ঢাকার দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম:
‘গুলশান হামলায় অর্থনীতি ও বিনিয়োগে প্রভাব পড়বে না'-অর্থমন্ত্রী-ইত্তেফাক
সন্দেহভাজন জাহিদুল ১০ দিনের রিমান্ডে-প্রথম আলো
ঢাকায় দেশাইয়ের ঝটিকা কূটনীতি-মানবজমিন
মানবতাবিরোধী অপরাধ-এমপি হান্নানসহ ৮ জনের প্রতিবেদন চূড়ান্ত- যুগান্তর
জঙ্গি মোকাবেলায় বিশেষ ইউনিট গঠনের সিদ্ধান্ত সরকারের-সমকাল
ঘুরে বেড়াচ্ছে মানববোমা জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে জঙ্গি ও নিখোঁজদের পরিবারকে-বাংলাদেশ প্রতিদিন
কোলকাতার দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম:
জাকিরের গ্রেপ্তারির দাবি তুলল শিবসেনা-আজকাল
বুরহান খুনের প্রতিবাদে ফুঁসছে গোটা কাশ্মীর!-আনন্দবাজার
পাঠক! শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশ ও ভারতের সবচেয়ে আলোচিত কয়েকটি খবরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
শোলাকিয়ার ঘটনা নিয়ে ইত্তেফাক, প্রথম আলোসহ প্রায় সব দৈনিকের খবরে বলা হয়েছে,
সন্দেহভাজন জাহিদুল ১০ দিনের রিমান্ডে
কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলাকারী সন্দেহে আজিমউদ্দীন উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা জাহিদুল হককে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
গতকাল রোববার রাতে কিশোরগঞ্জের এক নম্বর আমলি আদালতের মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. আব্দুল সালাম খান জাহিদুলের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মুরশেদ জামান জাহিদুলকে রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন।
নিশা দেশাইয়ের ঢাকা সফর সম্পর্কে মানবজমিনের শিরোনাম:
ঢাকায় দেশাইয়ের ঝটিকা কূটনীতি
তৎপর নিশা দেশাই বিসওয়াল। দুই দিনের ঢাকা সফরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মার্কিন এই সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ঢাকা অ্যাটাকের পটভূমিতে তার এই সফর নানা দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছে। সফরের প্রথম দিনে গতকাল তিনি বৈঠক করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে। সন্ত্রাসবাদ দমনে বিশেষজ্ঞ পাঠিয়ে সহযোগিতার কথা বলেছেন নিশা দেশাই। এরইমধ্যে ঢাকা অ্যাটাকের তদন্তে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই যুক্ত হয়েছে বলে পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে। ঢাকা সফরে এখন পর্যন্ত চার জন গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
তিনি গুলশান ট্রাজেডির ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করেছেন।
দৈনিক প্রথম আলোর রাজনীতি বিষয়ক খবরের শিরোনাম:
বাংলাদেশকে সিকিমের মতো হজম করা যাবে না: হান্নান শাহ
বাংলাদেশকে ভারতের সিকিমের মতো রাজ্যে পরিণত করার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সিকিমের মতো হজম করা যাবে না।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় হান্নান শাহ এসব কথা বলেন। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দল জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের প্রতিবাদে ওই আলোচনার আয়োজন করে।
হান্নান শাহ অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভারতের ইশারা ছাড়া কোনো কিছু করে না। কিন্তু দিল্লির ছত্রচ্ছায়ায় থেকে আজীবন দেশ শাসন করা যাবে না।
যুগান্তরের শিরোনাম: মানবতাবিরোধী অপরাধ এমপি হান্নানসহ ৮ জনের প্রতিবেদন চূড়ান্ত
মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের সংসদ সদস্য এম এ হান্নানসহ আট জনের বিরুদ্ধে পাঁচ অভিযোগের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য ছাপা হয়েছে ইত্তেফাকে। খবরটির শিরোনাম‘গুলশান হামলায় অর্থনীতি ও বিনিয়োগে প্রভাব পড়বে না'
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, 'গুলশান হামলা দেশের অর্থনীতি ও বিনিয়োগে কোনো প্রভাব ফেলবে না।' সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, গুলশান হামলার কারণে দেশের অর্থনীতি ও বিনিয়োগে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির রিপোর্ট পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই তা প্রকাশ করা হবে।
প্রথম আলোর একটি খবরে লেখা হয়েছে,
এবার প্রাথমিকের বই ছাপাবে বিদেশি প্রতিষ্ঠানও
প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপার কাজে বিদেশি প্রকাশনা সংস্থার অংশগ্রহণ ঠেকাতে চেয়েছিলেন দেশি মুদ্রাকরেরা। ২২ মুদ্রাকর ও প্রকাশক নিজেরা জোট বেঁধে গত বছর অস্বাভাবিক কম দরে কাজ নিয়েছিলেন। ফলে এ বছরের শুরুতে যেসব বই শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয়, সেগুলো ছিল নিম্নমানের। এবার এমন ‘সিন্ডিকেট তৈরি হতে দিতে নারাজ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। আগামী বছরের প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই ও শিক্ষক নির্দেশিকা বই ছাপার কাজ দেশি মুদ্রাকরদের পাশাপাশি বিদেশি মুদ্রাকরেরাও পাচ্ছেন। কারণ সর্বনিম্ন দরদাতার মধ্যে কয়েকটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
নিরাপত্তা বিষয়ক খবরে ইত্তেফাকের শিরোনাম:
নিম্ন আদালতে নিরাপত্তা জোরদার
রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার নিম্ন আদালতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রবিবার প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আমিনুর রহমান এ বিষয়ে জানিয়েছেন।
এদিকে, ময়মনসিংহ ১ ও ৩ আসনে উপনির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এক বৈঠকে সিইসি বলেছেন,দেশে একাধিক জঙ্গি হামলার পর পরিস্থিতিকে ‘সংবেদনশীল’ উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘এটা নিয়ে আমরা দীর্ঘ সময় আলোচনা করেছি। এটা খুব সংবেদনশীল পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীও তত্পর রয়েছে।’
অন্যদিকে সমকালের খবরে বলা হয়েছে,জঙ্গি দমনে একটি বিশেষায়িত ইউনিট গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সমন্বিত এই ইউনিটে থাকবেন সব বাহিনীর চৌকস সদস্যরা। কোথাও হামলা হলে তারা দ্রুত সেখানে অপারেশন পরিচালনা করবেন। পরিস্থিতি মোকাবেলায় তারাই তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেবেন। বাংলাদেশ প্রতিদিনের একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনের শিরেনাম:
ঘুরে বেড়াচ্ছে মানববোমা
জঙ্গিদের পরিবার-পরিজনকে জেরা করবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। কথা বলা হবে নিখোঁজদের পরিবারের সঙ্গেও। এরই মধ্যে দেশের থানায় থানায় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিখোঁজদের তালিকা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। সূত্র বলছে, এ পর্যন্ত নিখোঁজের তালিকায় ১৪০ জনের নাম যুক্ত হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এদের সন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে। শনিবার প্রাথমিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে ১০ জনের নাম ও ছবি। অন্যদের ব্যাপারেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। সরকারি বিভিন্ন সংস্থা দেশের নানা নামিদামি ভার্সিটি ও স্কুলের দিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের কার্যক্রমও গোপনে পর্যবেক্ষণ চলছে।
সরকারি সূত্র বলছে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তারা জিরো টলারেন্সে। ঘুরে বেড়ানো মানববোমা নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক পর্যায়ে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে। এ ছাড়া জঙ্গিবাদবিরোধী ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাবে সরকার। দেশজুড়ে থাকবে রাজনৈতিক কর্মসূচি।
সংশ্লিষ্টরা বলছে, জঙ্গিদের নানা ঘোষণায় ‘আত্মঘাতী বোমাবাজ দল’ গড়ে তোলার যে দাবি করা হয়েছে এর নজির পাচ্ছেন গোয়েন্দারা। গুলশান ও শোলাকিয়ায় নিজেদের জীবন দিয়ে হামলা পরিচালনায় উদাহরণ রেখেছে জঙ্গিরা।
দৈনিক কালের কণ্ঠের শিরোনাম: জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে' প্রধানমন্ত্রী
দেশে চলমান জঙ্গি হামলা বন্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ও জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি। সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পাঠক! ভারতের বাংলা দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ খবরের অংশ বিশেষ তুলে ধরছি।
এখনও অশান্ত ভূস্বর্গ, মেহবুবার সুরে শান্তি ফেরানোর ডাক গিলানিরও-আনন্দবাজার
উপত্যকায় শান্তি ফেরাতে বিচ্ছিন্নতবাদীদের কাছেও আবেদন জানালেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। যে তরুণরা রোজ পথে নেমে পাথর ছুড়ছে পুলিশের দিকে, তাঁদের অভিভাবকদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বান, সন্তানদের নিয়ন্ত্রণ করুন। কেন্দ্রীয় সরকার সব রকম ভাবে জম্মু-কাশ্মীরের পাশে রয়েছে বলে মেহবুবাকে আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানিও পুলিশের উপর হামলা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন উপত্যকার মানুষকে।
এদিকে দৈনিকটির অন্য একটি খবরে বলা হয়েছে,বুরহান খুনের প্রতিবাদে ফুঁসছে গোটা কাশ্মীর!
জাকিরের গ্রেপ্তারির দাবি তুলল শিবসেনা-আজকাল
বিতর্কিত ইসলামি নেতা জাকির নাইককে গ্রেপ্তারির দাবি তুলল শিবসেনা। দেশে ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে বলে দলের মুখপাত্র ‘সামনা’য় দাবি রেখেছে তারা। জঙ্গি সংগঠন জইশ–ই–মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের সঙ্গে জাকিরের তুলনা এনে বলা হয়েছে, মাসুদ আজহারের মত ধর্মান্ধরা যেভাবে প্রকাশ্যে বিষ উগড়ে দেয়, জাকিরও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সেই কাজটিই করছেন। তবে নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তাকে শান্তি স্থাপনের নাম দিয়েছেন মাত্র। দীর্ঘদিন ধরে দেশদ্রোহীদের পুষছেন তিনি
ভোটে নেই, পথে আছি, বলল সিপিএম-আনন্দাবাজার
প্রকাশ কারাটের কথাও থাকল। সীতারাম ইয়েচুরির লড়াইও সফল হল! পলিটব্যুরোর সঙ্গে সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস-প্রশ্নে মধ্যপন্থার পক্ষেই সিলমোহর পড়ল।
আপাতত রাস্তায় নেমে কংগ্রেস ও সিপিএম যৌথ ভাবে আন্দোলন বজায় রাখবে। সন্ত্রাসের ঘটনায় আক্রান্তদের পাশে একসঙ্গেই গিয়ে দাঁড়াবেন দু’দলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা। বিধানসভার ভিতরে কক্ষ সমন্বয়ও জোরালো হবে। কিন্তু এই বন্ধুত্বকে এখন আর নির্বাচনী আঁতাঁতে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে না। আলিমুদ্দিনে রবিবার দিনভর বিতর্কের পরে দলে এমন নিদানই ঘোষণা করে গেলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
No comments: