সিরাজগঞ্জে জঙ্গী সংগঠনে নারীরা যুক্ত হচ্ছে কিভাবে, কেন?
সিরাজগঞ্জে
জঙ্গী সংগঠনে নারীরা যুক্ত হচ্ছে কিভাবে, কেন?
সিরাজগঞ্জে আটক হওয়া নারী জেএমবি সদস্য
বাংলাদেশের পুলিশ বলছে, সিরাজগঞ্জ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি-র চার জন নারী সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
জেলার গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, আটককৃতরা কোনো নাশকতার পরিকল্পনা করছিল বলে তারা ধারণা করছেন।
অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলীয় আরেকট জেলা নীলফামারীতে এক শিয়া মসজিদ ও তাজিয়া মিছিলে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে জেএমবির আরো দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
বাংলাদেশে জঙ্গী ক্যাডার বললেই সাধারনত পুরুষ জঙ্গীদের ছবিই মনে ভেসে ওঠে। কিন্তু জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ, জেএমবিসহ বেশ ক'টি জেহাদী সংগঠনে রয়েছে বহু নারী সদস্য।
এরা আসলে কারা? কোন্ ধরনের নারী এই সংগঠনগুলোতে যোগ দিচ্ছে?
জঙ্গীবাদ নিয়ে লেখালেখি করেন এমন একজন সাংবাদিক টিপু সুলতান এ ব্যাপারে বিবিসি বাংলাকে বলছেন সাধারণত জঙ্গী সংগঠনগুলোর পুরুষ সদস্যদের সাথে বিয়ের মাধ্যমে এই নারীরা যুক্ত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জে উদ্ধার করা বোমা ও বইপত্র
জঙ্গী সদস্যদের স্ত্রীদেরকে সংগঠনের সাথে যুক্ত করার এই প্রবণতা শুরু থেকেই ছিল বলে মনে করেন তিনি। ঘর ভাড়া পাওয়া , স্ত্রী সন্তান সহ যাতায়াত করা - সবক্ষেত্রেই এটা সুবিধাজনক হয়।
"আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা এই নারীদের জঙ্গী সংগঠনের সদস্য বলেই মনে করেন - কারণ তারা স্বামীদের দ্বারা জঙ্গী মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হন এবং সকল কাজেই সহযোগিতা করেন।" বলেন টিপু সুলতান।
তিনি বলেন, এই নারী সদস্যরা অস্ত্র বহন বা তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে, তারা গ্রেফতার হয়েছে, কিন্তু সরাসরি তারা ট্রেনিং নিয়েছে বা কোন অপারেশনে অংশ নিয়েছে এমনটা দেখা যায়নি।
মি. সুলতান আরো বলেন, জঙ্গী সংগঠনগেুলোর সদস্যরা অনেক সময়ই তাদের অন্য সদস্যদের শ্যালিকা বা বোনদেরই বিয়ে করেন।
ইসলামিক স্টেটের ক্ষেত্রে যেমন বিভিন্ন দেশ থেকে মেয়েরা জিহাদি যোদ্ধাদের স্ত্রী হতে সিরিয়ায় গেছেন - এমন ঘটনা কি বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও ঘটেছে?
জবাবে টিপু সুলতান বলছেন, অন্তত দু তিন জন বাংলাদেশের তরুণী সিরিয়া যাবার চেষ্টা করেছিলেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তবে বাংলাদেশের কোন মেয়ে এভাবে জেএমবির সাথে সংশ্লিষ্ট হয়েছেন এমন তথ্য পাওয়া যায় নি।
No comments: