বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের পুরো প্রত্রিক্রয়া বদলে যাচ্ছে। গতানুগতি ধারায় শিক্ষকরা আবেদন করতেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে; পরিচালনা কমিটি তাদের নিয়োগ দিত। নতুন ব্যবস্থায় শিক্ষকরা অনলাইনে ‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ’ (এনটিআরসিএ) বরাবর আবেদন করবেন। নিয়োগ পরীক্ষায় ঘোষিত ফলের মেধা তালিকার ভিত্তিতে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষই শিক্ষক নিয়োগ দেবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি কেবল নিয়োগপত্র ইস্যু করবে।
রোববার থেকেই শুরু হচ্ছে এ প্রক্রিয়া। অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করতে রোববার বেলা ১১টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত মুঠোফোন কোম্পানি টেলিটকের সঙ্গে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই হবে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এতে উপস্থিত থাকবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সর্বশেষ নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ফলের ভিত্তিতে মেধা তালিকা এরই মধ্যে প্রস্তুত করেছে এনটিআরসিএ। এখন শিক্ষকরা অনলাইনে আবেদন করলে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। আবেদনের পর চাহিদা ও মেধাক্রম অনুযায়ী এনটিআরসিএ থেকে প্রতিটি পদের বিপরীতে একজন করে প্রার্থীর নাম সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে। এর পর এক মাসের মধ্যে নিয়োগপত্র জারি করবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি।
সারাদেশে প্রায় ১৯ হাজার বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাড়ে তিন হাজার কলেজ ও সাড়ে নয় হাজার মাদ্রাসা রয়েছে। গত ডিসেম্বর এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের নতুন নিয়ম জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য সংশোধন করা হয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন বিধিমালা, ২০০৬-এর।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, উপজেলা ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এরই মধ্যে সারাদেশে শূন্য পদে তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। এই শূন্য পদের ভিত্তিতে এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে (www.ntrca.gov.bd) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে
No comments: