ভারতে বাংলাদেশি হিন্দুদের অধিকার নিয়ে সংশয়
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা এসব সিদ্ধান্ত নেয়
বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ভারত সরকার বেশ কিছু নতুন সুযোগ-সুবিধার কথা ঘোষণা করলেও বাংলাদেশি হিন্দুদের তা কতটা কাজে আসবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
তার কারণ, এই সব সুযোগ-সুবিধা তারাই পাবেন যারা দীর্ঘমেয়াদি ভিসা নিয়ে ভারতে বসবাস করছেন – কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের বেশির ভাগেরই বৈধ কাগজপত্রই নেই।
তা ছাড়া ভারতের যে ষোলোটি জেলার জেলা প্রশাসকদের এই সব সুবিধা দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে – তার মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তের কোনও রাজ্যও নেই।
ভারতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিবেশী তিনটি দেশ থেকে আসা হিন্দু-বৌদ্ধ-শিখ-খ্রিষ্টানরা এখন থেকে সহজেই এদেশে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন, প্যান কার্ড বা আধার কার্ডের মতো পরিচয়পত্র পাবেন – এমন কী জমিজমা কিনে নিজের বাড়িও বানাতে পারবেন।
তবে শর্ত একটাই, ভারতে থাকার জন্য তাদের লং টার্ম বা দীর্ঘমেয়াদি ভিসা থাকতে হবে।
আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলছেন, ‘‘বাংলাদেশ-পাকিস্তান-আফগানিস্তানে যারা ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন এবং এখানে দীর্ঘ মেয়াদের ভিসা নিয়ে থাকছেন তাদের এদেশে থাকার ক্ষেত্রে এতদিন নানা রকম অসুবিধা হত। তাদের জীবনযাপনকে সহজ করে তুলতেই ভারত সরকার এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’
কিন্তু এই লং টার্ম ভিসা-র শর্তটাই বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের কার্যত এই সিদ্ধান্তের আওতার বাইরে ঠেলে দিয়েছে।
ভারতে বাংলাদেশি হিন্দুদের অধিকারের দাবি নিয়ে বহুদিন ধরে লড়াই চালাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শুভদীপ রায় – তিনি মনে করছেন এই সিদ্ধান্তটা আসলে মূলত পাকিস্তানি হিন্দু বা আফগান শিখদের কথা মাথায় রেখেই নেওয়া।
‘‘পাকিস্তান সীমান্ত তো সিল করা – ফলে পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকে যারা আসেন তারা কোনও না কোনও পারমিট, বৈধ কাগজপত্র নিয়েই আসেন, এখানে এসে ভিসার মেযাদ বাড়িয়ে নেন। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাপারটা তা নয় – সেখানে শিথিল সীমান্তের সুযোগ নিয়ে বেশির ভাগই বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে ঢোকেন, তাদের ভিসারও কোনও প্রশ্ন ওঠে না। কাজেই এই বাংলাদেশীরা কীভাবে সেই সুযোগ পাবেন?’’ প্রশ্ন তুলছেন শুভদীপ রায়।
মি রায়ের ধারণা, বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের ৯৫ শতাংশেরই এরকম কোনও ভিসা নেই – এবং তারা ভিসা নয়, স্থায়ী নাগরিকত্বই চান। কিন্তু এই বাংলাদেশি হিন্দুদের সংখ্যা ঠিক কত, ভারতের কাছে তেমন কোনও পরিসংখ্যান পর্যন্ত নেই – আর মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত তাদের খুব একটা কাজেও আসবে না।
মন্ত্রিসভায় এই প্রস্তাব অনুমোদনের সময় বাংলাদেশিদের যে মাথায় রাখা হয়নি তার একটা বড় প্রমাণ ভারতের যে সাতটি রাজ্যের ষোলোটি জেলার ডিএম-দের এই সব সুবিধা দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তাতে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয় বা ত্রিপুরার নাম পর্যন্ত নেই।
অর্থাৎ রাজস্থানের যোধপুর, গুজরাটের কচ্ছ বা মহারাষ্ট্রের থানে জেলার ডিএম-রা এই সব আবেদন মঞ্জুর করার ক্ষমতা পাচ্ছেন, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে মুর্শিদাবাদ বা আসামের ধুবড়ির জেলা প্রশাসকরা সেই তালিকায় নেই।
অথচ তার ডিএম-রা যাতে বাংলাদেশিদের নাগরিকত্বের আবেদন মঞ্জুর করতে পারেন মাত্র তিন-চারমাস আগেই কেন্দ্রের কাছে সেই দাবি জানিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে – মিস ব্যানার্জির সেই প্রস্তাবে সাড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি কারণ তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু-মুসলিম সবাইকেই এর আওতায় নিতে চান।
কিন্তু দিল্লিতে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের নীতি হল,
Slider
বিশ্ব
জাতীয়
মেহেরপুর জেলা
গাংনী উপজেলা
মুজিবনগর উপজেলা
ফিচার
খেলা
মেহেরপুর সদর উপজেলা
ছবি
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Home
»
lid news
»
world
» বাংলাদেশের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টানরাই কেবল ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকারী, মুসলিমরা নন।
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: