মীর কাসেম আলীর সময়ের আবেদন মঞ্জুর, রিভিউ’র পরবর্তী শুনানি ২৪ আগস্ট
জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর রিভিউ আবেদনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ২৪ আগস্ট পুনর্নির্ধারণ করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আজ (সোমবার) প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চে আসামিপক্ষের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ দিন ধার্য করেন। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
পরে মীর কাসেম আলীর প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে শুনানির প্রস্তুতি না থাকায় দুই মাসের সময় আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন গ্রহণ করে আগামী ২৪ আগস্ট পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।”
এর আগে রোববার বিকেলে সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে কাসেম আলীর রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য আজকের কার্যতালিকার ৬৩ নম্বরে রাখা হয়। একইসঙ্গে শুনানি মুলতবির একটি আবেদনও সেখানে দেখা যায়।
মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় ৬ জুন প্রকাশের পর তা পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে ১৯ জুন আবেদন করেন মীর কাসেম আলী। এরপর রিভিউ আবেদন শুনানির দিন ধার্যের জন্য আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২১ জুন চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি ২৫ জুলাই নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠায়। এর ধারাবাহিকতায় সোমবারের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় আসে মামলাটি।
২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এরপর গত ৮ মার্চ আপিলের রায়ে ওই সাজা বহাল থাকে।
মুক্তিযোদ্ধা জসিমকে অপহরণ ও হত্যার ১১ নং অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারকের ঐক্যমতের ভিত্তিতে মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এ রায় আপিলেও বহাল থাকে। এছাড়া আরও ছয়টি অভিযোগে মোট ৫৮ বছরের কারাদণ্ডের রায় বহাল রাখে আপিল বিভাগ।
২০১২ সালের ১৭ জুন মতিঝিলে দৈনিক নয়া দিগন্ত কার্যালয় থেকে কাসেম আলীকে গ্রেফতার করা হয়। পরের বছর ৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ট্রাইব্যুনালে শুরু হয় তাঁর যুদ্ধাপরাধের বিচার। ২০১৪ সালের আগে হাজতবাসকালে তিনি ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দির মর্যাদায় ছিলেন। পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়ার পর তাঁকে কনডেম (ফাঁসি) সেলে পাঠানো হয়।#
No comments: