Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » ভারতের উত্তর প্রদেশে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদকালে ভয়াবহ সংঘর্ষ: ২ পুলিশসহ নিহত ২১





ভারতের উত্তর প্রদেশে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদকালে ভয়াবহ সংঘর্ষ: ২ পুলিশসহ নিহত ২১

ভারতের উত্তর প্রদেশের মথুরায় বেআইনি দখলদার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুই পুলিশকর্মীসহ ২১ জন নিহত হয়েছেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় ৪০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। আহত ১২ পুলিশ কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে মথুরার পুলিশ সুপার (সিটি) মুকুল দ্বিবেদী এবং স্থানীয় ফারাহ পুলিশ থানার কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার রয়েছেন।

অবৈধ দখলদার বিক্ষোভকারীদের গুলিতে ওই পুলিশ কর্মীরা নিহত হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব নিহত পুলিশকর্মীদের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।

আজ (শুক্রবার) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে এবং মথুরার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।’
পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) দলজিত চৌধুরী

পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) দলজিত চৌধুরী সংবাদ সংস্থা এএনএইকে বলেন, ‘পুলিশ জওহরবাগ থেকে প্রচুর পরিমাণে কার্তুজ, রাইফেল এবং পিস্তল উদ্ধার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেনেড এবং বারুদও উদ্ধার হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিক্ষোভকারীরা অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত ছিল। তারা বিনা প্ররোচনায় পুলিশের উপরে গুলি চালায়। তদন্ত রিপোর্ট আসার পরেই দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।’ পুলিশের উপরে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলেও এডিজি জানান।

গণমাধ্যমে প্রকাশ, দুই বছরের বেশি সময় ধরে বাবা জয় গুরুদেব নামে একটি সংস্থার কর্মীরা ‘আজাদ ভারত বিধিক বৈচারিক ক্রান্তি সত্যাগ্রহী’ নামে দল গঠন করে ধর্মরক্ষার অজুহাতে জওহরবাগের কয়েকশো একর জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিল। এক জনস্বার্থ মামলার জেরে হাইকোর্টে তাদের উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের উচ্ছেদ করতে পুলিশকর্মীরা অভিযানে নামলে কার্যত শুরু হয়ে যায় মহাতাণ্ডব।

প্রায় ৩ হাজার দখলদার বিক্ষোভকারী পুলিশের ওপর প্রথমে পাথর ছোঁড়ে, তারপর গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। দেশি পিস্তল থেকে নির্বিচারে গুলি ছোঁড়া হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় হ্যান্ড গ্রেনেড, বোমা ইত্যাদি। এমনকী একের পর এক ফাটানো হয় গ্যাস সিলিন্ডারও। ফলে বেশ কয়েকটি ঘরে আগুন ধরে যায়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়লেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। এতেই নিহত হয় ১৯ জন বিক্ষোভকারী। যদিও হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। #






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply