বাংলাদেশে ভারতের সিনেমা প্রদর্শনের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করল আপিল বিভাগ
বাংলাদেশে ভারতের সিনেমা প্রদর্শনের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করল আপিল বিভাগ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতার সিনেমা ‘কেলোর কীর্তি’ বাংলাদেশে প্রদর্শনে হাইকোর্টের দেয়া নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ।
আজ (রোববার) প্রধান বিচারপতিসুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর ফলে বাংলাদেশে এ সিনেমা প্রদর্শনে আর কোনো বাধা রইল না।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।
সাফটা চুক্তিতে আমদানি ও রফতানির যথার্থ নিয়মকানুন না মানার কারণে ‘কেলোর কীর্তি’ সিনেমাটি বাংলাদেশে প্রদর্শনের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত ১৮ জুলাই এস এফ ফিল্মসের প্রযোজক শরীফ হোসেনের পক্ষে একটি রিট আবেদন করা হয়।
আবেদনের শুনানি শেষে ১৯ জুলাই এ সিনেমা প্রদর্শনে ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। পাশাপাশি এই সিনেমা প্রদর্শন করা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেন।
হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আরাধনা এন্টারপ্রাইজ ও রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করলে আজ ওই আদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
কোলকাতার পরিচালক রাজা চন্দ পরিচালিত ‘কেলোর কীর্তি’ সিনেমাটি গত ঈদুল ফিতরে ভারতে মুক্তি পায়। গত ১৯ জুন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আরাধনা এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের প্রযোজক কার্তিক দে বাংলাদেশ থেকে ‘রাজা ৪২০’ ছবি ভারতে রপ্তানি করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘নো অবজেকশন’ সনদ গ্রহণ করেন। কিন্তু এ ছবি ভারতে প্রদর্শন করা হয়েছে এ ধরনের কোনো সনদ ভারত সরকার থেকে দেয়া হয়নি। বরং মাত্র তিনদিন পর ২২ জুন বাংলাদেশে ভারতীয় ছবি ‘কেলোর কীর্তি’ প্রদর্শনের জন্য আমদানি করা হয়।
রিট আবেদনে দাবি করা হয়েছিল, বাংলাদেশের ছবি আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নীতিমালা ২০১৫-২০১৮ অনুযায়ী, বাংলাদেশে ভারতীয় ছবি আমদানি করতে হলে সমান সংখ্যক ছবি রপ্তানি হতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে প্রথমে ছবি রপ্তানি করার পর আমদানি করতে হবে। এছাড়া, বাংলাদেশ থেকে প্রথমে কোনো ছবি রপ্তানি হওয়ার পর ভারতের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে এটি প্রদর্শন হতে হবে। বাংলাদেশের ছবি প্রদর্শিত হয়েছে মর্মে ভারতের সেন্সর বোর্ড ও ফিল্ম বোর্ডের লিখিত সনদ পাওয়ার পর বাংলাদেশে ভারতীয় ছবি আমদানি ও প্রদর্শন করা যাবে। কিন্তু ‘কেলোর কীর্তি’ সিনেমাটির ক্ষেত্রে এ নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি।
রাজা চন্দ পরিচালিত এই ছবি আমদানিকে ঘিরেই আন্দোলনে নেমেছেন ঢাকাইয়া চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মী, শিল্পী ও কলাকুশলীরা। বাংলাদেশের শিল্পী, পরিচালক ও কলাকুশলীরা মনে করছেন- এটা বাংলাদেশের সিনেমা বাজার দখলের একটি ষড়যন্ত্র। পরিচালক সমিতির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।#
Tag: Entertainment
No comments: