Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » আহসান উল্লাহ হত্যা মামলা: ১১ আসামির খালাসের রায় বহাল





আহসান উল্লাহ হত্যা মামলা: ১১ আসামির খালাসের রায় বহাল

    আহসান উল্লাহ মাস্টার

গাজীপুরের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় ১১ আসামিকে হাইকোর্টের দেয়া খালাসের রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আজ (বৃহস্পতিবার) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ২১ জুন আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় ১১ আসামিকে হাইকোর্টের দেয়া খালাসের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামিদের খালাসের রায় ১৪ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করে চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

গত ১৫ জুন সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় আপিলের রায়ে বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ছয়জনের ফাঁসির আদেশ বহাল এবং আটজনের যাবজ্জীবন বহাল রেখে রায় দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ। মামলার ১১ আসামিকে খালাস দেয়া হয়। এ ছাড়া দুই আসামি মারা যাওয়ায় তাদের ব্যাপারে কোনো আদেশ দেয়া হয়নি এবং একজনের পক্ষে কোনো আপিল করা হয়নি।

রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল জানিয়েছিলেন, হাইকোর্টের রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেননি তারা। সেদিনই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।

নিম্ন আদালতে ২২ আসামি মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। আসামিদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড বহাল রয়েছে : নূরুল ইসলাম সরকার, নূরুল ইসলাম দীপু, মাহবুবুর রহমান মাহবুব, শহীদুল ইসলাম শিপু (পলাতক), হাফিজ ওরফে কানা হাফিজ ও সোহাগ ওরফে সরু।

নিম্ন আদালতে পাওয়া মৃত্যুদণ্ড বাতিল হয়ে হাইকোর্ট থেকে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন—মোহাম্মদ আলী, আনোয়ার হোসেন আনু, জাহাঙ্গীর ওরফে ছোট জাহাঙ্গীর, রতন মিয়া ওরফে বড় রতন, আবু সালাম ওরফে সালাম ও সৈয়দ আহমেদ হোসেন মজনু ও মশিউর রহমান মশু। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন আমির হোসেন, বড় জাহাঙ্গীর, ফয়সাল, লোকমান হোসেন ওরফে বুলু, রনি মিয়া ওরফে রনি ফকির, খোকন ও দুলাল মিয়া।

মামলা চলাকালে ছোট রতন ও আল আমিন মারা যাওয়ায় তাদের আপিল নিষ্পত্তি করে দেয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন বহাল রয়েছে নূরুল আমিনের। এ ছাড়া যাবজ্জীবন থেকে খালাস পেয়েছেন রাকিব উদ্দিন সরকার ওরফে পাপ্পু, আইয়ুব আলী, জাহাঙ্গীর ও মনির।

অন্যদিকে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ওহিদুল ইসলাম টিপু পলাতক থাকায় তাঁর পক্ষে কোনো আপিল করা হয়নি। ফলে তাঁর বিষয়ে কোনো আদেশ দেয়নি আদালত।

চলতি বছরের শুরুতে হাইকোর্টের এ বেঞ্চেই ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়। ছয় মাসে ৩৪ দিন শুনানির পর গত ৮ জুন উভয় পক্ষের বক্তব্য ও যুক্তিতর্ক শেষে ১৫ জুন রায় ঘোষণা করা হয়।

দুবারের সাবেক সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টারকে বিএনপি জোট সরকারের সময়ে ২০০৪ সালের ৭ মে দুপুরে একদল সন্ত্রাসী টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রকাশ্যে গুলি ছুড়ে হত্যা করা হয়। হত্যার ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মতিউর রহমান মতি বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে দ্রুত বিচার আইনে টঙ্গী থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার মো. খালেকুজ্জামান প্রায় দুই মাস তদন্ত শেষে ৩০ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। আসামিদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও জাতীয় পার্টির সহযোগী সংগঠন জাতীয় ছাত্রসমাজের নেতাকর্মী। আর পাঁচজন আসামি বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।

গাজীপুর-২ (গাজীপুর সদর-টঙ্গী) আসনে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আহসান উল্লাহ মাস্টার। এর আগে ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দুই দফা পুবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি।#






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply