চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় বাউলদের আখড়ায় হামলার ঘটনায় গতরাতে পুলিশ সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আখড়ার মালিক একতারপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে রোববার রাতে অজ্ঞাতনামা সাত-আটজনকে আসামি করে মামলা করেন।
জীবননগর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, মামলা হওয়ার পর ওই রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
দেশব্যাপী কঠোর নিরাপত্তার মাঝে শনিবার মধ্যরাতে জীবননগর উপজেলার একতারপুর গ্রামে সুফী তরিকাপন্থীদের ওই আস্তনায় হামলা চালানো হয়। মুখোশধারী হামলাকারীরা দুই নারী বাউলসহ তিন জন বাউলকে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করেছে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই নারী বাউলকে রাজশাহী নেয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জীবননগর উপজেলার একতারপুর গ্রামে বেশ কিছুদিন ধরে তরিকাপন্থী কিছু বাউল সরকারি খাস জমিতে আস্তানা গড়ে। সেখানেই তারা স্থায়ী বসবাসসহ তরিকার কার্যক্রম চালাতো।
আস্তনার সাধু গুরু মুকুল হোসেন জানান, শনিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধু ভক্তরা এসে গানের অনুষ্ঠান শেষে ওই আস্তনায় ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে ৮/১০ জনের মুখোশধারী একটি দুর্বৃত্তর দল আস্তনায় আকস্মিক হামলা চালায়। এ সময় ঘুমন্ত বাউলদের উপর্যুপুরী কোপাতে থাকে। এতে বাউল রশিদা বেগম (৬০), আব্দুর রহিম (৬৫) ও তাঁর স্ত্রী বুলু বেগমকে (৫০) গুরুতর জখম হয়।
পরে স্থানীয়দের চিৎকারে গ্রামবাসী ছুটে আসলে হামলাকারী দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বাউল ফকির সংঘের সাংগাঠনিক সম্পাদক ফকির রানা মাসুদের অভিযোগ, এটা বিচ্ছিন্ন কোন হামলা নয়। সুফি মতের অনুসারী বাউলদের কণ্ঠরোধ করতেই এই হামলা।
তিনি অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি করে বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার না করা হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।#
No comments: