ভারতের লক্ষনৌতে শিয়া মুসলমানদের ডা. জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।
ভারতের লক্ষনৌতে শিয়া মুসলমানদের পক্ষ থেকে মহারাষ্ট্রের ধর্মপ্রচারক ডা. জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।
শনিবার বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড এবং ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি তার কুশপুত্তলিকা পোড়ান। শিয়া সম্প্রদায় আয়োজিত ওই বিক্ষোভ প্রদর্শনের ব্যানারে জাকির নায়েকসহ হাফিজ সাঈদ এবং আইএসআইএল প্রধান আবুবকর আল বাগদাদির ছবি দেয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ওই ব্যানারে এদের প্রত্যেকের গলায় ফাঁসির দড়ি ঝোলানো অবস্থায় দেখানো হয়েছে। তারা জাকির নায়েকের ফাঁসি দেয়ার দাবিতে স্লোগান দেন।
শিয়া ন্যাশনাল ফ্রন্টের মহাসচিব মাওলানা ইউসুব আব্বাস বলেন, জাকির নায়েকের ভারতীয় নাগরিকতা বাতিল করে তার বক্তব্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে জাকির নায়েকের অর্থের উৎস নিয়ে তদন্তের দাবি জানান।
মাওলানা ইউসুব বলেন, জাকির নায়েককে কারা কারা ফান্ড দিচ্ছে এবং তার কাছে কত সম্পত্তি রয়েছে তার সিবিআই তদন্ত করতে হবে। তিনি জাকির নায়েকের পিস টিভি এবং তার সংস্থা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারিসহ তার বক্তব্যের সিডি পরীক্ষা করার দাবিও তুলেছেন।
অন্যদিকে, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ডের সিনিয়র সদস্য মাওলানা খালিদ রশিদ ফিরঙ্গি মাহলি জাকির নায়েককে কেন্দ্র করে উদ্ভূত ঘটনাকে ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এক ব্যক্তি যার ১.৪ কোটি ফলোয়ার্সের মধ্যে কয়েকজন সন্ত্রাসী হয়েছে, এজন্য তাকে কীভাবে দায়ী করা যায়? এটা সম্পূর্ণ অবিচার।’
তিনি বলেন, ‘নায়েকের বিরুদ্ধে তদন্তকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু যেভাবে তদন্ত রিপোর্ট আসার আগেই জাকির নায়েকের চরিত্র হনন করা হচ্ছে তাকে কীভাবে বৈধতা দেয়া যেতে পারে?’
প্রখ্যাত ইসলামী গবেষণা প্রতিষ্ঠান দারুল মুসান্নেফিন শিবলি একাডেমীর নির্দেশক অধ্যাপক ইশতিয়াক আহমদ জিল্লি বলেন, ‘দেশের আইনকানুনের মধ্যে থেকে প্রত্যেক ব্যক্তির কথা বলার অধিকার রয়েছে।’ যেকোনো বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে গণমাধ্যম বিচারকের ভূমিকায় চলে আসছে, এ ধরণের আদালত বসানো ঠিক নয় বলেও মন্তব্য করেন অধ্যাপক ইশতিয়াক আহমদ জিল্লি।#
No comments: