Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » গাংনীতে মিথ্যা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গাংনী বি,এম কলেজে দ্বাদ্বশ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ। ধর্ষক রাজু জেল-হাজতে





গাংনীতে মিথ্যা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গাংনী বি,এম কলেজে দ্বাদ্বশ শ্রেণীর   ছাত্রীকে ধর্ষণ। ধর্ষক রাজু জেল-হাজতে
 

মেহেরপুরের গাংনীতে মিথ্যা বিয়ের কাবিননামায় স্বাক্ষর করিয়ে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কলেজ ছাত্রী বানিয়া পারভীন বিনাকে ধর্ষণ করেছে খুলনা আরআরএফ রেঞ্জে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল রাজু আহম্মেদ। এ ব্যাপারে বানিয়া  পারভীন বিনা নিজে বাদী হয়ে মেহেরপুর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইনের ৯(১)/৩০তৎসহ পেনাল কোডের ৩১৩/১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। যার মামলা নং ২৫৫/১৫। আসামী করা হয়েছে প্রেমিক রাজু আহমেদ এবং তার পিতা হাবিবুর রহমান খান ও মাতা নাজিমন নেছাকে। এ মামলায় গত বৃহস্পতিবার আসামী রাজু আহম্মেদ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন না-মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চিৎলা গ্রামের হাবিবুর রহমান খানের ছেলে রাজু আহম্মেদ-এর সাথে প্রতিবেশী আব্দুল মান্নানের মেয়ে বানিয়া পারভীনে চিৎলা হাইস্কুলে পড়ালেখা চলাকালীন সময়ে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিনা বর্তমানে গাংনী বি,এম কলেজে দ্বাদ্বশ শ্রেণীতে অধ্যায়নরত রয়েছে এবং রাজু আহম্মেদ পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে খুলনা আরআরএফ রেঞ্জে কর্মরত। গত বছরের ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল প্রেমিক রাজু আহম্মেদ ছুটিতে বাড়ি এসে বিনাকে বিয়ের কথা বলে কৌশলে ডেকে নিয়ে কুষ্টিয়ার এক বন্ধুর বাড়ি নিয়ে যায় এবং সেখানে ভুয়া কাবিননামা তৈরী করে তাতে বিনার স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। স্বাক্ষরের পর রাজু বিনাকে বলে আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে, তবে এই বিয়ের কথা কিছুদিন গোপন রাখতে হবে তা নাহলে আমার চাকুরির সমস্যা হবে। এরপর থেকে রাজু বিনাকে তার পিতৃলালয়ে (বিনার নিজ বাড়ি) রেখে স্ত্রী হিসেবে ব্যবহার করে যৌন লালসা মিটাতে থাকে। এর এক পর্যায়ে বিনা গর্ভবতী হয়ে পড়লে রাজু তাদের বিয়ের কথা অস্বীকার করতে থাকে এবং বিনার ওপর অকথ্য শারীরিক নির্যাতন চালাতে থাকে।  একপর্যায়ে রাজু  বিনার তলপেটে লাথি মারে। এতে বিনা রক্তাক্ত জখম হয় এবং গত বছরের ১৪ জুন/১৫ তারিখে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হলে সেখানে তার গর্ভপাত ঘটে যায়। এ ঘটনার সময় প্রেমিক রাজু আহম্মেদ গাংনী উপজেলার কোদাইলকাটি গ্রামে অন্য আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করে তার সাথে ঘর সংসার করতে থাকে। এঘটনার প্রেক্ষিতে  গত ০২/০৭/২০১৫ ইং তারিখে মেহেরপুর আদালতে বানিয়া পারভীন বিনা নিজে বাদী হয়ে মেহেরপুর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইনের ৯(১)/৩০তৎসহ পেনাল কোডের ৩১৩/১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। ধর্ষণের আলামত সংগ্রহের জন্য ইতোমধ্যে ডাক্তারী পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে। আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলায় সুবিচার পাওয়া নিয়ে বাদী বানিয়া পারভীন বিনা ও তার পরিবার চরম শংকিত রয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা। এ মলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার এসআই শংকর জানান, মামলায় রাজু আহম্মেদের সম্পৃক্ততা থাকায় শুধুমাত্র তাকে আসামী করা হয়েছে। রাজুর বাবা-মাকে চার্জশীট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। আসামী রাজু বর্তমানে মেহেরপুর জেল হাজতে রয়েছেন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply