বিহারে অগ্নিকাণ্ড রোধে অভিনব সিদ্ধান্ত, চুলা জ্বালানো ও পুজো নিষিদ্ধ
ভারতের বিহার রাজ্যে দুর্ঘটনা এড়াতে অভিনব পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। রাজ্যটিতে সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত চুলা জ্বালানো এবং পুজো ও যজ্ঞে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। বিহারে একের পর এক আগুন লাগার ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পক্ষ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
নির্দিষ্ট ওই সময়ের কথা উল্লেখ করে এতে বলা হয়েছে, এ সময় পুজো এবং যজ্ঞ করা, গমের খড় পোড়ানো ইত্যাদি নিষিদ্ধ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ বলছে, এই আদেশ লঙ্ঘন করার ফলে যদি আগুন ধরে যায় তাহলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, সমস্ত জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় এই নির্দেশিকা বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দফতরের প্রধান সচিব ব্যাস জি বলেন, রাজ্যে আগুন ধরার ঘটনা সমীক্ষা করে দেখা গেছে বেশিরভাগ ঘটনা চুলার আগুন এবং পুজোপাটে হবন যজ্ঞের আগুন থেকে ঘটেছে। এ ছাড়া জমিতে গমের খড় জ্বালানোর জন্যও কয়েকটি ক্ষেত্রে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে রাজ্যটিতে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। গত শুক্রবার ঔরঙ্গাবাদ জেলার দাউদ নগর থানা এলাকায় এক আগুন লাগার ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়। বিভাগীয় দফতর সূত্রে প্রকাশ, বিহারে গত এক মাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে ৫০ জন মানুষ ও ৭০ টির বেশি পশু মারা গেছে।
অন্য এক সূত্রে প্রকাশ, আগুন লাগার ঘটনায় রাজ্যে এ পর্যন্ত ৭৩ জন মানুষ এবং ২৩৬ টি পশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ১৫ হাজার ৯০৯ টি বাড়ি পুড়েছে এবং ১১ হাজার ৫৭৫ একর ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
রাজ্যে এই প্রথম এ ধরণের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সকাল ৯ টার আগে খবার তৈরি করে নিতে হবে এবং সন্ধ্যা ৬ টার পরে চুলা জ্বালতে হবে। পুজোপাটের যজ্ঞও সকাল ৯টার আগে করে নিতে হবে। জমিতে গম কাটার পরে তার খড় জ্বালানো চলবে না। নির্দেশ অমান্য করলে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০০৫, অনুচ্ছেদ ৫১(খ) অনুযায়ী জেল এবং জরিমানার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।#
No comments: