Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » বাংলাদেশে গরু পাচার রুখতে এবার নতুন বাহিনী ভারতে





 বাংলাদেশে গরু পাচার রুখতে এবার নতুন বাহিনী ভারতে
 উত্তর ২৪ পরগণায় ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে এই গরুর হাট দিয়ে অনেক গরু বাংলাদেশে যায়।

ভারতের হরিয়ানা রাজ্য একটি নতুন পুলিশ দল গড়েছে, যাতে সেখান থেকে কোনও গরু বাইরে পাচার না হয়।

ভারত থেকে যত গরু বাংলাদেশে পাচার হয়, তার একটা বড় অংশই হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলি থেকে আনা হয়।

নতুন এই পুলিশ দলের শীর্ষে রয়েছেন ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার ভারতী অরোরা। তার সঙ্গে আরও প্রায় তিনশো জন অফিসার ও পুলিশকর্মী এই নতুন পুলিশ টাস্ক ফোর্সে যোগ দিয়েছেন।

প্রয়োজন মতো যে কোনও জেলার বা থানার পুলিশবাহিনীরও সাহায্য নিতে পারবে এই পুলিশ টাস্ক ফোর্স।

মিসেস অরোরা   টেলিফোনে বলছিলেন, “যেসব রাস্তা দিয়ে গরু রাজ্যের বাইরে পাচার হয়, সেগুলোর ওপরে নজরদারি করা, চেকপোস্টে তল্লাশি করা, কোথাও যদি পাচারের জন্য গরু মজুত করে রাখার খবর পাওয়া যায়, সেখানে হানা দেওয়া - এগুলোই মূল কাজ আমাদের। প্রতিটা জেলাতেই আমাদের টাস্কফোর্সের একেকটা ছোট ছোট দল গড়া হয়েছে। এছাড়া গ্রামে গ্রামে গরু পাচারের বিরুদ্ধে প্রচারও চালানো হবে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে একটা গরুও যেন রাজ্যের বাইরে পাচার না হয়।“

ভারত থেকে যে গরু বাংলাদেশে পাচার হয়, সেগুলি প্রায় সবই আসে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যগুলি থেকে। পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে আসতে হলে তাদের অন্তত তিন-চারটি রাজ্যের অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হয়।
  ভারত থেকে যে গরু বাংলাদেশে পাচার হয়, সেগুলি প্রায় সবই আসে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যগুলি থেকে।

সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে যে উৎসস্থলে যদি গরুগুলিকে আটকানো যায়, অথবা যে সব রাজ্য দিয়ে গরু আনা হচ্ছে, সেখানকার পুলিশবাহিনী যদি গরুবাহী ট্রাক আটকিয়ে দিতে পারে, তাহলে পাচারকারীরা সীমান্ত অবধি পৌঁছতেই পারবে না। পাচার নিয়ন্ত্রণ করা বিএসএফের পক্ষে অনেক সহজ হয়ে যাবে।

বিএসএফের অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি সমীর মিত্র বিবিসিকে বলছিলেন, “হরিয়ানার এই ব্যবস্থাকে সাধুবাদ জানাতেই হবে। আমরা তো অনেকদিন ধরে বলে আসছি যে উৎসস্থলেই গরুগুলোকে আটকাতে হবে। বিএসএফের দায়িত্ব তো সীমান্ত থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। তার আগেই অন্যান্য রাজ্য পুলিশ বাহিনী অথবা এক্সাইজের মতো সরকারি এজেন্সিগুলো যদি তৎপর হয়, তাহলে পাচারকারীদের সাপ্লাইটাই বন্ধ করা যাবে। অন্য যেসব রাজ্যগুলো থেকে গরু আসে, তাদেরও এই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।“

হরিয়ানার বিজেপি শাসিত সরকার গত বছরের শেষ দিকে গরুপাচার রোধে একটা খুব কঠোর আইন প্রণয়ন করেছে, যার মধ্যে গরুপাচারকারীদের জন্য কড়া শাস্তির ব্যবস্থাও রয়েছে। গরু জবাই, গরুর মাংস রাখা বা খাওয়া হরিয়ানায় নিষিদ্ধ। তৈরি হয়েছে গো-সেবা কমিশনও নামে একটা সাংবিধানিক সংস্থা।

ওই কমিশনের চেয়ারম্যান ভানি রাম মঙ্গলার কথায়, “হরিয়ানা থেকে একটা গরুও পাচার হতে দেব না আমরা। রাজ্যের বাইরে যাওয়ার সব রাস্তায় চেকপোস্ট গড়া হয়েছে। নিয়মিত তল্লাশি চলছে। গ্রাম স্তরে স্বেচ্ছাসেবকরাও রয়েছেন কোনওভাবে গরু পাচার হচ্ছে কী না, তার ওপর নজর রাখার জন্য। রাজ্য থেকে শুধু সেই গরুই বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে, যেগুলো দুধেল গাই। তারজন্য বিশেষ পারমিটের বন্দোবস্ত করেছি আমরা।“

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং বারে বারেই বিএসএফ আধিকারিকদের বলছেন বাংলাদেশে গরু পাচার শূণ্যে নামিয়ে আনতে হবে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply