১৯ ঘণ্টা পর মিরপুরের ড্রেন থেকে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
১৯ ঘণ্টা পর মিরপুরের ড্রেন থেকে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
জুনায়েদ হোসেন সাব্বিরের ফাইল ফটো
রাজধানীর মিরপুর কমার্স কলেজের পেছনে নর্দমায় পড়ে যাওয়া জুনায়েদ হোসেন সাব্বিরের (৪) লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা। নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১৯ ঘণ্টা পর তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আজ শুক্রবার বেলা ১০টা ৫০ এ ওই নালার মধ্যে একটি ময়লার স্তুপ পরিষ্কার করার পর জুনায়েদের লাশ পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই সাব্বিরকে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পরিবারের সন্দেহ হয় বাড়ির সামনে ড্রেনে সাব্বির পড়ে গেছে। রাত ১০ টায় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়ার পর ড্রেনে তল্লাশি চালানো হয়। রাত ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান না পেয়ে উদ্ধারকাজ স্থগিত করে ডুবুরিরা। আজ সকাল পৌনে ৯টার দিকে পুনরায় সাব্বিরকে খুঁজতে উদ্ধারকাজ শুরু করে ৮ সদস্যের ডুবুরিরা। এরপর নর্দমা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ড্রেনটি মিরপুর-১ এর রূপালি হাউজিংয়ের পাশ দিয়ে রূপনগর হাউজিং হয়ে তুরাগ নদীতে গিয়ে মিশেছে। ড্রেনের প্রশস্ত ছয় ফুট। শিশুটি পরিবারের সঙ্গে ওই রূপালি হাউজিংয়ের একটি টিনশেড ঘরে থাকত। গতকাল দুপুর তিনটা থেকে নিখোঁজ ছিল সাব্বির। সে ওই লাইনে পড়ে গেছে কিনা তা নিশ্চিত হতে পারেনি। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করা হয়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশকে জানায় পরিবার।
সাব্বির লাশ উদ্ধারের পর সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার স্বজনেরা। এ সময় বাবা আমির হোসেন মূর্ছা যান। তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সাব্বিরের বাবার নাম আমির হোসেন একজন লেগুনা চালক। তাদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর। তারা রূপালী হাউজিং ৩ নাম্বার রোডের ৩৩ নাম্বার বাসায় ভাড়া থাকেন।
এর আগে গত ১৩ জুলাই বিকেলে প্রতিবেশী এক শিশুর সঙ্গে খেলা করতে গিয়ে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালের পাশে নর্দমায় পড়ে যায় শিশু সানজিদা খাতুন (৫)। পরের দিন তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা।#
No comments: