আলুর ভিটামিন ‘এ’ চোখের জন্য ভীষণ উপকারী।
আলুর ভিটামিন ‘এ’ চোখের জন্য ভীষণ উপকারী।
প্লেটে চলছে রোজার মাস। ইফতারের অতি পরিচিত একটি খাবার আলুর চপ। আলু যথেষ্ট ক্যালরিসম্পন্ন সবজি। মানুষকে কাজ করার শক্তি জোগায় প্রচুর পরিমাণে। এতে কার্বোহাইড্রেড বা শর্করাজাতীয় খাদ্য উপাদান রয়েছে প্রচুর, যা মানুষকে করে শক্তিশালী। সাহায্য করে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে। কিছু কিছু খাবার রয়েছে, যাদের পুষ্টিগুলো দেহে শক্তি হিসেবে সঞ্চিত থাকে। আলুর পুষ্টি আমাদের শরীরে স্টার্চ নামক খাদ্য উপাদান হিসেবে সঞ্চিত থাকে, যা শরীরে জোগায় শক্তি, বাড়ায় কাজ করার ক্ষমতা।
আলুর ভিটামিন ‘এ’ চোখের জন্য ভীষণ উপকারী। অকালে চোখে ছানি পড়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া রোধ করে আলু। শিশুদের জন্য চাল, ডাল, আলু, মিষ্টি কুমড়ার খিচুড়ি যথেষ্ট পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার।
আলুকে বলা হয় চিনিসমৃদ্ধ সবজি। ভীষণ দ্রুত রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়ায়। খুব তাড়াতাড়ি মস্তিষ্কে গ্লুকোজ সরবরাহ করতে সাহায্য করে। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে কাজ করলে রক্তে চিনির পরিমাণ কমে যায় এই অবস্থাকে বলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া।
এমন অবস্থায় আলু দিয়ে তৈরি তরকারি, মিষ্টিজাতীয় খাবার বা আলু দিয়ে তৈরি কোনো খাবার খেলে দ্রুত রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়বে। আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে চিনি। অধিক ওজনবিশিষ্ট ব্যক্তিরা আলু যত বেশি পরিহার করতে পারে, ততই ভালো। কারণ, আলু ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। যাদের রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস বা অস্টিও আথ্রাইটিস রয়েছে, তারা আলু খাবে বিবেচনা করে। কারণ, আথ্রাইটিস একধরনের বাতের ব্যথা, যাতে দেহের ওজন ও রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে গেলে কষ্টও বেড়ে যায়।
বাড়ন্ত শিশু, অতিরিক্ত দৈহিক পরিশ্রম করে এমন মানুষের জন্য আলু উপযুক্ত খাবার। কিন্তু যাদের ডায়াবেটিস, হাইব্লাডপ্রেশার, হাইকোলস্টেরল (রক্তে চর্বি বা ফ্যাটের পরিমাণ বেড়ে যায়) রয়েছে তাদের আলু পরিহার করতে হবে। আর এই সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে থাকলে আলু খাওয়া যাবে পরিমাণমতো। গর্ভাবস্থায় হাইব্লাডপ্রেশার বা ডায়াবেটিস থাকলে পরে হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি (যদি সঠিকভাবে সুষম খাবার খাওয়া না হয় ও ওজন নিয়ন্ত্রণে না থাকে)।
তাই গর্ভাবস্থায় সমস্যা থাকলে পরবর্তী সময়ে আলু খাবার ব্যাপারে সচেতন হোন। এতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়ামও রয়েছে পর্যাপ্ত হারে, যা হাড়, দাঁত, নখ, চুলকে করে মজবুত। ইফতারে আলুর চপ থাকলে তা যত কম তেল-মসলা দিয়ে খাওয়া যায় ততই ভালো।
No comments: