চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা: খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থনের পরবর্তী শুনানি ২৩ জুন
আদালতে বেগম খালেদা জিয়া (ফাইল ফটো)
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের বিষয়ে শুনানি ২৩ জুন পর্যন্ত মুলতবি করেছে আদালত।
খালেদা জিয়ার সময়ের আবেদনের শুনানি শেষে আজ (বৃহস্পতিবার) নতুন এ দিন ধার্য করেন রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা দু’টিতে হাজিরা দিতে বেলা এগারটার দিকে আদালতের এজলাসকক্ষে আসেন খালেদা জিয়া। পরে আইনজীবীদের মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থন পেছাতে সময়ের আবেদন জানান। সর্বোচ্চ আদালতে এ মামলা স্থগিতে খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিলের শুনানি চলমান উল্লেখ করে এ আবেদন জানানো হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন খালেদার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, সানাউল্লাহ মিয়া ও আব্দুর রেজ্জাক খান। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল সময় প্রার্থনার বিরোধিতা করে মামলা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আদালতে বক্তব্য পেশ করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত খালেদা জিয়ার আবেদন মঞ্জুর করে ২৩ জুন পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি করেন।
বেলা ১১টা ৫ মিনিটে মামলা কার্যক্রম শুরু হয়। খালেদা জিয়া এজলাসে ঢুকে চেয়ারে বসার অনুমতি চান। আদালত তাঁকে বসার অনুমতি দেন।
এদিকে, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আদালতে হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন খালেদা জিয়া। তাঁর অনুপস্থিতিতে এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলবে।
গত ১৯ মে এ মামলায় খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন করেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। অন্যদিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে যেতে না পারায় তাঁর পক্ষে সময়ের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত ২ জুন খালেদা জিয়ার পক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য করে তাঁকে আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দেন। এর আগে পঞ্চম দফায় তাঁর পক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি পেছানো হয়।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ। ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এর আগে ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে ৫ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন তিনি।
গত বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ও অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। #
No comments: