হবে আমরা ঘোষণা দিয়ে অভিযান চালাবো যখন প্রয়োজন হবে ঘোষণা না দিয়ে অভিযান চালাবো।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়াসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা দরকার।’ তাদের কাছে ঠিক কোন কোন ক্ষেত্রে সহযোগিতা চাওয়া হবে তা নির্ধারণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ওদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, রাজধানীর গুলশান রেঁস্তোরায় হামলার ঘটনা নিয়ে গণস্বাস্থ্য বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. জাফরউল্লার বক্তব্য জঙ্গিবাদে মদদের শামিল।
সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবে এক গোলটেবিল বৈঠকে জাফরউল্লা চৌধুরী বলেছেন- বনানীর ওসি কেন গুলশানের ঘটনায় আগে গিয়েছে?
শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে গুলশান হামলার বিষয় ব্যাখ্যা করতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যারা জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, গুলশানের ঘটনার মামলার সার্বিক অগ্রগতি ভালো। মূলত তদন্তে অনেক এগিয়েছি। তদন্তের খাতিরেই বিস্তারিত কিছু বলছি না এখনই। তবে পুলিশ নিয়ে কিছু মন্তব্য হচ্ছে, যা জঙ্গিবাদে মদদের শামিল।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, শুধু ১০-১২ জন জঙ্গি ধরেই জঙ্গিবাদ ধ্বংস হবে না। এর মূলোৎপাটন করতে হবে। তাই পুলিশ তথ্যভিত্তিক কাজ করছে। গুলশানে যারা হামলায় ছিলেন তারা সবাই বাংলাদেশি কিন্তু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্র এর সঙ্গে জড়িত বলে স্পষ্ট করে বলেছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।#
No comments: