Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » মুন্সিগঞ্জে জঙ্গিবাদের সন্দেহে থাকা নিখোঁজ ছাত্রী হঠাৎ থানায় হাজির




মুন্সিগঞ্জে জঙ্গিবাদের সন্দেহে থাকা নিখোঁজ ছাত্রী হঠাৎ থানায় হাজির

     মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের বাসিন্দা কলেজছাত্রীটি জানা তিনি বিয়ে করে বাড়ি ছেড়েছিলেন।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে নিখোঁজ থাকা কয়েকজনের জঙ্গি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ার পর ‘নিখোঁজ’ ব্যক্তিদের বিষয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে জানা গেল, মুন্সিগঞ্জে নিখোঁজ এক কলেজ ছাত্রীকে ‘সন্দেহভাজন জঙ্গি’ হিসেবে তুলে ধরে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হলেও, সেই মেয়েটি পরিবারের অজান্তে বিয়ে করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন।

নিখোঁজ ছাত্রীটি জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িয়ে পড়েছে বলে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে তার মায়ের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে খবর প্রচার করা হয়েছিল।

কিন্তু স্থানীয় থানায় হাজির হয়ে ্ন্টইরমিডিয়েট পড়ুয়া ছাত্রীটি কোনধরনের জঙ্গি সম্পৃক্ততার খবর অস্বীকার করেছেন।

মুন্সগঞ্জের শ্রীনগর থানার ওসি সায়েদুর রহমান মেয়েটির নাম নুরুন্নাহার ইরা বলে উল্লেখ করে জানান, গত ১৯শে জুন মেয়েটি একটি ছেলের সাথে পালিয়ে ঢাকায় চলে যায় এবং ঢাকাতেই অবস্থান করে। তবে তারা বিয়ে করেছিল আরও আগেই গত ফেব্রুয়ারিতে।

এ মাসের শুরুর দিকে ১০ই জুলাই মেয়েটির মা মোসাম্মৎ শামিমা থানায় এসে তার মেয়ে নিখোঁজ হওয়ায় অভিযোগ জানান। কিন্তু এরপর বেসরকারি একটি টেলিভিশনে নুরুন্নাহার ইরার নিখোঁজ সংবাদ প্রচার করে তাকে সন্দেহভাজন জঙ্গি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।

ওসি সায়েদুর রহমান জানান, "মেয়েটির মা তার মেয়ের নিখোঁজের খবর জানিয়ে সাধারণ ডায়েরি করার পর আমরা খোঁজ-খবর শুরু করি। এর মাঝে তিনদিন আগে আমরা শুনলাম সংবাদপত্র এবং এনটিভির সাংবাদিকরা অনুসন্ধান করেন। আমরা কিছু জানিনা। তারা আমাদের কাছে কোন কিছু জানতে চাননি। শুনলা এনিটিভিতে একটি ডকুমেন্টারি প্রচারিত হচ্ছে। দেখলাম একটু। পরে মেয়েটির অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ করি”।

পরে মেয়েটির বাবা-মাই একটি ছেলের খোঁজ দেন। সেই ছেলেটির কর্মক্ষেত্রে যোগাযোগ করলে মেয়েটি পরে নিজেই থানায় এসে জানায় যে, বাবা-মার অমতে বিয়ে করে বাড়ি ছে পালিয়ে গিয়েছিল। তার জন্য যেন কাউকে হয়রানি করা না হয়।

তার বাবা একজন কৃষিজীবী এবং মা গৃহিণী বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

মুন্সিগঞ্জে থানা হেফাজতে থাকা নুরুন্নাহার ইরার সাথে কথা হয় বিবিসি বাংলার শায়লা রুখসানার । টেলিফোনে তিনি বলেন, বিয়ের পর তিনি স্বামীর সাথে গুলশানের নর্দা এলাকায় বসবাস করছিলেন। তিনি দাবি করেন কোন ধরনের জঙ্গি সম্পৃক্তা নেই তার।

নুরুন্নাহার বলেন “যেটা জানানো হইছে সেটা সম্পূর্ণই মিথ্যা ছিল। আমি সবার অজান্তে বিয়ে করে ফেলি । মা-বাবার সাথে অভিমান করে ১৯শে জুন চলে যাই”।

তার স্বামীর অফিসে যখন যোগাযোগ করা হয় তখনই তিনি বিষয়টি জানতে পারেন বলে জানান।

তার মায়ের যে বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে সেটি তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে দেখেছেন বলে জানান।

আগে কখনো কোনও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন কি-না প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “ না না কখনই আমি ছিলাম না। আমি একজন স্টুডেন্ট”।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply