ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ল।। ফ্রান্সে বাস্তিল দিবসে নিহত ৮৪ জনের মধ্যে মুসলমানই ৩০ জন
ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ল।।
ফ্রান্সে বাস্তিল দিবসে নিহত ৮৪ জনের মধ্যে মুসলমানই ৩০ জন
নিস শহরের হামলায় নিহতদের প্রতি ফুল দিয়ে সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা
ফ্রান্সের জাতীয় সংসদ আরো ছয় মাসের জন্য রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে। গত সপ্তাহে নিস শহরে সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটির সংসদ এ সিদ্ধান্ত নিল। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো ফরারি সংসদ জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়াল।
ফ্রান্সের জাতীয় সংসদের নিম্ন কক্ষ ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’র সদস্যরা বুধবার কয়েক ঘণ্টা বিতর্ক শেষে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে ভোট দেন। গত নভেম্বর মাসে রাজধানী প্যারিসের ছয়টি জায়গায় একযোগে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১৩০ জন নিহত ও ৩৫০ জন আহত হওয়ার পর ফ্রান্স সরকার দেশটিতে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশ এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল।
নতুন করে মেয়াদ বাড়ানোর ফলে ফ্রান্সে জরুরি অবস্থা শেষ হবে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে। জরুরি অবস্থা বহাল থাকার কারণে ফরাসি সরকার আদালতের নির্দেশ ছাড়াই যেকোনো ব্যক্তিকে গৃহবন্দী করে রাখতে পারে। এছাড়া, ওয়ারেন্ট বাদেই যেকোনো ব্যক্তিকে তল্লাশি করা যায়।#
ফ্রান্সে বাস্তিল দিবসে নিহত ৮৪ জনের মধ্যে মুসলমানই ৩০ জন
ফ্রান্সে গত বৃহস্পতিবার জাতীয় দিবসে ট্রাক হামলায় নিহত ৮৪ জনের মধ্যে অন্তত ৩০ জনই মুসলমান। ক্যাথলিক দৈনিক লা ক্রুক্স মঙ্গলবার এ খবর দিয়েছে।
ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী নিসে বাস্তিল দিবসের সমাবেশে দ্রুত গতিতে ট্রাক চালিয়ে দিয়েছিল তিউনিশিয় বংশোদ্ভূত ফরাসি নাগরিক মোহাম্মাদ লাহাউয়েজ বুহলেল। পুলিশের গুলিতে নিহত হয় বুহলেল।
খবরে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ২০ জন ছিলেন তিউনিশিয়ার নাগরিক। নিসের ইমাম এবং ইউনিয়ন অব মুসলিম অব আল্পস-ম্যারিটাইম’র সভাপতি ওসমান আইসসাওই ওই ঘটনায় মুসলমানদের নিহত হওয়ার সংখ্যাটি নিশ্চিত করেন।
নিহতদের মধ্যে একজন হলেন, ফাতিমা শারিহি। ৬২ বছরের মরক্কোর এ মহিলা সাত সন্তানের মা। তিনি রাহ্মা মসজিদে প্রায় নামাজ পড়তে যেতেন। একই মসজিদে ইমামতি করেন ওসমান। এ ছাড়া, নিসের ঘটনায় নিহত হয়েছে ১২ বছরের মুসলমান শিশু মেহদি এবং তার যমজ বোন এখনো কোমায় রয়েছে। মায়ের সঙ্গে নিসের আতাশবাজির উৎসব দেখতে এসেছিল আরেক মুসলিম শিশু চার বছর বয়সী কিলিয়ান। দুজনই নিহত হয়েছে।
নিসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিয়ে মুসলমান বিরোধী বিদ্বেষ উস্কে দেয়ার চেষ্টা প্রসঙ্গে ইমাম ওসমান বলেন, ধর্ম বিশ্বাস যাই হোক, নিহতরা সবাই ফ্রান্সে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করেছেন এবং একই সঙ্গে তার প্রাণ দিয়েছেন।#
No comments: