Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » লজ্জ্বাবতী, দূর্বা, কলকে, বেল, শ্বেতদ্রোণ বা দ-কলস বা কলসকাঠি, কেশ রাজ, নয়ন তারা উপকারী অংশ,




 
  লজ্জ্বাবতী,
দূর্বা,
কলকে,
বেল,
শ্বেতদ্রোণ বা দ-কলস বা কলসকাঠি,
কেশ রাজ,
নয়ন তারা উপকারী অংশ,

লজ্জ্বাবতী

বাংলা নাম- লজ্জাবতী। আবার কেউ কেউ এক বলেন লাজুক লতা।
ইংরেজি নাম- Sensitive Plant
বৈজ্ঞানিক নাম-Mimosa pudica Linn
পরিবার- Mimosaceae.

পরিচয়ঃ- বর্ষজীবি গুল্ম আগাছা বা ওষুধী গাছ।
কাণ্ড- লতানো। শাখা প্রশাখায় ভরা। কাঁটাযুক্ত। লালচে রঙের। কিছুটা শক্ত। সহজে ভাঙ্গে না বরং পেচিয়ে টানলে ছিড়ে যায়।
পাতা- যেীগিক পত্র। কয়েক জোড়া পাতা বিপ্রতীপভাবে থাকে। অনেকটা তেতুল পাতার মত। হাত ও পায়ের স্পর্শে লজ্জ্বাবতীর পাতা বুঁজে এসে বন্ধ হয়ে যায়। পাতা সরু ও লম্বাটে, সংখ্যায় ২ থেকে ২০ জোড়া। উপপত্র কাঁটায় ভরা।
ফুল: উভলিঙ্গ। বৃতির সংখ্যা ৪ টি, পাপড়ি ৪টি, ফুল গুলি বেগুনী ও গোলাপী রঙের।
ফল- দেখতে চ্যাপ্টা এবং একত্রিত। মে থেকে জুন মাসে ফুল আসে, জুলাই আগষ্টে ফুল থেকে ফল হয় এবং জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মাসে বীজ থেকে চারা গজায়।

উপকারী অংশঃ- পাতা ও মুল। পাতায় এ্যাকোলয়েড ও এড্রেনালিন এর সব উপকরণ থাকে। এছাড়ও (turgorins) টিউগুরিনস্ এবং মুলে ট্যানিন থাকে।

ব্যবহারঃ- দাতেঁর মাঢ়ির ক্ষত সাড়াতে গাছসহ ১৫ থেকে ২০ সে.মি. লম্বা মূল পানিতে সিদ্ধ করে সে পানি দিয়ে কয়েক দিন দিনে ৩ বার কুলকুচা করলে ভালো হয়। সাদা ফুলের লজ্জ্বাবতীর পাতা ও মুল পিষে রস বের করে নিয়মিত খেলে পাইলস্ ও ফিস্টুলায় আরাম পাওয়া যায়।
দূর্বা

দূর্বা

বাংলা নাম- দূর্বা। হিন্দি নাম দূর্বা।
ইংরেজি নাম- Bermuda grass.
বৈজ্ঞানিক নাম- Cynodon dactylon Pers.
পরিবার/গোত্র- Gramineae.

পরিচয়ঃ- বহুবর্ষজীবি। বিরুৎ। জানা শুনা আগাছা হিসাবে।
কাণ্ড- বহু শাখায়িত। কাণ্ডে পর্ব গুলো থাকে স্পষ্ট। চ্যাপ্টা রোমহীন। গিটওয়ালা। লালচে। প্রতি পর্ব থেকে শেকড় গজায়। মাটিতে হেলে দুলে চলে বড় হয়।
পাতা- পাতা রেখাকার। কাণ্ডকে পাতার খোল ঢেকে রাখে। গাছের রঙ হালকা সবুজ থেকে গাঢ় সবুজ। পাতা অল্প রোমযুক্ত। প্রান্ত সুচালো।
ফুল-ফুল ধরা কাণ্ড খাড়া,আঙ্গুরের মত পুস্পমজ্ঞুরী শাখাম্বিত। এর পুস্পমজ্ঞুরী ৩টি থেকে ৫টি। পাশের দিকে চ্যাপ্টা। বোঁটা ছাড়া ফুল দুই সারীতে থাকে।
ফল-/বীজ- ফুল থেকে ফল ও বীজ হয়। সবুজ রঙের বীজ ছোট চকচকে। ফুল থেকে বীজ উৎপাদন হয়। এপ্রিল থেকে জুলাই মাসে ফুল ও বীজ পরিপক্ক হয় এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যে বীজ থেকে চারা গজায়।

উপকারী অংশঃ সম্পূর্ণ অংশ। ট্রাইটারপিনয়েডস,প্রোটিন ও মর্করা থাকে। এছাড়া জৈব এসিড পাওয়া যায়।

ব্যবহারঃ
» কাটা স্থানে দূর্বাঘাস বেটে বা দাঁত দিয়ে থেতলে লাগালে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত ঝরা বন্ধ হয়।
» কোনোভাবেই মেযেদের ঋতুস্রাব হচ্ছে না এরকম হলে দূর্বাঘাস বেটে এককাপ রস খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।
» প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কাপ দূর্বা ঘাসের রসের সাথে সামান্য আখের রস মিশিয়ে খেলে অশ্বরোগ আরোগ্য হয়।
» দূর্বার কচি ডগা সামান্য সরিষার তেলসহ দাঁতের গর্ত করা স্থানে দিলে জীবাণু মারা যায় ও উপকার হয়।
» পায়ের একজিমা হলে চুলকিয়ে দূর্বাঘাসের রস দিলে কয়েকদিনে ভালো হয়।
» অরুচি,শ্রান্তি,পিত্তদাহ,বমি ও রক্ত দোষ নাশক হিসাবে কাজ করে। এ ক্ষেত্রে দূর্বার মুল সমপরিমান দূর্বার পাতার রস ও পানি জ্বাল দিয়ে ক্বাথ তৈরী করে ক’দিন খেলে উপকার পাওয়া যায়।
» মুখের ব্রন সাড়াতে এককাপ দূর্বার রস এককাপ পুরাতন ঘি ভেজে মুখ ধুয়ে লাগালে ব্রন ভালো হয়।
» একভাগ দূর্বার রস একভাগ তিলের তেল তিনমাস নিয়মিত সপ্তাহে দুই দিন মাথায় দিলে চুলপড়া বন্ধ হয়।
» শরীরের বাত ব্যাথা রোগ হলে দূর্বার রস তার সমপরিমান কাঁচা হলুদ একসঙ্গে বেটে সমান পরিমান দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে ভালো হয়।
» দূর্বা ও আতপ চাল সমান সমান নিয়ে একসঙ্গে বেটে বড়া করে বানিয়ে সপ্তাহে তিন/চার দিন ভাতের সাথে খেলে সুফল পাওয়া যায়।
» দাঁতের পায়োরিয়া সাড়াতে দূর্বা ঘাসের রস ও দুধ মিশিয়ে দাঁত মাজলে পায়োরিয়া ভালো হয়।








কলকে

নাম- কলকির মত হওয়ায় একে কলকে বলে। বাংলা নাম কলকে, কলকি,হলদি কলকি,কড়ি,চায়না করবি। হিন্দি নাম পিলাকনি,যারকুনেল।ইংরেজি নাম ইয়োলো ওলিয়েন্ডার,এক্সিলয়েল ট্রী। উদ্ভিদতাত্বিক নাম Thevetia peruviana K.Schum. পরিবার Apocynaceae.

পরিচয়: কলকে বাংলাদেশের সবখানে দেখা যায়।আকারে ছোটখাটো। ঘন সবুজ পাতায় বিন্যস্ত।

গাছের গঠন: সারা বছর সবুজ পাতায় ঢাকা থাকে। কাণ্ডগোল,মসৃণ, হালকা ধুসর,নরম,অগুনতি শাখায় ছাড়ানো ছিটানো। ছোট খাটো গাছ। উচ্চাতায় ১ মিটার পর্যন্ত হয়। ডাল কাটলে বা ভাঙ্গে সাদা সাদা দুধের ন্যায় কষ বের হয়। দুধ গুলো আটালো।

পাতা: কলকের পাতা চিকন ও সরু। লম্বায় ১০ থেকে ১৫ সে.মি. পর্যন্ত,চওড়ায় ২ সে.মি.পর্যন্ত। রঙ ঘন সবুজ। বোটাঁ ছোট। পাতা সরু ছুরির মত শেষ প্রান্ত সুচালো। ঘনভাবে সুবিন্যাস্ত।

ফুল: কলকের নাম হলদে কলকে হলেও এর ফুল শুধু হলুদ না হয়ে সাদা গোলাপি,হালকা লাল হয়। ফুল কলকির মত দেখতে। লম্বায় ১০ সে.মি.। কলকে গাছের শাখার মাথায় ফুল ধরে। বৃতি গুলো একটার সাথে আর একটা লাগানো। সবুজ। লম্বায় ৩ সে.মি.। দল গুলো ৫ সে.মি. লম্বায়। প্রত্যেকটির সাথে প্রত্যেকটি যুক্ত। ফুলের পাপড়ি ৫ টি। পাপড়ি গুলো প্যাচাঁনো থাকে একটার সাথে একটা।,নলাকৃতি। ফুলে মধু থাকে।

ফল: ফল জোড়ায় জোড়ায় ফল ধরে। ফলের দুই প্রান্ত ঢালু তবে মধ্যখানে ফুলে ওঠা উঁচু থাকে। অনেকটা ডিমের মত। ফল ফ্যাকাসে হলদে। ডিমের ভেতর বীজ থাকে। প্রতি ফলে ২ টি বীজ থাকে। বীজ থেকে বংশ বিস্তার। বীজ অত্যন্ত বিষাক্ত। বীজ পাকলে ফ্যাকাসে বাদামী হয়।

উপকারী অংশ: কলকের ছাল,পাতা ও বীজ। ছালে কার্ডিওএকটিভ,গ্লাইকোসাইড থাকে। পাতা ও বীজে গ্লাইকোসাইড রয়েছে।

ব্যবহার: ছাল ও বীজে কর্ডিয়াক টনিক ও কাডর্য়িাক স্টিমুলেন্ট হিসাবে ব্যবহার করা হয়। শক্তিশালী রেচক । পাতাতেও একই ধরনের গুণাগুণ রয়েছে। বীজ অত্যন্ত বিষাক্ত।বীজ ব্যবহার করে গর্ভবতী মায়েদের গর্ভপাত ঘটানো যায়। বাতরোগে ও পা ফোলা রোগে কয়েকটি বীজ বেটে পেস্ট তৈরী করে আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত কয়েকদিন লাগালে পা ফোলা ও বাতরোগ ভালো।


বেল
নাম- বাংলাদেশের সবখানেরই ওষুধি গাছ বেল। বাংলা নাম বেল। হিন্দি ও উর্দূ নামও বেল। ইংরেজি নাম Wood Apple, Stone Apple । বৈজ্ঞানিক নাম Aegle marmelos এবং পরিবার Rutaceae.

পরিচয়ঃ মাঝারী আকারের বহুবর্ষজীবী কাষ্ঠল উদ্ভিদ বেল।

গাছের গঠন: মসৃণ। হালকা ধুসর, মাথা এলোমেলো চারপাশে শাখা প্রশাখা মেলানো। সারা দেহে কাঁটায় সাজানো। শীতে পাতা ঝরে। বসন্তে পাতা গজানো শুরু হয়।কচি পাতা দেখতে তামাটে ও পরিণত অবস্থায় গাঢ় সবুজ। পাতা গজানোর পর পুল ফোটে।

পাতা: সবুজ পাতা শীতে ঝরে। বসন্তে নতুন পাতা গজায়। পাতার বোঁটা ছোট। তিনটি পাতা। পাতা গুলো একান্তরভাবে সাজানো। লম্বায় ৪ থেকে ৭ সে.মি.। বর্শার ফলার মত প্রান্ত কোণাকৃতি। চওড়ায় ১.৫ থেকে ২ সে.মি.।

ফুল: বেলের ফুল ছোট, হাল্কা সবুজ। তবে তীব্র সুগন্ধি। পাপড়ি খোলামেলা। ৪/৫টি পাপড়ি থাকে। পরাগকেশর অসংখ্য।

ফল: বেলের ফল গোল,শক্ত খোসা। কাচাঁ বেল ফল হালকা ধুসর। পাকা ফল হলুদ ও সবুজের মিশ্রণ। খোসা কাঠের মত শক্ত। ফলের ভেতর ৮ থেকে ১০ টি প্রকোষ্টে ভাগ। প্রতিটি ভাগে কমলা-হলুদ রঙের শাঁস থাকে। শাঁস গুলো সুমিষ্ট,সুগন্ধি,নরম ও আশঁ সমৃদ্ধ।

উপকারী অংশ: বেলের পাতা,ফুল ও ফল মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী। ফলের শাঁেস রয়েছে প্রচুর শর্করা,উদ্বায়ী তেল,এ্যালকোহল,তারপিন,ট্যানিন,প্রোটিন,খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন। বেলের ছালে ও মুলে রয়েছে উপক্ষার,গ্লাইকোসাইড,কিউমারিন,অত্যাবশকীয় তেল।

ব্যবহার: দীর্ঘদিনের আমাশয়ের চিকিৎসায় বেল অত্যন্ত কার্যকরী। কচি কাঁচা বেল চাকা চাকা করে কেটে রোদে শুকিয়ে বেলশুট তৈরী করে নিতে হয় প্রথমে। বেল ফল থেকে তৈরী ২/৩টি বেলশুট সন্ধ্যায় ১ কাপ পানি ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেতে হবে ১ মাস। এতে পুরাতন আমাশয় সম্পূর্ণ ভালো হয়।

বেল পাতার পুড়িয়ে ছাই দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে মুখের র্দূগন্ধ দুর হয় ও দাতেঁর মাড়ি শক্ত সবল হয়।

পাকা বেলের শাঁস পানি মিশিয়ে শরবত করে খেলে বদহজম দুর হয়। হজম শক্তি বাড়ে। শরীর ঠান্ডা হয় সাথে সাথে।



শ্বেতদ্রোণ বা দ-কলস বা কলসকাঠি

 

নাম- শ্বেতদ্রোণ ঝোপাণো গাছ। কেউ বলেন দন্ডকলস।আবর কেউ বলেন দোড় কলস। অন্যরা চেনন কানশিশা। এর ইরেজি নাম- Wite Verticilla। বৈজ্ঞানিক নাম Leucusapera Link এবং পরিবার Labiatae। পাওয়া যায় দেশের সর্বত্রই।

পরিচয়ঃ শ্বেতদ্রোণ বহুবর্সজীবি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এর শিকড় মাটির ৪/৫ সে.মি. গভীরে যায়। হাত দিয়ে টান দিলে সহজে ওঠে আসে দেহ গাঢ় সবুজ। অসংখ্য গিট বা পর্বে সমস্ত কান্ডে থাকে। কানণ্ড শক্ত ফুল অবৃন্তক। প্রতিটি গিট থেকে দু’পাশে বিপ্রতীপভাবে শাখা প্রশাখা বের হয়। পাতা সরল। পাতার বোটায় দু’টি পত্রিকা থাকে। পাতা লম্বায় ৪ থেকে ৭ সে.মি.লম্বা,চওড়া ১ সে.মি.।পর্ব থেকে পাতা ৪০ সে.মি.লম্বা হয়ে থাকে। মাছির চোখের মত ফুলের মঞ্জুরীতে অনেক গুলো সাদ ফুল থাকে। ফুল গুলোর গোড়ায় মধু থাকে। বাচ্চরা সে মধু খেতে পচন্দ করে। বীজের মাধ্যমে শ্বেদ্রেণের বংশ বিস্তার। মার্চ এপ্রিলে ফুল ফোটে। আগষ্ট মাসের মধ্যে বীজ পরিপক্ক হয়। অক্টেবর নভেম্বরে বীজ থেকে চারা গজায়।

উপকারী অংশঃ পাতা ও শাকা প্রশাখা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। পাতায় গ্লুকোসাইডস,ট্যানিন, স্যাপোনিন স্টেরোলস ও বিভিন্নধরণের ফ্যাটি এসিড থাকে। শাখায় Aliphatic Kelos betarol রয়েছে।

ব্যবহারঃ কোনো স্থান মচকে গেলে সঙোগ সঙ্গে শ্বেতদ্রোণের ৫/৬ টি পাতা নিয়ে তার সাথে ৪/৫ ফোটা কেরোসিন তেল ও আধা চিমটি লবণ মেখে মালিশ করলে মচকনো স্থান ভালো হয়ে যায়। দীর্ঘ দিনের ঠাস ঠাস শব্দের কাশিতে কায়েক দিন ধরে অল্প কয়েকটি পাতা বেজে খেলে কাশি ভালে হয়। সর্দির কারণে মাথা ধরা হলে ২০/২৫ টি পাতা পিষে রস করে সামাণ্য লবণ দিয়ে খেলে ৩/৫ দিনে ভালো হয়। খোস পাচড়ায় পাতা বেটে পেস্ট করে লাগালে খোস পাচড়া ভালো হয়।


কেশ রাজ

কেশ রাজ

কেশরাজকে অনেক স্থানে কেশুতি। কেউতি,কালোকেশিরিয়া, কালসাতার গাছ। বৈজ্ঞানিক নাম Ectipta prostrata Linn,Elcipta alba Hask। এর পরিবার Compositae।

পরিচয়: বর্ষজীবী কেশরাজ গুল্ম জাতীয় উদ্দ্ভিদ।

শাখা: লতানো। শাখা থেকে প্রশাখা বের হয়। শাখা বা প্রশাখা বের হয় বিপরীতভাবে। লম্বায় ৫০ থেকে ৬০ সে.মি. কালছে,রসে ভার ভারী। শাখা প্রশাখা এতটাই ভারী যে সেগুলো নিচের দিকে হেলানো থাকে। শাখা-প্রশাখার মত পাতাও বিপ্রতীপ ভাবে বের হয়।

পাতা: কেশরাজের পাতা খুবই ছোট। গাঢ় সবুজ রঙের। লম্বায় ৪ থেকে ৫সে.মি,চিকন। পাতার কোল থেকে প্রশাখা বের হয়। এই প্রশাখার শেষ প্রান্তে ২/৩ টি ফুল ফোঠে।

ফুল: পুল সাদা। অনেক গুলো সাদা সাদা রঙের পরাণ নালী। বৃতি পাচঁটি,সংযুক্ত। ফুল থেকে ফল হয়। ফুল র্অপ কয়েকদিনে ঝরে পড়ে ও ফল বাড়তে থাকে।

ফল: ফল গাঢ় সবুজ। প্লটের মত। ফলের ভেতর অতি ক্ষুদ্র বীজ। বীজের খোসা শুকোনো মাটির মত। খোসার ভেতর ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কালো রঙের অসংখ্য বীজ থাকে। ফল ফেটে বীজ পড়ে চারা গজায়।

উপকারী অংশ: পাতা,কাণ্ড,ফুল ও ফল। এই উদ্ভিদে এ্যালকোলয়েড স্টেরল,ইউডে লোল্যাকটোন,লিউটেইওলিন,গ্লাইকোসাইড,ট্রিটারপেন,গ্লাইকোসাইড এবং ফাইটেস্টেরল বিদ্যমান।

ব্যবহার:
» উদ্ভিদটি জাল দিয়ে নির্যাস তৈরী করে মায়োকার্ডিয়াল ডিপ্রেস্যান্ট ও হাইপোটেনসিভ এবং কয়েকটি পাতা বেটে খেলে কৃমি ও কাশি উপশম হয়।

» উদ্ভিদটির পাতা, ফুল ও ফলসহ সারাদেহ বেটে রস তৈরী করে নিয়মিত কয়েকদিন মাথায় দিলে মাথা ঠাণ্ডা হয়, চুল পড়া বন্ধ হয়, চুল লম্বা ও কালো হয়। প্রতিদিন রসের যোগান দেয়া সম্ভব না হলে এক কাপ রস তৈরী করে ২৫০ মিলিলিটার তিল তেল বা নারকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করলে একই ফল পাওয়া যায়।

» শরীরের কাটা যাওয়া স্থানে কেশরাজের পাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে লাগালে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে কাটা স্থানের ক্ষত শুকিয়ে যায়।



নয়ন তারা

নয়ন তারা

বাংলা নাম নয়ন তারা। সংস্কৃত নামও তাই। ইংরেজরা নয়নতারাকে চেনেন Peri Winkle নামে। নয়নতারার বৈজ্ঞানিক নাম Vinca rosea (Catharanthus roseus ) এবং পরিবার Apocynaceae..

পরিচয়ঃ নয়নতারা বহু বর্ষীজীবী গুল্ম উদ্ভিদ।

কাণ্ড: গাছ লম্বা দেড় থেকে ৬০ থেকে ৭০ সে.মি.। কান্ড নরম,রসালো ও গাঢ় সবুজ। ডাল পালা এপাশ ও পাশ ছড়ানো। সহজে চারপাশে চড়িয়ে যায়।

পাতা: পাতা গাঢ় সবুজ ৭/৮ সে.মি. লম্বা ও ২/৩ সে.মি প্রসস্ত। পাতার মধ্যে উপশিরা বিদ্যমান। একে কেউ কেউ পয়সা ফুল আবার অনেকে একে বিস্কুট ফুলও বলে থাকেন।

ফুল: সাদা, গোলাপি, হালকা নীল ও সাদার উপর গোলাপী চোখের নয়ন তারা দেখা যায়। ফুল সাদা, গোলাপী, সাদার উপর গোলাপী গন্ধহীণ তবে আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। ফুেলর পাচঁটি পাপড়ি । প্রত্যেকটি পাপড়িই ৩ সে.মি. পর্যন্ত চওড়া।দলনল সরূ ,প্রায় আড়াই সে.মি. লম্বা। ফুল সারা বছরই ফোটলেও শরৎ ও বসন্ত ঋতুতে বেশি বেশি ফোটে।ফুল থেকে ফল ও বীজ হয়।

বীজ: বীজ কালো ও অমসৃণ। কালো রঙের বীজ থেকে চারা উৎপাদনের মাধ্যমে বংশ বিস্তার ঘটে। খুবই সহজেই টবে নয়নতারার চাষ করা যায়।

উপকারী অংশঃ নয়নতারা ফুলের গাছে ৬০ টিরও বেশি উপ ক্ষার রয়েছে।এর মধ্যে ভিনক্রিস্টিন ও ভিনব্লাস্টিন লিউকেমিয়া রোগের ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। দুইটি secoiridoial glucosides,ursolic acid, oleanolic acid আছে।

ব্যবহার: উচ্চ রক্তচাপে নয়নতারার একটি গাছ ও শুকনো মুলের ১ গ্রাম,কাচাঁ হলুদ ২ গ্রাম থেতলে এক কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ক্বাথ করে নিয়ে এক চতুর্থাংশ সিদ্ধ কাথ সকাল ও বিকাল দু’বেলা ৮/১০ দিন খেলে রক্ত চাপ কমে। ক্বাথটি ৫/৬ দিন খেলে কৃমির উপদ্রব কমে এবং ১৫/২০দিন খেলে কৃমি থেকে রোগমুক্ত হওয়া যায়। এছাড়া এতে ডায়াবেটিক রোগও নিয়ন্ত্রিত হয়।

অথবা, উচ্চ রক্তচাপ রোগে সাত দিন নয়নতারার পাতা খেলে রক্তচাপ কমে। এক্ষেত্রে প্রথম দিন ১ কাপ গরম পানিতে ১টি, দ্বিতীয় দিন এক কাপ পানিতে ২টি, তৃতীয় দিন ৩টি, চতুর্থদিন ৪টি, পঞ্চমদিন ৫টি, সপ্তম দিন ৭টি পাতা দিয়ে গরম পানি খেতে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসলে আর নয়ণতারার পাতা খাওয়ার প্রয়োজন নেই। 






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

3 comments:

  1. ভাই আমি একট গাছ খুজছি নাম - দন্ত উৎপল , খুব দরকার যদি এর ছবি ও পরিচিতি পেতাম খুব উপকার হতো

    ReplyDelete
    Replies
    1. শ্বেতদ্রোণ বা ডোঙ্গকলস, দন্ডকলস ই দন্ত উৎপল।

      Delete
    2. খুব খুজলাম জানতে পারলাম না আমিও!

      Delete