জাতীয়করণের নীতিগত অনুমোদন
১৯৯ বেসরকারি কলেজে সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ
দুই দফায় জাতীয়করণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত অনুমোদন পাওয়া ১৯৯ কলেজে সব ধরনের নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। রোববার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে তালিকাভুক্ত কলেজগুলো পরিদর্শন শেষে প্রতিবেদন দাখিল করতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরকে (মাউশি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএস মাহমুদ বলেন, সরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে স্কুল ও কলেজ জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্র“ত বিভিন্ন কলেজও জাতীয়করণের তালিকায় আছে। উপজেলা ক্যাটাগরিতে ১৫৪টি কলেজ জাতীয়করণের জন্য প্রধানমন্ত্রী নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। আর প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্র“ত ৪৫টি কলেজও জাতীয়করণ তালিকায় আছে। আমরা এই ১৯৯টি কলেজ পরিদর্শন করে মাউশিকে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। প্রতিবেদন পেলে প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মাউশি মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. এসএম ওয়াহিদুজ্জামান রোববার রাতে বলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেয়েছি। আশা করছি, এক মাসের মধ্যে কলেজগুলো পরিদর্শন শেষে প্রতিবেদন দিতে পারব।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেদন দাখিলের পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন নেবে।’
এদিকে এক সঙ্গে ১৯৯টি বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণের অনুমোদন পেলেও আরও ১০২টি উপজেলা আছে, যেখানে সরকারি কলেজ নেই। রোববার ১৫৪টি কলেজের জাতীয়করণের খবর প্রকাশের পর যুগান্তরে বিভিন্ন স্থান থেকে টেলিফোনে স্থানীয় জনসাধারণের পক্ষে ক্ষোভ জানানো হয়। টেলিফোন দেয়া মানুষেরা বলেছেন, জাতীয়করণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি নীতিমালা করেছে। কিন্তু তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে তা অনুসরণ করা হয়নি। যে কারণে সরকারি কলেজবিহীন অনেক উপজেলা এই দফায়ও বঞ্চিত হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র অবশ্য বলছে, সারা দেশে মোট ৩২১টি কলেজকে সরকারি করা হবে। বাকিগুলোর কাজ চলছে। মন্ত্রণালয়ে বাকি ১০২টি উপজেলার কলেজের কাজ শেষ হয়নি। আরেকটি সূত্র বলেছে, কলেজ জাতীয়করণের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়েছে। সে তালিকা এখনও আসেনি। এ ছাড়া স্কুল জাতীয়করণের তালিকাও আসেনি।
এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের একজন নীতিনির্ধারকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে সরকারি কলেজবিহীন সব উপজেলায় একটি করে স্কুল ও কলেজ জাতীয়করণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে সাময়িক বিলম্ব হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত অনুমোদন পাওয়া কলেজগুলো : ঢাকার সাভার কলেজ, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর ডিগ্রি কলেজ ও মহাদেবপুর ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজ। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও ডিগ্রি কলেজ ও কদম রসুল কলেজ। রাজবাড়ীর মীর মোশাররফ হোসেন কলেজ ও গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ। মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুরের কেবি ডিগ্রি কলেজ। গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজ ও শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী কলেজ। নরসিংদীর হোসেন আলী কলেজ ও রায়পুরা কলেজ। ময়মনসিংহের ভালুকা ডিগ্রি কলেজ, ধোবাউড়া আদর্শ কলেজ, ত্রিশালের নজরুল কলেজ, হালুয়াঘাট শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ, ঈশ্বরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ। কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ মহাবিদ্যালয়, তাড়াইল মুক্তিযোদ্ধা কলেজ, বাজিতপুর কলেজ ও হোসেনপুর ডিগ্রি কলেজ। নেত্রকোনার আটপাড়ার তেলিগাতী ডিগ্রি কলেজ, দুর্গাপুরের সুসং মহাবিদ্যালয়, বারহাট্টা কলেজ, কৃষ্ণপুর হাজী আলী আকবর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কলমাকান্দা ডিগ্রি কলেজ, কেন্দুয়া ডিগ্রি কলেজ ও পূর্বধলা ডিগ্রি কলেজ। টাঙ্গাইলের কালিহাতির শামসুল হক মহাবিদ্যালয়, সৈয়দ মহব্বত আলী ডিগ্রি কলেজ, জোবেদা রুবেয়া মহিলা কলেজ ও মেহেরুন্নেছা মহিলা কলেজ। চট্টগ্রামের চুনতি মহিলা (ডিগ্রি) কলেজ, সীতাকুণ্ড মহিলা কলেজ, ফটিকছড়ি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, আলাওল ডিগ্রি কলেজ, নিজামপুর ডিগ্রি কলেজ ও রাঙ্গুনিয়া কলেজ। শরীয়তপুরের এমএ রেজা ডিগ্রি কলেজ ও শামসুর রহমান ডিগ্রি কলেজ। কক্সবাজারের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ ও রামু ডিগ্রি কলেজ, কুতুবদিয়া কলেজ, চকরিয়া ডিগ্রি কলেজ, টেকনাফ ডিগ্রি কলেজ ও বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ। জামালপুর একে মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ ও বঙ্গবন্ধু কলেজ। রাঙ্গামাটির কাচালং ডিগ্রি কলেজ, নানিয়াচর কলেজ, কর্ণফুলী ডিগ্রি কলেজ, কাউখালী ডিগ্রি কলেজ ও বাঙ্গালহালিয়া কলেজ।
সুনামগঞ্জের বাদাঘাট ডিগ্রি কলেজ, দিগেন্দ্র বর্মণ ডিগ্রি কলেজ, ছাতক ডিগ্রি কলেজ, দিরাই ডিগ্রি কলেজ, ধর্মপাশা ডিগ্রি কলেজ, দোয়ারাবাজার ডিগ্রি কলেজ, জগন্নাথপুর ডিগ্রি কলেজ, জামালগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, শাল্লা ডিগ্রি কলেজ ও পাগলা মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ।
সিলেটের গোয়াইনঘাট ডিগ্রি কলেজ, ইমরান আহমেদ মহিলা কলেজ, ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, ঢাকা দক্ষিণ ডিগ্রি কলেজ, কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ ও দক্ষিণ সুরমা কলেজ।
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, মাধবপুরের শাহজালাল কলেজ ও বানিয়াচংয়ের জনাব আলী ডিগ্রি কলেজ। মৌলভীবাজারের বড়লেখার নারীশিক্ষা একাডেমি ডিগ্রি কলেজ, কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজ, রাজনগর ডিগ্রি কলেজ, কমলগঞ্জ গণমহাবিদ্যালয় ও জুড়ীর তৈয়বুন্নেসা খানম একাডেমি ডিগ্রি কলেজ।
রাজশাহীর মোহনপুর ডিগ্রি কলেজ, বাঘা শাহদৌলা ডিগ্রি কলেজ, পুঠিয়ার লস্করপুর ডিগ্রি মহাবিদ্যা নিকেতন, পবার নওহাটা মহিলা ডিগ্রি কলেজ, ভবানীগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও সরদাহ মহাবিদ্যালয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর ইউসুফ আলী কলেজ, রহনপুর মহিলা কলেজ ও ভোলাহাট মহিলা কলেজ। নাটোরের বড়াইগ্রাম অনার্স কলেজ, শহীদ নজমুল হক ডিগ্রি কলেজ, বাগভতিপাড়া ডিগ্রি কলেজ ও গোপালপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজ, পানছড়ি ডিগ্রি কলেজ, মহালছড়ি কলেজ, মাটিরাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ, মানিকছড়ি গিরি মৈত্রী ডিগ্রি কলেজ ও গুইমারা কলেজ। বান্দরবানের মাতামুহুরী কলেজ, হাজী এমএ কালাম ডিগ্রি কলেজ ও রুমা সাঙ্গু কলেজ। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী কলেজ ও চর জব্বার ডিগ্রি কলেজ। ফেনীর ইকবাল মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ। লক্ষ্মীপুরের হাজিরহাট উপকূল কলেজ। কুমিল্লার বঙ্গবন্ধু কলেজ, কালিকাপুর আবদুল মতিন খসরু ডিগ্রি কলেজ, চান্দিনা মহিলা ডিগ্রি কলেজ, মানিকারচর বঙ্গবন্ধু কলেজ ও নীলকান্ত ডিগ্রি কলেজ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ, নাসিরনগর মহাবিদ্যালয়, বাঞ্ছারামপুর ডিগ্রি কলেজ ও সরাইল ডিগ্রি কলেজ। চাঁদপুরের কচুয়া বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ, ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ, চেংগারচর ডিগ্রি কলেজ, মতলব ডিগ্রি কলেজ ও হাইমচর মহাবিদ্যালয়।
পাবনার সাঁথিয়া ডিগ্রি কলেজ, বেড়া কলেজ, হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ ও নিজাম উদ্দিন আজগর আলী ডিগ্রি কলেজ। নওগাঁর ধামইরহাট এমএম ডিগ্রি কলেজ, পোরশা ডিগ্রি কলেজ ও শেরেবাংলা মহাবিদ্যালয়। সিরাজগঞ্জের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আইডিয়াল কলেজ, বেলকুচি কলেজ, বেগম নুরুন নাহার তর্কবাগীশ অনার্স কলেজ ও চৌহালী এসবিএম কলেজ। রংপুরের শাহ আবদুর রউফ কলেজ, গংগাচড়া ডিগ্রি কলেজ, হারাগাছা ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়, পায়রাবন্দ বেগম রোকেয়া স্মৃতি ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় ও পীরগাছা কলেজ। বগুড়ার ধুনট ডিগ্রি কলেজ, কাহালু ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় ও সারিয়াকান্দি আবদুল মান্নান মহিলা কলেজ। জয়পুরহাট ছাঈদ আলতাফুন্নেছা কলেজ।
খুলনার শাহপুর মধুগ্রাম কলেজ ও ফুলতলা মহিলা কলেজ। বাগেরহাটের বঙ্গবন্ধু মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মহিলা মহাবিদ্যালয়, শহীদ শেখ আবু নাসের মহিলা ডিগ্রি কলেজ, ফকিরহাট ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় ও রামপাল ডিগ্রি কলেজ। সাতক্ষীরার খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ কলেজ। মাগুরার বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান কলেজ। নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হাবিবুল আলম বীরপ্রতীক মহাবিদ্যালয়। যশোরের নওয়াপাড়া মহাবিদ্যালয়, চৌগাছা ডিগ্রি কলেজ ও শহীদ মশিয়ুুর রহমান ডিগ্রি কলেজ। ঝিনাইদহের মাহতাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ। কুষ্টিয়ার শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ। চুয়াডাঙ্গার জীবননগর আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, বিরামপুর কলেজ, আফতাবগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, সেতাবগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, জয়ানন্দ ডিগ্রি কলেজ ও পার্বতীপুর ডিগ্রি কলেজ। গাইবান্ধার ফুলছড়ি ডিগ্রি কলেজ ও বোনারপাড়া ডিগ্রি কলেজ। কুড়িগ্রামের রাজিবপুর ডিগ্রি কলেজ, চিলমারী ডিগ্রি কলেজ ও নাগেশ্বরী কলেজ। নীলফামারীর জলঢাকা ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় ও ডিমলা মহিলা কলেজ। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ কলেজ, সাদুল্লাপুর ডিগ্রি কলেজ ও সুন্দরগঞ্জ ডি. ডব্লিউ ডিগ্রি কলেজ, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সাইফুর রহমান মহাবিদ্যালয়, ভুরুঙ্গামারী ডিগ্রি কলেজ ও রাজারহাট মহিলা ডিগ্রি কলেজ। লালমনিরহাটের আলিমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজ। ঠাকুরগাঁও সমির উদ্দিন স্মৃতি মহাবিদ্যালয়, রাণীশংকৈল মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও মোসলেম উদ্দিন মহাবিদ্যালয়। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজ, বোদা পাইলট বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ এবং বঙ্গবন্ধু ডাঙ্গিরহাট আদর্শ মহাবিদ্যালয়।
বরিশালের আগৈলঝাড়ার শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রি কলেজ, বাবুগঞ্জের আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজ, উজিরপুরের শেরেবাংলা ডিগ্রি কলেজ। ভোলার তজমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজ, দৌলতখান আবু আবদুল্লাহ কলেজ, বোরহানউদ্দিনের আবদুল জব্বার কলেজ ও মনপুরা ডিগ্রি কলেজ। ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার তফাজ্জল হোসেন (মানিক মিয়া) ডিগ্রি কলেজ, নলছিটি ডিগ্রি কলেজ ও রাজাপুর ডিগ্রি কলেজ। পিরোজপুরের কাউখালী মহাবিদ্যালয় ও নাজিরপুরের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়। পটুয়াখালীর দশমিনার আবদুর রশিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজ, গলাচিপা ডিগ্রি কলেজ, মির্জাগঞ্জের সুবিদখালী ডিগ্রি কলেজ, দুমকির জনতা কলেজ ও রাঙ্গাবলি কলেজ। বরগুনার তালতলী ডিগ্রি কলেজ, পাথরঘাটার হাজী জালাল উদ্দিন মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও বামনা ডিগ্রি কলেজ।
No comments: