Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » সবার জন্য বেতনের দাবিতে সুইজারল্যান্ডে গণভোট





 সবার জন্য বেতনের দাবিতে সুইজারল্যান্ডে গণভোট

 এই গণভোটকে ঘিরে 'বেসিক ইনকাম' নামে একটি সুইস ক্যাম্পেইন গ্রুপ গত কিছুদিন ধরেই প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আপনি চাকুরীজীবী হন অথবা বেকার কিন্তু মাস শেষে আপনি নিশ্চিত বেতন পাবেন। এমন হলে কেমন হবে বলুনতো?

আজ রোববার সুইজারল্যান্ডে সেরকমই একটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এক গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।

মাস শেষে সবার পকেটে আড়াই হাজার সুইস ফ্রাঁ- এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আজকের গণভোট।

এই গণভোটের জন্য জুরিখে চলেছে ব্যাপক প্রচারণা।

জুরিখে রোবটদের র‍্যালীও পর্যন্ত হয়েছে। কার্ডবোর্ড দিয়ে রোবটের ছাচের পোশাক বানিয়ে গায়ে চড়িয়ে নিয়ে মিউজিকের তালে তালে রাস্তায় নেচে গেয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চলেছে।

'বেসিক ইনকাম' নামে একটি সুইস ক্যাম্পেইন গ্রুপ গত কিছুদিন ধরেই এরকম নানা অভিনব কায়দায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিছুদিন আগেই এক বিশাল মাঠের সমান পোস্টার বানিয়ে সাঁটা হয়েছিলো জেনিভাতে।

ওই পোস্টারে লেখা ছিলো "কেউ যদি আপনার আয়ের দায়িত্ব নিয়ে নেয় তাহলে আপনি কি করবেন?"

এই ক্যাম্পেইনের দাবি সবার জন্য রাষ্ট্রের কাছে বেতনের নিশ্চয়তা।

কেন এমন দাবি সে প্রসঙ্গে বলছিলেন ক্যাম্পেইনের হোতাদের একজন চে ওয়াগনার- “আমরা ন্যূনতম বেতন চালু করতে চাই কারণ সুইজারল্যান্ডে সকল কাজের ৫০ ভাগের বেশিই বেতনবিহীন কাজ যেমন ধরুন বাড়িতে যে সব সেবামূলক কাজ হচ্ছে। এখন যদি একটি ন্যূনতম বেতন থাকে তাহলে সে ধরনের কাজের একটি মূল্য তৈরি হবে"।

আর সেই মূল্য পাবেন যেকোন সুইস নাগরিক। চাকুরীজীবি অথবা বেকার যাই হোন না কেন, মাসে আড়াই হাজার সুইস ফ্রাঁ অর্থাৎ আড়াই হাজার ডলারের সামান্য বেশি অর্থ পাবেন। যা দেবে রাষ্ট্র।
 বেসিক ইনকাম' নামের সুইস ক্যাম্পেইন গ্রুপ গত মাসে বিশাল মাঠের সমান এই পোস্টারটি বানায়।

আজকের গনভোটে যদি দাবি পাশ হয় তবে সুইজারল্যান্ড হবে বিশ্বের প্রথম দেশ যারা এমন দাবিতে গণভোট করলো এবং এমন একটি আইনও পাশ করলো।

কিন্তু সুইস রাজনীতিবিদদের প্রায় কেউই এমন দাবি সমর্থন করছেন না।

সুইস পিপলস পার্টির নেতা লুৎসি স্টাম এই গণভোটের বিপক্ষে তাঁর যুক্তি তুলে ধরেন- “আমার মূল সমালোচনা খুব সহজ। এখন যেহেতু আমরা মুক্ত সীমান্ত নীতিমালা অনুসরণ করি। এরকম মুক্ত সীমান্ত থাকলে বিষয়টি একেবারেই অসম্ভব। বিশেষ করে সুইজারল্যান্ডের মতো দেশ যেখানে এত উঁচু জীবনযাত্রার মান। ধরুন সবাইকে যদি এরকম অর্থ আপনি দেন তাহলে আশেপাশের সব দেশের লোকজন এখানে বসবাস করতে চলে আসবে”।

ধনী দেশ সুইজারল্যান্ড চাইলেই তার নাগরিকদের এমন বেতন দিতে পারে।

কিন্তু শেনগেন সীমানাভুক্ত বাকি ২৭টি ইউরোপীয় দেশের সবাই তত ভাগ্যবান নয়।

এমন একটি রাষ্ট্র প্রদত্ত বেতনের আশায় তারাও যদি সুইজারল্যান্ডে চলে আসেন তাহলে কি হবে?

সেটাই সুইস রাজনীতিবিদদের দুঃশ্চিন্তার বিষয়।







«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply