করমচার দাঁত, দাঁতের মাড়ি, অকাল বার্ধক্য রোধে নানান গুণ
'করমচা' বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। এটি টক জাতীয় বেশ জনপ্রিয় একটি ফল। মাটিতে বিস্তৃত গুল্মজাতীয় এই উদ্ভিদ কষ্টসহিষ্ণু এবং খরা সহনশীল। মে থেকে জুন, কাঁচা ফল উত্তোলনের সময়। উচ্চ তাপমাত্রার অঞ্চলে এর ফলন ভাল হয়।
করমচায় রয়েছে ভিটামিন 'সি' এর উৎস। দাঁত, দাঁতের মাড়ি, অকাল বার্ধক্য রোধে ও ফুসফুস ভাল রাখতে সহায়তা করে থাকে ভিটামিন সি। করমচায় আরো রয়েছে প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, মিনারেল, ফসফরাস, আয়রন এবং ভিটামিন 'এ' যা আমাদের শরীরের জন্য জরুরী।
'করমচা' এর স্বাস্থ্য উপকারিতা হল- হার্ট সুস্থ ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এছাড়াও স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধী, বদহজম, পেট ব্যথা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রতিকার হিসাবে করমচা বেশ কাজ করে থাকে। করমচা রক্তস্বল্পতা নিরাময়েও দুর্দান্ত কাজ করে। করমচার পাতার রসে জ্বর, ডায়রিয়া এবং কানে ব্যথায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। করমচার শিকড় একটি হজমী গাছান্ত ঔষধ হিসেবে পরিচিত।
কাঁচা করমচা খাওয়ার পাশাপাশি আঁচার হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। চলুন তৈরি করে ফেলি টক-মিষ্টি 'করমচার আঁচার'
এক কেজি করমচা নিয়ে ধুয়ে কেটে বিচি বের করে নিন। এবার কড়াইতে দুই কাপ সরিষার তেল গরম করে এতে এক টেবিল চামচ পাঁচফোঁড়ন, এক চা চামচ আদা বাঁটা, দুই টেবিল চামচ মরিচ গুঁড়া, এক টেবিল চামচ মেথি গুঁড়া-ধনে গুঁড়া-হলুদ গুঁড়া, হাফ কাপ রসূন বাঁটা দিয়ে কষিয়ে নিন।
এবার করমচা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন। এবার এক টেবিল চামচ সিরকা, স্বাদমতো লবণ ও চিনি দিয়ে মিনিট দশেক রান্না করুন। তেল উপরে উঠে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। ঠাণ্ডা করে কাঁচের বয়ামে রেখে সংরক্ষণ করুন 'করমচা আঁচার'।
No comments: