Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » ভেরিকোস ভেইন এটা শিরার (রক্তনালী) একটি রোগ





ভেরিকোস ভেইন এটা শিরার (রক্তনালী) একটি রোগ

এটা শিরার (রক্তনালী) একটি রোগ। শরীরের কোনো অংশের শিরা যদি প্রসারিত হয়ে যায় অর্থাৎ দৈর্ঘে ও প্রস্থে বড় হয়ে যায় তাকে ভেরিকোস ভেইন বলে। শতকরা প্রায় ২০ মানুষই এই রোগে আক্রান্ত। সাধারণত পা এবং হাতের শিরায় এই রোগটি বেশী হতে দেখা যায় তবে শরীরের যে কোনো স্থানের শিরায় ই এই রোগটি হতে পারে।

ভেরিকোস ভেইন রোগটি হবার নানাবিধ কারন আছে, সাধারনত ভেইন বা শিরার ভাল্ভ নষ্ট হয়ে যাবার কারনে এই রোগটি হয়। তবে শিরায় ইনফেকশন হলে, গর্ভাবস্থায়, পেটে টিউমার হলে বা পানি জমলে, পেশাগত কারনে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে (ট্রাফিক পুলিশ) হলেও এ রোগটি হতে দেখা যায়।

পায়ের গোড়ালি থেকে হাটুর মধ্যবর্তি অংশে (সেফানাস ভেইন-Saphenous vein) ভেরিকোস ভেইন বেশী হতে দেখা যায়, এ রোগ হলে শিরা বরাবর রোগী ব্যাথা অনুভব করে। চামড়ার ঠিক নীচে মোটা মোটা ভেইন গুলো দেখতেও বেশ কদাকার মনে হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা না করালে পায়ে আলসার বা ঘা হয়ে যেতে পারে, পায়ের স্নায়ু নষ্ট হয়ে গ্যাঙ্গরিন হতে পারে। অল্প আঘাতেই এসকল শিরা থেকে রক্তপাত শুরু হবার সম্ভাবনাও খুব বেশী। প্রতিরক্ষা বাহিনী বা পুলিশ হিসেবে চাকরী করতে চাইলে ভেরিকোস ভেইন একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

অসুধ খেলে ভেরিকোস ভেইন ভালো হয়ে যাবার কোনো সম্ভাবনা নেই, অপারেশন ই এর একমাত্র চিকিৎসা। কোমড়ের নীচের অংশ অবশ করে এই অপারেশন করা হয়। স্ট্রিপার নামক একটি যন্ত্রের সাহায্যে ভাসকুলার সার্জন গন ঐ ত্রুটিযুক্ত শিরা টিকে তুলে নিয়ে আসেন।

ভেরিকোস ভেইন অপারেশনের আগে অবশ্যই জেনে নিতে হবে রোগীর ঐ পায়ের গভীর শিরা (Deep vein) টি ভালো আছে কিনা, অন্যথায় এই অপারেশন করা যাবেনা। এটা নির্ণয়ের জন্য রোগীকে অবশ্যই পায়ের ডুপ্লেক্স স্ক্যান পরীক্ষাটি করে নিতে হবে। ডিপ ভেইন ভালো না থাকা অবস্থায় এই অপারেশন করলে রোগীর পায়ের চরম ক্ষতি হবে।

ভেরিকোস ভেইন অপারেশনের পর পায়ে ক্রেপ ব্যান্ডেজ পড়তে হয়। অল্প কিছু বিরাম নেয়া ছাড়া প্রথম ৭-৮ দিন এটা পড়ে থাকতে হয়। এরপর প্রায় মাস তিনেক সারাদিন পড়ে থাকতে হয় এবং বিশ্রাম নেবার সময় বা রাত্রে খুলে রাখা যায়।
 
 
   ডিভিটি - ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস

অনেক সময় বয়স্ক মানুষের পা হঠাৎ করে ফুলে ব্যথা শুরু হয়, লাল হয়ে যেতে শুরু করে এবং নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়। বাড়তে বাড়তে অনেক সময় ব্যথা অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়। এমন একটি রোগের নামই ডিভিটি বা ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস। যারা উড়োজাহাজে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেন তাদের অনেকেরও এমনটি হতে পারে। ইকোনোমি ক্লাশের যাত্রীদের এ রোগটি বেশী হয় বলে একে ইকোনোমি ক্লাশ সিনড্রম (Economy class syndrome) ও বলা হয়। এখানে বলে রাখা ভালো ডিভিটি মানুষের শিরার (রক্তনালী) একটি রোগ।


আমাদের শরীরে দুই ধরনের শিরা আছে, একদল থাকে শরীরের উপরিভাগে -চামড়ার নীচে যা আমরা খালি চোখে দেখতে পারি (Superficial vein)। আর একদল আছে যারা থাকে মাংশপেশীর গভীরে, যা বাইরে থেকে দেখা যায়না(Deep vein)। এরাই বেশিরভাগ রক্ত প্রবাহ হৃদপিন্ডে নিয়ে আসে। এই গভীরের রক্তনালীগুলোতে রক্ত জমাট বেধে গেলেই ডিভিটি হয়।


ডিভিটি বা ইকনোমি ক্লাশ সিন্ড্রম হলে সাথে সাথেই চিকিৎসা শুরু করা উচিত। চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হলে এটা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে এবং পায়ে ঘা হয়ে যেতে পারে। বেশী দেরি করলে এমনকি পা কেটে ফেলা দেবার ও প্রয়োজন পরতে পারে। এখান থেকে জমাট রক্ত ছুটে ফুসফুসে গিয়ে মৃত্যু ঘটার নজির ও কিন্ত কম নয়।


ষাটোর্ধ বয়স, ক্যান্সার, মেদবহুল শরীর, গর্ভাবস্থা, জন্মনিয়ন্ত্রনের বড়ি খেয়েচলা, কোমড়ের বা হাটুর বড় অপারেশন করানো, দীর্ঘ সময় পা না নাড়িয়ে বসে থাকা ইত্যাদি নানা কারনে ডিভিটি হতে পারে। ডুপ্লেক্স (Duplex) স্ক্যান পরীক্ষার মাধ্যমে এটির উপস্থিতি নিশ্চিত করা সম্ভব।


রক্তনালী বিশেষজ্ঞগন (Cardiovascular surgeon) এই রোগের চিকিৎসায় রক্ত পাতলা করার জন্য রক্তনালীতে হেপারিন ইঞ্জেকশন দিয়ে থাকেন। এছাড়া রোগ পরবর্তী সময়ে ওয়ারফেরিন ট্যাবলেট ও অন্যন্য রক্ত পাতলাকারি অসুধ দিয়ে থাকেন। এই রোগীকে হাটা চলার সময় ক্রেপ ব্যান্ডেজ নামক এক ধরনের বিশেষ আবরনী পায়ে পরে থাকতে হয়। ঘুমানোর সময় ক্রেপ ব্যান্ডেজ খুলে শুতে হয় এবং পায়ের নীচে বালিশ দিয়ে পা সামান্য উচু করে শুতে হয়।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply