শ্বেতদ্রোণ বা দ-কলস বা কলসকাঠি
নাম-
পরিচয়ঃ শ্বেতদ্রোণ বহুবর্সজীবি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এর শিকড় মাটির ৪/৫ সে.মি. গভীরে যায়। হাত দিয়ে টান দিলে সহজে ওঠে আসে দেহ গাঢ় সবুজ। অসংখ্য গিট বা পর্বে সমস্ত কান্ডে থাকে। কানণ্ড শক্ত ফুল অবৃন্তক। প্রতিটি গিট থেকে দু’পাশে বিপ্রতীপভাবে শাখা প্রশাখা বের হয়। পাতা সরল। পাতার বোটায় দু’টি পত্রিকা থাকে। পাতা লম্বায় ৪ থেকে ৭ সে.মি.লম্বা,চওড়া ১ সে.মি.।পর্ব থেকে পাতা ৪০ সে.মি.লম্বা হয়ে থাকে। মাছির চোখের মত ফুলের মঞ্জুরীতে অনেক গুলো সাদ ফুল থাকে। ফুল গুলোর গোড়ায় মধু থাকে। বাচ্চরা সে মধু খেতে পচন্দ করে। বীজের মাধ্যমে শ্বেদ্রেণের বংশ বিস্তার। মার্চ এপ্রিলে ফুল ফোটে। আগষ্ট মাসের মধ্যে বীজ পরিপক্ক হয়। অক্টেবর নভেম্বরে বীজ থেকে চারা গজায়।
উপকারী অংশঃ পাতা ও শাকা প্রশাখা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। পাতায় গ্লুকোসাইডস,ট্যানিন, স্যাপোনিন স্টেরোলস ও বিভিন্নধরণের ফ্যাটি এসিড থাকে। শাখায় Aliphatic Kelos betarol রয়েছে।
ব্যবহারঃ কোনো স্থান মচকে গেলে সঙোগ সঙ্গে শ্বেতদ্রোণের ৫/৬ টি পাতা নিয়ে তার সাথে ৪/৫ ফোটা কেরোসিন তেল ও আধা চিমটি লবণ মেখে মালিশ করলে মচকনো স্থান ভালো হয়ে যায়। দীর্ঘ দিনের ঠাস ঠাস শব্দের কাশিতে কায়েক দিন ধরে অল্প কয়েকটি পাতা বেজে খেলে কাশি ভালে হয়। সর্দির কারণে মাথা ধরা হলে ২০/২৫ টি পাতা পিষে রস করে সামাণ্য লবণ দিয়ে খেলে ৩/৫ দিনে ভালো হয়। খোস পাচড়ায় পাতা বেটে পেস্ট করে লাগালে খোস পাচড়া ভালো হয়।
No comments: