Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » যে খাবার “কাঁচা” খাওয়া ভাল।। ১০ উপকার নিয়মিত ঢ্যাঁড়শ খাওয়ার!





 যে খাবার “কাঁচা” খাওয়া ভাল।।
 ১০ উপকার নিয়মিত ঢ্যাঁড়শ খাওয়ার!
 

 কিছু সবজি এবং ফল আছে যা আমরা কাঁচা খেতে পারি, আবার রান্না করেও খেতে পারি। তবে রান্না করে খাওয়ার চেয়ে এই খাবারগুলো কাঁচা খাওয়া স্বাস্থ্যকর। কেক, ফাস্ট ফুড খাওয়ার চেয়ে ফল বেশি খাওয়া স্বাস্থ্য এর জন্য উপকারী তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু এই স্বাস্থ্যকর ফল এবং সবজিগুলো কাঁচা খাওয়া অধিক উপকার বয়ে আনবে স্বাস্থ্যের জন্য। এমন কিছু খাবারের নাম নিয়ে আজকের এই ফিচার।

১। বিট

লাল রঙের এই সবজটি ফাইবার, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বিতে ভরপুর।এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, রক্তচাপ হ্রাস করে, কাজে শক্তি প্রদান করে থাকে। এমনকি এটি ক্যান্সার প্রতিরোধেও বেশ কার্যকর। এই সবজিটি রান্না করা হলে এর ২৫% পুষ্টিগুণ কমে যায়। সালাদ হিসেবে কাঁচা খেতে পারেন এই সবজিটি।

২। ব্রকলি

এই সবজিটি  বেশির ভাগ মানুষ রান্না করে খায়। অথচ Journal of Agricultural and Food Chemistry গবেষণায় দেখেছে যে, যারা কাঁচা ব্রকলি খান তারা দ্রুত এর পুষ্টিগুণ লাভ করতে পারে যারা রান্না করে ব্রকলি খান তাদের থেকে। সালাদ অথবা সিদ্ধ করে ব্রকলি খেতে পারেন।

৩। লাল ক্যাপসিকাম

লাল ক্যাপসিকাম ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি সবজি। প্রতিদিনের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করতে পারে একটি মাত্র লাল ক্যাপসিকাম। ভিটামিন সি ছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ই এবং ম্যাগনেসিয়াম। আপনি এটি অল্প আঁচে রান্না করতে পারেন। কিন্তু ১৯০ ডিগ্রী তাপমাত্রায় রান্না করলে এর ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যাবে।

৪। নারকেল

নারকেল নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। নারকেল দিয়ে বিভিন্ন খাবার তৈরি করা হয়। তবে এটি কাঁচা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। নারকেল রান্না করা হলে এর পুষ্টিগুণ সব নষ্ট হয়ে যায়।

৫। বাদাম

আপনি হয়তো ভাজা বাদাম খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু রান্না করার ফলে বাদামের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। ভাজার কারণে এতে ক্যালরি এবং ফ্যাটযুক্ত হয় আর ম্যাগনাসিয়াম এবং আয়রন কমে যায়।

৬। পেঁয়াজ

রান্নার সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদান হল পেঁয়াজ। পেঁয়াজ সাধারণত রান্না করে খাওয়া হয়। Cornell University study এর মতে কাঁচা পেঁয়াজ ফুসফুস ক্যান্সার, প্রসোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। শুধু কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করতে ভুলবেন না।

৭। রসুন

এক গবেষণায় দেখা গেছে রসুন রান্না করা হলে এর অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরী উপাদান কমে যায়। সপ্তাহে দুই তিনবার খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি ক্যান্সার, হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করার পাশাপাশি ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করবে।





 ১০ উপকার নিয়মিত ঢ্যাঁড়শ খাওয়ার!


ঢ্যাঁড়শ নামের এই সবজিটি অনেকেরই অপছন্দের একটি খাবার। জোর করে না খাওয়ালে বাচ্চাদের ঢ্যাঁড়শ খাওয়ানো যায় না। বড়রাও অনেকে ঢ্যাঁড়শ একেবারেই পছন্দ করেন না। কিন্তু অনেকেই জানে না  ঢ্যাঁড়শ স্বাস্থ্যের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ? নিয়মিত ঢ্যাঁড়শ খাওয়ার অভ্যাস প্রত্যেককে প্রায় ১০ ধরণের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত রাখতে সক্ষম।
১) ঢ্যাঁড়শ দেহে লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে। এতে করে অ্যানিমিয়া অর্থাৎ রক্তস্বল্পতা দূর করে। অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে নিয়মিত ঢ্যাঁড়শ খাওয়া উচিত।
২) ঢ্যাঁড়শের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোষের মিউটেশন প্রতিরোধ করে এবং ক্ষতিকর ফ্রি ব়্যাডিকেল দূর করে। এতে করে দেহে ক্যান্সারের কোষ জন্মাতে পারে না। নিয়মিত ঢ্যাঁড়শ খাওয়ার অভ্যাস ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে।
৩) ঢ্যাঁড়শের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফোলায়েট৷ যা হাড়ের গঠন মজবুত করে এবং হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৪) ঢ্যাঁড়শের ভিটামিন সি ও এ অ্যাজমার প্রকোপ কমায় এবং অ্যাজমা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
৫) ঢ্যাঁড়শে রয়েছে স্যালুবল ফাইবার৷ যা দেহের খারাপ কোলেস্টরল কমাতে বিশেষভাবে কার্যকরী। এতে করে কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যা ও হৃদপিণ্ডের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৬) ঢ্যাঁড়শের ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খাদ্যতালিকায় রাখুন ঢ্যাঁড়শ।
৭) ঢ্যাঁড়শে ইনসুলিনের মতো উপাদান রয়েছে৷ যা রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে করে ডায়বেটিসের সমস্যা দূরে থাকে।
৮) ঢ্যাঁড়শের ভিটামিন ‘এ’ এবং সি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়৷ এতে করে নানা ধরণের ছোটোখাটো ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ দূর করা সম্ভব হয়।
৯) গর্ভধারণের নানা সমস্যা ও গর্ভকালীন সময়ে ফেটুসের নিউরাল টিউব ডিফেক্ট দূর করতে ঢ্যাঁড়শ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
১০) ঢ্যাঁড়শে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, লুটেইন ও বেটা ক্যারোটিন৷ যা মানবশরীরে দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রক্ষা করে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply