Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » উজান ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাত কারণে তিস্তা নদীর পানি আবারো বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে





উজান ঢল ও ভারী বৃষ্টি
তিস্তার পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপরে

উজান ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাত কারণে তিস্তা নদীর পানি আবারো বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

রোববার সকাল ৬টায় তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিপদসীমার ৫২ দশমিক ৪০ মিটার।

শনিবার বিকাল ৬টা থেকে বাংলাদেশ অংশের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার প্রবাহ ছিল বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপরে। যা পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। তিন ঘণ্টার ব্যাবধানে রাত ৯টায় বিশেষ ব্যবস্থায় পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তার পানি প্রবাহ পেয়েছে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপরে। তিস্তার পানি বৃদ্ধি ফলে চরাঞ্চলের ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। সেইসঙ্গে তিস্তার উথাল-পাথাল ঢেউ আর শোঁ শোঁ শব্দ তিস্তাপাড়কে কাঁপিয়ে তুলছিল বলে জানা গেছে।

রাতে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা ও লালমনিরহাট জেলা হাতিবান্ধা ও কালিগঞ্জ উপজেলার তিস্তার চর ও চর গ্রামে বসবাসরত মানুষজনকে নিরাপদে সরে নেয় জনপ্রতিনিধিরা।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৪০ মিটার) ১৮ সেন্টিমিটার নিচে থাকলেও ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে সন্ধ্যা ৬টায় তা বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপরে চলে যায়।

রাত ৯টায় সেটি আরো বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

সূত্র মতে ধারণা করা হচ্ছে, উজানের ভারী বৃষ্টিপাত ও গজলডোবার জলকপাট খুলে দেয়ায় তিস্তার প্রবাহ দুর্বার গতিতে বাংলাদেশে ধেয়ে আসে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে বলে জানালেন ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজার রহমান।

তিনি জানান, কী পরিমাণ উজানের ঢল আসছে তা মনিটরিং করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে তিস্তা ব্যারাজ ও ফ্লাড ফিউজ এলাকায় নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

ভারতের জলপাইগুড়ি, কুচবিহার এলাকার বাংলাদেশ অংশে প্রবেশদার মেখলিগঞ্জ পর্যন্ত তিস্তা অববহিকায় রেড এ্যালার্ট জারি করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

ঝুনাগাছ চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ছাতুনামা ও ভেন্ডাবাড়ী গ্রামে ৭শ' পরিবারের বসতভিটা হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে রয়েছে।

টেপাখঢ়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহীন বলেন, টাবুর চর, জিঞ্জিরপাড়া, একতার চরসহ আশপাশের ১০টি গ্রামের সহস্রাধিক পরিবারের বসতভিটা কোমর পানিতে তলিয়ে রয়েছে। সরকারিভাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বাঁধে আশ্রয় নিলেও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, উপজেলার তিস্তা নদীসংলগ্ন ৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য তথ্য কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply