১৩ জুলাই বাম গণতান্ত্রিক মোর্চার দেশব্যাপী বিক্ষোভ দিবসের ঘোষণা
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা দেশে
ধর্মীয় মৌলবাদ ও রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বাম মোর্চা আজ(রোববার) এক সং বাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়।
গুলশান হত্যাকাণ্ড, শোলাকিয়ায় হামলাসহ সারাদেশে অব্যাহত গুপ্তহত্যা ও বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক, বাসদ(মার্কসবাদী) নেতা কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী বলেন “ধর্মীয় শাসন প্রতিষ্ঠার শ্লোগান তুলে যারা নিরপরাধ মানুষকে খুন করে তারা চূড়ান্ত মানবতাবিরোধী শক্তি। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সাথে এদের কোন সম্পর্ক নেই এবং এদেশের অধিকাংশ মানুষ বরাবরই তাদের প্রত্যাখ্যান করে এসেছে।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয় “ দেশে বর্তমানে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তার দায় মহাজোট সরকার এড়াতে পারে না। এখনো সরকার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত না করে দলীয় স্বার্থে ব্লেম গেইম ও রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের খেলা খেলছে।”
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, “ বাংলাদেশের বর্তমান জঙ্গী উত্থান বিশ্ব পরিস্থিতি থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। সাম্রাজ্যবাদীরাই বিভিন্ন সময় মৌলবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সৃষ্টি করেছে,মদত দিয়েছে, অস্ত্র-প্রশিক্ষণ-অর্থ দিয়েছে। সাম্রাজ্যবাদবিরোধী লড়াই মনে করে এসব সন্ত্রাসী গ্রুপ বাস্তবে জ্ঞাতে-অজ্ঞাতে সাম্রাজ্যবাদীদের পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করছে।”
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, “শাসকগোষ্ঠী সবসময় জঙ্গীবাদের সমস্যা নিজেদের রাজনৈতিক হীন স্বার্থে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে এবং সঠিক সময়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পরিবর্তে একে প্রশ্রয় দিয়েছে। সর্বোপরি, এদেশের শাসকগোষ্ঠী সবসময় নিজেদের গণবিরোধী শাসন আড়াল করতে ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহার করেছে, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়ীকতাকে মদত দিয়েছে, কূপমণ্ডুক মাদ্রাসা শিক্ষার বিস্তার ঘটিয়েছে। অথচ, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ছিল ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র - যেখানে ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে ধর্মীয় মৌলবাদ ও রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিবাদ উভয়ের বিরুদ্ধে শাসকগোষ্ঠী ও কায়েমী স্বার্থের প্রভাবমুক্ত সকল বাম-গণতান্ত্রিক-ধর্মনিরপেক্ষ-অসাম্প্রদায়িক শক্তি ও জনগণের প্রতি আমরা ঐক্যবদ্ধ গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদকম-লীর সদস্য অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু,বাসদ(মাহবুব)-এর কেন্দ্রীয় নেতা মহিনউদ্দিন লিটন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক প্রমুখ।#
No comments: