Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » মোদিকে নিয়ে 'কটূক্তিকারীরা' উত্তর প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ পদে, বিজেপি’র ক্ষোভ





মোদিকে নিয়ে 'কটূক্তিকারীরা' উত্তর প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ পদে, বিজেপি’র ক্ষোভ

    রাজ বব্বর- ইমরান মাসুদ


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে 'কটূক্তিকারী' ব্যক্তিদের শীর্ষ পদে বসানোয় উত্তর প্রদেশে কংগ্রেস পার্টির সমালোচনা করেছে বিজেপি। উত্তর প্রদেশে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের মুখে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দলীয় সংসদ সদস্য, সাবেক অভিনেতা রাজ বব্বরকে ওই রাজ্যের সভাপতি করা হয়েছে। আর ইমরান মাসুদকে সহ-সভাপতি করা হয়েছে।

কংগ্রেসের নবনিযুক্ত এই দুই নেতাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ থাকায় বিজেপি কংগ্রেসের ওই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে।

রাজ বব্বর কাশ্মিরে গেরিলা হামলায় নিহত এক সেনা জওয়ানের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে গত ২৯ জুন ফিরোজাবাদে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বুকের ছাতি নয়, বরং পেট ৫৬ ইঞ্চি।’

মোদির বুকের ছাতির কথিত মাপকে কেন্দ্র করে অবশ্য বিরোধীরা বিভিন্ন সময়ে তার সমালোচনা করে থাকেন। মোদির প্রশাসনিক বিভিন্ন দুর্বলতা বোঝাতে তারা টেনে আনেন সেই ৫৬ ইঞ্চি ছাতি প্রসঙ্গ।

গত বছর জুলাইতে কংগ্রেসের ভাইস-প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী বিজেপি শাসিত রাজস্থানে দলীয় সভায় মোদিকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘আগামী ছয় মাসের মধ্যেই নরেন্দ্র মোদির ৫৬ ইঞ্চি ছাতি কমে ৫.৬ ইঞ্চিতে পরিণত হবে।’

বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র অবশ্য পাল্টা জবাবে বলেন, ‘যাদের দৃষ্টিশক্তি ৫.৬ মিমি তারা আর তার বেশি কী করে দেখবেন!’

এর আগে পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন প্রসঙ্গে কংগ্রেস মুখপাত্র মীম আফজালও বলেছিলেন, ‘যারা ৫৬ ইঞ্চি বুকের ছাতি বলে ঘোষণা করে ক্ষমতায় এসেছিল, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছিল তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে প্রমাণিত হয়েছে।’

ছাতি প্রসঙ্গের অবতারণা অবশ্য খোদ মোদি নিজেই করেছিলেন। গত লোকসভা নির্বাচনের সময় উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টির প্রধান মুলায়ম সিং যাদবকে টক্কর দিতে গিয়ে মোদি তার ৫৬ ইঞ্চি ছাতির কথা বড় মুখ করে বলেছিলেন।

গত বছর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারও মোদির ছাতি নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মিরে আইএস, পাকিস্তানের পতাকা যখন উড়ছে, তখন দিল্লিতে ক্ষমতায় রয়েছেন সেই লোকটি যিনি ৫৬ ইঞ্চি বুকের ছাতির জন্য অহঙ্কার করতেন। সেই ৫৬ ইঞ্চির বুক কোথায় গেল এখন? যিনি এত বড় বড় কথা বলতেন, তার কী হল?’

বিরোধীরা যখন ছাতি নিয়ে সমালোচনা, কটাক্ষে তৎপর তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং দাবি করেন, মোদির ৫৬ ইঞ্চি বুকের ছাতির এক ইঞ্চিও কমেনি। লোকসভা নির্বাচনের সময় রাজনাথ সিং এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বলেছিলেন, পাকিস্তানকে মোকাবিলা করতে ৫৬ ইঞ্চি ছাতির প্রয়োজন।

গত মে মাসে অবশ্য রাজনাথ ফের জানিয়ে দেন ‘মোদির ৫৬ ইঞ্চি বুকের ছাতির এক ইঞ্চিও কমেনি। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আমার সঙ্গে আইবি রয়েছে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়। আমি কেবল এটাই বলতে পারি ৫৬ ইঞ্চি ছাতির এক ইঞ্চিও কমেনি।’

মোদির বুকের ছাতি নিয়ে কটাক্ষ করা রাজ বব্বরকে কংগ্রেস উত্তর প্রদেশের সভাপতি করায় রাজ্যের বিজেপি সভাপতি কেশব প্রসাদ মৌর্য বলেন, ‘এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ২০১৭ সালে কংগ্রেস সবচেয়ে খারাপ ফলের জন্য তৈরি হয়েছে। ইমরান মাসুদ প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাই না, জনতাই তাকে উচিত শিক্ষা দেবে।’

প্রসঙ্গত, রাজ বব্বরের সঙ্গে ইমরান মাসুদকে পদে বসানো হয়েছে, যার বিরুদ্ধে আগে নরেন্দ্র মোদিকে ‘টুকরো টুকরো’ করে দেয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছিল। এ জন্য তাকে জেলেও যেতে হয়েহিল। বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, ‘কংগ্রেসের মানসিকতা এর থেকেই বোঝা যায়। নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে যিনি প্ররোচনামূলক মন্তব্য করেছিলেন, তাকে পুরস্কৃত করা হল।’

কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা গুলাম নবী আজাদ অবশ্য বিজেপি’র মন্তব্যকে আমল না দিয়ে বলেন, ‘বিজেপি তাদের উত্তেজক বক্তব্য প্রদানকারীদের নিয়ে চিন্তা করুক। ইমরান মাসুদের বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল। শুধু তাই নয় তিনি এ নিয়ে ক্ষমাও চেয়েছিলেন।’

এ দিকে, এসব নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যেই আজ (বুধবার) গণমাধ্যমে প্রকাশ, মুজাফফরনগর দাঙ্গায় অভিযুক্ত সুরেশ রানাকে বিজেপি উত্তর প্রদেশে দলের সহ-সভাপতি করেছে। তিনি রাজ্যটিতে বিজেপি’র জয়ের জন্য কৌশল ঠিক করবেন। বিজেপির ওই পদক্ষেপের ফলে আসন্ন নির্বাচনে দলটি হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডাকে সামনে আনতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, পশ্চিম উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের ভিত্তি মজবুত করতে দলিত এবং মুসলিম ভোটের সমর্থন পাওয়া বিশেষ প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যেই উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরের ফায়ারব্রান্ড নেতা ও সাবেক বিধায়ক ইমরান মাসুদকে সহ-সভাপতির পদে বসানো হয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

রাজ্যের ক্ষমতাসীন সপা এর ফলে ধাক্কা খেতে পারে। কারণ, সাহারানপুরের মুসলিম ভোটকে সপা নিজেদের ভোটব্যাংক হিসেবে মনে করে থাকে। যদিও গত ফেব্রুয়ারির উপনির্বাচনে দেওবন্দ আসনে ইমরান মাসুদের প্রার্থী মাবিয়া আলী সপার কাছ থেকে ওই আসনটি ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়। এটি আগে সপার দখলে ছিল। রাজ্যের ক্ষমতাসীন সপা মুখপাত্র রাজেন্দ্র চৌধুরী বলেন, ‘কংগ্রেসের এ ধরণের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে। সমস্ত দল প্রাসঙ্গিক হওয়ার চেষ্টা করছে।’#
 






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply