Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » সুচি কি মিয়ানমারের মুসলমানদের ঐতিহাসিক পরিচয় অস্বীকার করবেন?






সুচি কি মিয়ানমারের মুসলমানদের ঐতিহাসিক পরিচয় অস্বীকার করবেন?

 মিয়ানমারে রাজনৈতিক পরিবর্তন এসেছে। দীর্ঘদিনের সামরিক শাসন অবসানের পথে এখন। অং সান সুচি’র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি বা এনএলডি নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় গেছে। এতোসব পরিবর্তন সত্ত্বেও মিয়ানমারের মুসলমানদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় নি।



মিয়ানমারের মুসলিম বিদ্বেষী উগ্র জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ গোষ্ঠি নাইন-সিক্স-নাইন মুভমেন্ট সম্প্রতি আরাকানে এক মুসলিম যুবককে পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছে।



আরাকান প্রদেশটি মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। এই প্রদেশের বেশিরভাগ অধিবাসী মুসলমান। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের কবল থেকে মিয়ানমার স্বাধীন হবার বহু আগে থেকেই মুসলমানরা এই আরাকানেই বসবাস করে আসছে,জীবিকার প্রয়োজনে কাজকর্ম করে আসছে। এ কারণেই হয়তো ১৯৬২ সালে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় যাবার পর থেকে মুসলমানদের বংশ-পরিচয়শূন্য করার জন্য সকল প্রকার চেষ্টা চালানো হয়।

শীতল যুদ্ধের সময় মিয়ানমারের সামরিক সরকারগুলো ছিল বিশ্ব কমিউনিস্ট কিংবা চীনা কমিউনিস্ট শাসন ব্যবস্থায় বিশ্বাসী। সেজন্য মুসলমানদের উপর নানাভাবে নির্যাতন করা হলেও বিশ্বব্যাপী তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া হত না। পাশ্চাত্যও তেমন কোনো সংবেদনশীল সমালোচনা করে নি। কিন্তু অন সান সুচি সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নামার পর আমেরিকার নেতৃত্বে পাশ্চাত্যের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। সুচি’কে তারা তখন থেকে মিয়ানমারের জনগণের অধিকার আদায়কারী এবং মানবাধিকার সুরক্ষার নেতা হিসেবে তুলে ধরে। সুচি’কে অবশ্য এজন্য মূল্যও দিতে হয়েছে অনেক। পণর বছরেরও বেশি সময় তাকে গৃহবন্দি জীবন কাটাতে হয়েছে। দীর্ঘ বন্দি জীবনের পর ২০০৯ সালে সুচি মিয়ানমারের মানবাধিকার সুরক্ষাকারী জননেত্রীতে পরিণত হয়। কিন্তু দু:খজনক হলেও বাস্তবতা হলো সুচি কিংবা তার দল এনএলডি মিয়ানমারের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বিশেষ করে রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রত্যাশার বিরুদ্ধে গিয়ে তাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ ও নীতিকেই প্রশ্রয় দেয়। জনমনে এ প্রশ্নটি স্বাভাবিকভাবেই দেখা দেয় যে সুচি কিংবা তার দল কেন মিয়ানমারের ইতিহাসের সাক্ষী প্রাচীন একটি জনগোষ্ঠি, যাদের শেকড় অনেক গভীরে প্রোথিত রয়েছে, তাদের সঙ্গে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করছে না, কী কারণে মুসলমানদেরকে অধিকার বঞ্চিত করছে? যেই সুচি বর্ণবাদ, ধর্ম এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন তিনি কেন মিয়ানমারের মুসলমানদের ওপর হত্যা নির্যাতনের ব্যাপারে বিশেষ করে আরাকানে মুসলিম নিধনের ঘটনায় চুপচাপ থাকেন,কেন তিনি কোনোরকম প্রতিক্রিয়া দেখান না। মুসলমানরা আরাকানে কৃষিকাজ করে।

সামরিক শাসনামলের দীর্ঘসূত্রিতায় জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় মুসলমানদের উন্নতি ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু এখন সেই সুচির দল ক্ষমতায় এসেছে যারা স্বৈরাচার আর সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে দীর্ঘকাল সংগ্রাম করেছে। সুতরাং সুচির উচিত মুসলমানদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক নীতি পরিহার করার লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া। সংসদে এখন সুচির দলের অবস্থান বেশ মজবুত। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী তার দল থেকেই হয়েছে। তার মানে সুচিই আগামিদিনের মিয়ানমারের নেতৃত্বের ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন। সুতরাং মিয়ানমারের ইতিহাসের অংশীদার মুসলমানদের অনস্বীকার্য পরিচয় সুচি মেনে নেবেন এই প্রত্যাশা বিশ্লেষক মহলের।#২১ মার্চ (রেডিও তেহরান):






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply