সাত টি গুনাগুন
তেজপাতা এক প্রকারের উদ্ভিদ, যার পাতা মসলা হিসাবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। সাধারণত এর বৈজ্ঞানিক নামঃ Cinnamomum tamala। এই গাছটি মূলত ভারত,লেপাল, ভুটান ও চীন ইত্যাদি দেশে অধিক জন্মে।
কেবল কি খাবারের সুগন্ধি বাড়াতেই এর ব্যবহার ? নাকি আছে আর ও কিছু গুন ? আসুন জেনে নিই তেজপাতার এমন ৭ টি ব্যবহার যেগুলো আপনি আগে জানতেন না।
তেজপাতা ভিটামিনস ও মিনারেলসে ভরপুর। এতে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও পটাসিয়াম রয়েছে । এছাড়া ১০০ গ্রাম তেজপাতা থেকে ২৩ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৪৩ মিলিগ্রাম আয়রন, ৩.৭ মিলিগ্রাম জিংক, ২.৮ মিলিগ্রাম সিলেনিয়াম পাওয়া যায়।
১) ঘামাচি সারায় তেজপাতাঃ ঘামাচি দূর করার জন্য তেজপাতা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, তারপর পাটায় মিহি করে বাটে নিন। এই তাজপাতা বাটা শরীরে মেখে ঘণ্টা খানেক রাখুন। তারপর গোসল করে ফেলুন। কোন রকম সাবান ব্যাবহার করবেন না। কয়েকবার ব্যাবহার করলেই ঘামাচি একদম সেরে যাবে।
২) চোখ ওঠা উপশমঃ তেজপাতা পানিতে ফুটিয়ে নিন । সেই পানি ঠান্ডা করে চোখ ধুতে ব্যবহার করুন । চোখ ওঠা দ্রুত আরোগ্য হবে । সকালে ও বিকালে দুই বেলা দেবেন ।
৩) ফোঁড়া সারাতেও কার্যকরীঃ ফোঁড়া সারানোর জন্য তেজপাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন । দ্রুত সেরে যাবে ।
৪) দূর্বলতা দূর করেঃ শারিরিকভাবে দূর্বল ও রোগা মানুষদের জন্য তেজপাতা দারুণ কার্যকারি । কয়েকটা পাতা থেঁতলে ২ কাপ গরম পানিতে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন । এরপর ছেঁকে নিয়ে পান করুন । ২ বার করে টানা ২ সপ্তাহ খেলে শরীরে শক্তি ও চেহারায় লাবণ্য ফিরে পাবেন ।
৫) গলা ভাংগা দ্রুত সারাবেঃ চটজলদি ভাংগা গলা ঠিক করতেও তেজপাতার বিকল্প নেই । ৭ গ্রাম তেজপাতা ৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ২ কাপ করে নিন । এরপর ঐ পানি দিয়ে গড় গড়া করুন । গলা ভাংগা দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে ।
৬) মাড়ির ক্ষতের চিকিৎসায় দারুণ উপকারীঃ মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে ? তেজপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন । তারপর সেটা দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজুন । মাড়ির ক্ষত সেরে যাবে ।
৭) অরুচি দূর করেঃ তেজপাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে নিয়মিত কুলি করুন, অরুচি ও মুখের তিতো ভাব চলে যাবে ।
তেজপাতা এক প্রকারের উদ্ভিদ, যার পাতা মসলা হিসাবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নামঃ Cinnamomum tamala। এই গাছটি মূলত ভারত,নেপাল,ভুটান ও চীনের।[২] গাছটি ২০ মিটারের বেশি লম্বা হতে পারে।
সুগন্ধিতে ভূমিকা রাখে
Beta-caryophyllene[৩]
Linalool[৩]
Eugenol[৪][৫]
তথ্যসূত্র
"The Plant List: A Working List of all Plant Species"।
"USDA GRIN Taxonomy"।
Ahmed, Aftab et al.; Choudhary, M. Iqbal; Farooq, Afgan; Demirci, Betül; Demirci, Fatih; Can Başer, K. Hüsnü (২০০০)। "Essential oil constituents of the spice Cinnamomum tamala (Ham.) Nees & Eberm."। Flavour and Fragrance Journal 15 (6): 388–390। ডিওআই:10.1002/1099-1026(200011/12)15:6<388::AID-FFJ928>3.0.CO;2-F। সংগৃহীত ২৯ জুন ২০০৯।
Dighe, V. V. et al.; Gursale, A. A.; Sane, R. T.; Menon, S.; Patel, P. H. (২০০৫)। "Quantitative Determination of Eugenol from Cinnamomum tamala Nees and Eberm. Leaf Powder and Polyherbal Formulation Using Reverse Phase Liquid Chromatography"। Chromatographia 61 (9 - 10): 443–446। ডিওআই:10.1365/s10337-005-0527-6। সংগৃহীত ২৮ জুন ২০০৯।
Rao, Chandana Venkateswara et al.; Vijayakumar, M; Sairam, K; Kumar, V (২০০৮)। "Antidiarrhoeal activity of the standardised extract of Cinnamomum tamala in experimental rats"। Journal of Natural Medicines 62 (4): 396–402। ডিওআই:10.1007/s11418-008-0258-8। পিএমআইডি 18493839। সংগৃহীত ৩ জুলাই ২০০৯।
বিষয়শ্রেণীসমূহ:
গাছমসলাভুটানের উদ্ভিদভারতের উদ্ভিদচীনের উদ্ভিদনেপালের উদ্ভিদ
No comments: