তুরস্কের শহরগুলোর রাস্তায় রাস্তায় মানুষ
আঙ্কারায় সমবেত জনতা
আঙ্কারা - ইস্তানবুলের মত প্রধান শহরগুলোতে তুর্কী জনতা জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তায় নেমে গান গেয়ে সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করে।
সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে ইস্তানবুলের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে।
তাদের বক্তব্য একটাই- কিছুতেই দেশ কিংবা গণতন্ত্র সামরিক সদস্যদের হস্তগত হতে দেয়া যাবে না।
রাজধানীয় আঙ্কারায় পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এর্দোয়ান সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন ।
তিনি সামরিক অভ্যুত্থান চেষ্টার ষড়যন্ত্রের জন্য নির্বাসিত ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে অভিযুক্ত করেন এবং তাকে তুরস্কের কাছে প্রত্যর্পণ করতে আমেরিকান কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
“মিস্টার এর্দোয়ান এখানে বলছিলেন, যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র আমাদের কৌশলগত বন্ধু রাষ্ট্র, সুতরাং তারা নিশ্চয়ই পেনসিলভানিয়া থেকে তাকে তুরস্কের কাছে হস্তান্তর করবে”।
প্রেসিডেন্টের প্রতি সমর্থন
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় বসবাসরত মিস্টার গুলেন কোনও ধরনের সামরিক অভ্যুত্থানের সাথে তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন।
তুরস্ক থেকে স্থানীয় সাংবাদিক সরওয়ার আলম বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন আবারও বিদ্রোহের চেষ্টা হতে পারে এমন আশংকাতেই সরকারের পক্ষ থেকে মানুষকে রাস্তায় নেমে আসতে বলা হচ্ছে বলছেন অনেকে।
আর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, মিস্টার গুলেনকে তুরস্কের কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি বিবেচনায় আনতে হলে, তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ দেখাতে হবে ।
তিনি আরও বলেন, অভ্যুত্থান চেষ্টার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা কোনও ধরনের অভিযোগ নেটো সহযোগী রাষ্ট্র দুটোর সু-সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তুরস্কের এই সংকটময় মুহূর্তে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে এমন যেকোনো ধরনের কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকতে এবং আইনের শাসন মেনে চলতে দেশটির সব দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তুরস্কের সামরিক হেলিকপ্টার আশ্রয় নিয়েছে গ্রিসে, ৮ জনকে আটক
গ্রিসে অবতরণ করা তুর্কি হেলিকপ্টার
তুরস্কের একটি ব্ল্যাক হক সামরিক হেলিকপ্টার গ্রিসের উত্তরাঞ্চলে অবতরণ করেছে। তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর হেলিকপ্টারের আট ক্রু গ্রিসে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ার আবেদন জানিয়েছে। তবে গ্রিস সরকার তাদের সবাইকে আটক করেছে বলে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছে।
গ্রিসের আলেকজান্দ্রুপোলি বিমানবন্দরে গতকাল (শনিবার) দুপুরের দিকে তুরস্কের ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টারটি নামে। এর আগে হেলিকপ্টার থেকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বিপদ সংকেত দেয়া হয়। গ্রিসের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।
গ্রিসের ইআরটি টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, হেলিকপ্টারের আরোহীদের মধ্যে সাতজনের পরণে সামরিক পোষাক ছিল। ধারণা করা হচ্ছে এরা সবাই প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের বিরুদ্ধে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে জড়িত ছিল।
বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তুর্কি সেনারা তাদের পোষাক থেকে সামরিক ব্যাজ খুলে ফেলে দেয়। ফলে তাদের পদবি শনাক্ত করা কষ্টকর হয়েছে তবে এথেন্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, আশ্রয়প্রার্থী লোকজন মেজর, ক্যাপ্টেন ও সার্জেন্ট পর্যায়ের এবং একজন বেসামরিক ব্যক্তি।
এদিকে, অবৈধভাবে গ্রিসে ঢোকার অপরাধে দেশটির পুলিশ এসব আশ্রয়প্রার্থীকে আটক করেছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে গ্রিস সরকারের মুখপাত্র ওলগা গেরোভাসিলি জানিয়েছেন।#
No comments: