সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টায় অশান্ত তুরস্ক, মৃত কমপক্ষে ৬০, গ্রেফতার ৩৩৬ জন
ফ্রান্সে নৃশংস হত্যালীলার ধাক্কা কাটতে না কাটতেই, এবার রক্ত ঝরাল তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা। আঙ্কারা, ইস্তানবুল সহ একাধিক জায়গায় দফায় দফায় চলল গুলির লড়াই। বিদ্রোহী সেনার একাংশ। সেনা-পুলিস সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে তুরস্কের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই নিয়োগ করা হয়েছে নতুন সেনাপ্রধান। প্রায় ১৩০ জন আত্মসমর্পণ করেছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় ৩৩৬ জনকে।
ইস্তানবুলে আতাতুর্ক বিমানবন্দর এখন বিদ্রোহীদের দখলে। মূলত বিমানবন্দর সহ শহরের স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্টগুলিকে টার্গেট করছে বিদ্রোহীরা। আঙ্কারায় দেশের সংসদ ভবনের সামনে বিস্ফোরণের খবর মিলেছে। গোপন ঠিকানায় আশ্রয় নিয়েছেন সাংসদরা। ইস্তানবুলের সেন্ট্রাল তাকসিম স্কোয়ারের কাছেও একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গিয়েছে। বেশ কয়েকজন সাধারণ তুরস্কবাসীও প্রাণ খুইয়েছেন বলে খবর। তুরস্কের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের দখল নিয়ে নিয়েছে বিদ্রোহী সেনাগোষ্ঠী। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লাইভ সম্প্রচার। সেনা অভ্যুত্থানের এই চেষ্টার বিরুদ্ধে পথে নেমে বিক্ষোভ-প্রতিবাদে সামিল সাধারণ মানুষ। ইস্তানবুল, আঙ্কারার বহু জায়গা থেকে গণ্ডগোলের খবর মিলেছে।
বিদ্রোহীদের দাবি, দেশের শাসন ক্ষমতা এখন তাঁদেরই হাতে। সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল TRT, যা এখন বিদ্রোহী সেনার দখলে সেখান থেকেই ঘোষণা করা হয়েছে একথা। যদিও সেনা প্রধান কোথায়, তা নিয়ে এখনও ধন্দ কাটেনি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, জেনারেল হুলুসি আকরকে সেনা হেডকোয়ার্টারেই পণবন্দি করে রেখেছে বিদ্রোহীরা। যদিও তুরস্ক প্রেসিডেন্ট তায়িপ এরডোগান দাবি করেছেন, পরিস্থিতি তাঁদের নিয়ন্ত্রণে। যে বিদ্রোহীরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন. তাদের কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারিও শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিমেরও দাবি, দেশে এখনও নির্বাচিত সরকারই ক্ষমতায় রয়েছে। অভ্যুত্থানের চেষ্টা রুখে দেওয়া গিয়েছে। রাজধানী আঙ্কারায় নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করা হয়েছে। বিদ্রোহীদের হাইজ্যাক করা কপ্টার দেখলেই, গুলি করে নামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।অভ্যুত্থান রুখতে সাধারণ মানুষকে পথে নামার আর্জি জানিয়েছেন তুরস্ক প্রেসিডেন্ট।
No comments: