কেয়াবাত কাবালি! কাকভোরে মুক্তি
আজকালের প্রতিবেদন: কাউন্টডাউন শুরু হয়েছিল দু’মাস আগেই। যত দিন এগিয়েছে, রজনী ম্যানিয়ার পারদ তত চড়েছে। তামিল ছবির ‘থালাইভা’ (বস) রজনীকান্তের ছবিকে কেন্দ্র করে যে ধরনের উন্মাদনার সঙ্গে পরিচিত দক্ষিণ ভারত তা–ও কয়েক ধাপ ছাড়িয়ে গেল ‘কাবালি’। শুক্রবার ছবির মুক্তির দিন বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাইয়ের বেসরকারি সংস্থাগুলি ছুটি দিয়ে দিয়েছে। গণছুটির দরখাস্ত এড়াতে! কিছু সংস্থা আবার কর্মীদের সপরিবারে ‘কাবালি’ দেখার টিকিটও দিয়েছে! ছবির প্রথম শো দেখাতে বেঙ্গালুরু থেকে ভক্তদের চেন্নাই উড়িয়ে নিয়ে গেছে এয়ার এশিয়া। আর পণ্ডিচেরি সরকার আগেই ঘোষণা করেছে গ্রামে গ্রামে শৌচালয় তৈরি করলে ‘কাবালি’-র টিকিট ফ্রি! চেন্নাই, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরুতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে সিঙ্গল স্ক্রিন, মাল্টিপ্লেক্সের সামনে থিকথিকে ভিড়। ভোর ৪টায় প্রথম শো শুরু হতেই আছড়ে পড়েন রজনী অনুরাগীরা। ছবিটির তৈরি হয়েছে ১০০ কোটি টাকায়। দু’দিনের মাথায় ২০০ কোটি টাকা উঠে আসবে বলে আশাবাদী প্রযোজক কালাইপুল্লি এস থানু। কারণও আছে। চেন্নাইয়ে প্রথম শোয়ের টিকিট একেক জায়গায় বিকিয়েছে ৫ হাজারে। তামাম দক্ষিণ ভারতে রবিবার পর্যন্ত সব শো হাউজফুল! সারা দেশেও ব্যাপক হইচই চলছে। মোট সাড়ে ১২ হাজার স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে। আর রজনীর ছবির নিয়ম মেনে দেশকালের গণ্ডি ছাড়িয়ে এশিয়া তো বটেই, সুদূর ফ্রান্সেও মহাসমারোহে পৌঁছে গেছে ‘কাবালি’। প্যারিসের লা গ্রঁ থিয়েটারে সাতাশশো দর্শক ছবিটি তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেছেন। রজনী নিজে কাবালি দেখেছেন চেন্নাইয়ের পয়েজ গার্ডেনের সামনের মাল্টিপ্লেক্সে নয়, নিউ ইয়র্কের একটি প্রেক্ষাগৃহে। তেলুগু ভাষায় শিবের আরেক নাম ‘কাবালি’। তবে ছবিতে এক ডনের ভূমিকায় দক্ষিণী ছবির মেগাস্টার। হাতে বন্দুক, কিন্তু অনেকটা রবিনহুডের মতো, আর্ত মানুষের আপনজন। কুয়ালালামপুরে ২৫ বছর হাজতবাস শেষে নিজের পরিবারের খোঁজে বেরোয় রজনীকান্ত অভিনীত চরিত্রটি। আড়াই ঘণ্টার এই টানটান থ্রিলারে রজনীকান্তের স্ত্রীর ভূমিকায় মারাঠি অভিনেত্রী রাধিকা আপ্টে, ‘অন্তহীন’, ‘রূপকথা নয়’ এবং সুজয় ঘোষের ১০ মিনিটের সংক্ষিপ্ত ছবি ‘অহল্যা’-র সুবাদে যিনি বাংলার দর্শকের কাছে পরিচিত নাম।
No comments: