সারাবছর উল্টোপাল্টা খাবার দাবার খেয়ে স্বাস্থ্য নষ্ট করে দেহে বিশেষ করে পেটে অতরিক্ত মেদ জমিয়ে ফেলার মত মানুষ অনেক আছেন এখানে।
হেলদি হওয়ার আশা করাটা দোষের না, কিন্তু আমি আপনি, আমরা সবাই আসলে কিন্তু জানি, সঠিক ডায়েট এবং এক্সারসাইজ ছাড়া আসলে কোন কিছুই কোন রেজাল্ট দেবে না।
উপকরণ
- ১ টা কাঁচের জগ
প্লাস্টিকের বোতলে ডিটক্স ওয়াটার বানাবেন না। ফুড গ্রেড প্লাস্টিক না হলে যেকোনো প্লাস্টিকে দীর্ঘসময় পানি আর ফল সবজি রেখে দেয়া ঠিক না। চেষ্টা করুন অবশ্যই কাঁচের পাত্রে ডিটক্স ওয়াটার তৈরি করতে।
- একটা বড় সাইজের শসা (খোসাসহ, শসা ছিলবেন না)
শসা দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। আর এতে আছে প্রচুর পরিমানে ডায়েটারি ফাইবার
- একটা কমলা।
কমলার খোসায় থাকে ফ্ল্যাভিনয়েড, যা ইমিউন সিস্টেমকে চাঙ্গা রাখে। এটা কোলেস্টেরল লেভেল ও কমায়।
- একটা বড় সাইজের লেবু
লেবুর রস দেহে জমে থাকা টক্সিন দূর করে এবং মেদ কমাতে সাহায্য করে। লেবু বদহজমেও সাহায্য করে।
- একমুঠো পুদিনা পাতা
(যেহেতু পুদিনা পাতা ইউজ করা হচ্ছে তাই কোনভাবেই অন্তঃসত্ত্বা নারীরা এই ড্রিঙ্কটি ট্রাই করবেন না, পুদিনা প্রেগন্যান্ট অবস্থায় খাওয়া বা ইউজ করা ঠিক না)
পুদিনা আমাদের খাবারের ফ্যাটকে দ্রুত ভেঙ্গে ফেলতে সাহায্য করে। এবং এর ব্যবহার এই ডিটক্স ওয়াটারে একটা হাল্কা মিষ্টি টেস্ট নিয়ে আসে। যেটা রোজা মুখে বেশ ভালো লাগে।
কীভাবে বানাবেন?
- শসা গোল চাকা চাকা করে কেটে নিন। একইভাবে কমলাও খোসাসহ গোল চাকা করে কেটে নিন। আবারো বলছি, কমলা বা শসা কোনটারই খোসা ফেলবেন না।
- লেবু খোসাসহ গোল চাকা করে কাটুন
- পুদিনা পাতাগুলো হাত দিয়ে একটু মুচড়ে নিন। এতে খুব জোরালো পুদিনা ফ্লেভার আসে, এটা আমার খুব পছন্দ। আপনার যদি পছন্দ না হয়। পাতা মুচড়ে নেয়ার দরকার নেই।
- সব উপকরণ জগের ভেতরে রাখুন। এবার নরমাল টেম্পারেচারের ১ লিটার পানি ঢেলে দিন জগে।
- এবার জগটা ফ্রিজে রেখে দিন। এটা পান করার জন্য ১২ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখতে হবে। সুতরাং আপনি ইফতার বা সেহরির সময় এক জগ বানিয়ে রেখে দিতে পারেন ফ্রিজে পরদিন ইফতারের সময় থেকে খাওয়া শুরু করবেন। শেষ হয়ে গেলে আবার সেহরির সময় নতুন করে তৈরি করে ফ্রিজে রাখবেন।
- একদিনের ফল এবং সবজি পরের দিন ইউজ করবেন না। একদিনের ওয়াটার শেষ হয়ে গেলে ওগুলো ফেলে দিন। আবার নতুন করে কাটুন।
No comments: