লাবলু ।।মেহেরপুরে এহসান সোসাইটির বিরুদ্ধে সাড়ে ৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তার অভিযোগ ॥ পুলিশ সুপার কার্যলয়ে অভিযোগপত্র দাখিল
মেহেরপুরে এহসান সোসাইটির বিরুদ্ধে সাড়ে ৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তার অভিযোগ ॥ পুলিশ সুপার কার্যলয়ে অভিযোগপত্র দাখিল
মোঃআবু লায়েছ লাবলু ।।মেহেরপুরে এহসান এস রিয়েলএস্টেট এন্ড ডেভলপমেন্ট লিমিটেড সংস্থা (এহসান সোসাইটির) দ্বিগুন মুনাফা ও লাভংশ দেয়ার প্রলোভন দিয়ে শতাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে সাড়ে ৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকার ভুক্তভুগি গ্রাহকরা প্রতারিত হয়ে মেহেরপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
মেহেরপুর পুলিশ সুপার হামিদুল আলমের কাছে দাখিলকৃত অভিযোগ পত্রে জানাগেছে, সংস্থার ১৫জন কর্মকর্তা কর্মচারি বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে এলাকার দোকান ব্যবসায়ী, সরকারি ও বেসরকারি চাকুরীজীবি এবং কৃষকদের কাছ থেকে জামানত টাকার দ্বিগুন লাভের কথা বলে আনুমানিক সাড়ে ৮লাখ টাকা আত্মসাৎ করে অফিস বন্ধ করে লাপাত্ত হয়েছেন। গ্রাহকরা দীর্ঘদিন পর তাদের খুজে বের করে টাকা ফেরত চাইলে সময় চেয়ে কালক্ষেপন করতে থাকে। গ্রহকদেরদের টাকা ফেরত পাওয়ার আর কোন সম্ভবনা না থাকায় গত বুধরার ও বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপারের নিকট অভিয়োগ করেছেন। পুলিশ সুপার ভুক্তভুগি গ্রাহকদের সাক্ষাৎকার নিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। এই সংস্থার চাকুরীতে কর্মরত আসামীরা হলো, রাজু আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা জহিরুল ইসলাম, মীর মাহাবুবুর রহমান, জামাল উদ্দিন, মাওলানা আনসার উদ্দিন বেলালী, মওলানা মহাম্মদ ইয়ারুল ইসলাম, সোলাইমান হোসেন, হিরোক, আব্দুল হান্নান মাষ্টার, মওলানা রেজাউল করিম সোহেল, প্রফেসর নজরুল ইসলাম, আবÍাব মাষ্টার সারাফত আলি ও ইনতাজ আলি। এসব আসামীরা ২০১২ সালে মেহেরপুর কোর্ট রোডে গুড়পট্টিতে অবস্থিত মিন্টু প্লাজার দ্বিতীয় তলায় এহসান এস রিয়েলএস্টেট এন্ড ডেভলপমেন্ট লিমিটেড সংস্থা নামে অফিস খুলে এলাকার লোকজনদের মনে বিশ্বাস স্থাপন করে অধিক মুনাফা ও লাভাংশের প্রলোভন দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। আসামীরা সকলে এই সংস্থার গভনিং বডির সদস্য। প্রতারিত বেশ কয়েক জনের সাথে এই প্রতিনিধি কথা হয়। তাদের মধ্যে জেলা শহরের স্টেডিয়ামপাড়ার বাসিন্দা মোটরসাইকেল মিস্ত্রী ও ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন মুন্না, শিবলু ও ওমরুল বলেন, তাদের সরলতার সুযোগে এহসান এস রিয়েলএস্টেট এন্ড ডেভলপমেন্ট লিমিটেড সংস্থার কর্মীদের প্রতারনার শিকার কয়েছেন। মোটর সাইকেল মিস্ত্রি জহুরুল কান্নায় জড়িত কন্ঠে বলেন, তার জীবনের গচ্ছিত ৬লাখ টাকা ও ডিপিএস-এর ৩লাখ ৪৫হাজার ৬শ টাকা খোয়া গেছে। দ্বিগুন মুনাফা ও লাভাংশ পাওয়ার আশায় এই সংস্থায় জমা দিয়েছি। এখন পথে বসেছি। মুন্না বলেন, তাদের প্রতারনার ফাঁদে পা দিয়ে অধিক মুনাফার আশায় সংস্থায় ১লাখ টাকা জমা দিয়েছি। এভাবেই শত শত গ্রাহক এই প্রতিনিধিকে কাছে পেয়ে ঘিরে ধরে তাদের সব শেষ হয়ে গেছে, বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। তারা সরকারে কাছে প্রতিকার চাই, প্রতারকদের বিচার চাই ও জামানতকৃত টাকা ফেরত চাই। অভিযুক্তদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোনে কাউকে পাওয়া যায়নি।
Tag:
No comments: