Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » বাংলাদেশে আঙুলের ছাপ বা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা আগামীকাল শেষ হতে যাচ্ছে।





 শেষ মূহূর্তে সিম রেজিস্ট্রেশনের জন্য হুড়োহুড়ি


বাংলাদেশে আঙুলের ছাপ বা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা আগামীকাল শেষ হতে যাচ্ছে।

জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা বলছেন, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত আট কোটি ৩৮লাখ সিম রেজিস্ট্রেশনের কাজ হয়েছে।

শেষের দিকে এসে বিভিন্ন কেন্দ্র গুলোতে আজ শুক্রবার সারাদিন গ্রাহকদের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে।

নির্ধারিত সময়ে সবগুলো সিমের রেজিস্ট্রেশন শেষ করা সম্ভব হবে কিনা সেটি নিয়ে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো আশংকা প্রকাশ করছেন।

বড় রাস্তার ধারে, পাড়া-মহল্লা এবং বিভিন্ন অলিগলিতে ছোট চেয়ার টেবিল নিয়ে রেজিস্ট্রেশনের কাজ চলেছে।

শুক্রবার সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় মানুষের ভিড় দেখা গেল। অনেক কষ্ট করে শেষ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনের কাজ শেষ করেছেন একজন গ্রাহক মিজানুর রহমান।


তিনি বলেন গত কয়েকদিনে তিনি রেজিস্ট্রেশনের জন্য দফায় দফায় চেষ্টা করেছেন। শুক্রবার সকালে এসে সফলতার মুখ দেখেন। মাঝে মধ্যেই সার্ভারের ধীর গতি ও তা শ্লথ হয়ে যাওয়ায় এ ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকেই।

সিম রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রথম দিকে অনেকে তেমন একটা গুরুত্ব না দিলেও শেষ দিকে অনেকের টনক নড়েছে। সেজন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকে তাদের কাজ সেরে নিয়েছেন।

একজন গ্রাহক নিলুফার রহমান জনালেন সংযোগ বন্ধ হয়ে যাবার আশংকা থেকেই তিনি শুক্রবার রেজিস্ট্রেশনের কাজ সম্পন্ন করেছেন।

তিনি বলেন, “আগে এটার গুরুত্ব বুঝি নাই। এখন দেখলাম এটা করতেই হবে। সেজন্য করলাম।”

যারা রেজিস্ট্রেশনের কাজ করছেন তারা বলছেন শেষের দিকে গ্রাহকের চাপ বেড়ে যাওয়ায় সার্ভারে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

রেজিস্ট্রেশনের কাজ করছেন এমন একজন ব্যক্তি জানালেন শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত তিনি যতগুলো আঙুলের ছাপ নিয়েছেন সেগুলোর রেজিস্ট্রেশন শেষ করতে পারেননি। কারণ সার্ভার কাজ করছে না।


সরকারি হিসেবে বাংলাদেশে মোবাইল সংযোগের সংখ্যা ১৩ কোটির কিছুটা বেশি। এখনো সাড়ে চার কোটির মতো সিম রেজিস্ট্রেশন বাকি আছে।

গ্রামীণ ফোনের চীফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন জানালেন এখনো পর্যন্ত তাদের সত্তর শতাংশের মতো সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে।

মি: হোসেন বলেন বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশনকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করার জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়ার গতি ধীর হয়ে যায়।

তিনি বলেন, “আমরা যে গতিতে কাজ করছিলাম সেটি যদি বজায় রাখতে পারতাম তাহলে রেজিস্ট্রেশনের কাজ শেষ হয়ে যেত। কোন একদিন আমরা ১৫ লাখ সিম রেজিস্ট্রেশন করেছি কিন্তু সেটি দেড় লাখে নেমে এসেছিল।”

ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ইতোমধ্যে বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেসব সিম রেজিস্ট্রেশন করা হবে না সেগেুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেয়া হবে।

মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর তরফ থেকে এরই মধ্যে সময় বাড়ানোর সময় আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply