Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » বিএফডিসিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী দিতিকে শেষ শ্রদ্ধা





বিএফডিসিতে দিতিকে শেষ শ্রদ্ধা

দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর মৃত্যুর কাছে হার মেনেছেন

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতি। রোববার তিনি মারা যান।

সোমবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন, বিএফডিসিতে নিয়ে আসা হয় দিতির মরদেহ। এ সময় তার প্রতি বিএফডিসি সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো শ্রদ্ধা নিবেদন করে। সকাল থেকেই দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা সেখানে জড়ো হতে থাকেন। অনেকেই সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে  জানাজা শেষে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে লাশবাহী গাড়ি। বাদ জোহর দ্বিতীয় জানাজা শেষে নারায়ণগঞ্জের পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে।

বিএফডিসির জানাজায় উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, নায়ক আলমগীর, রুবেল, ওমর সানিসহ আরো অনেকে। অভিনেত্রীদের মধ্যে শেষ বিদায় জানাতে বিএফডিসিতে যান চম্পা, খালেদা আক্তার কল্পনা, নায়িকা নাসরিন, দিলারা ইয়াসমিন, রাশেদা চৌধুরী প্রমুখ। এ ছাড়া কাবিলা, হেলাল খান, আহম্মেদ শরিফ, মিজু আহম্মেদসহ বিভিন্ন পরিচালক-প্রযোজক ও আপনজনরা বিএফডিসিতে আসেন দিতিকে দেখতে।

দিতির মেয়ে লামিয়া জানাজা শেষে বলেন, ‘আমার মা অনেক কাজপাগল একজন মানুষ ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই দেখেছি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজে ব্যস্ত থাকতেন। কাজপাগল মানুষদের অনেক ভালোবাসতেন। এফডিসিতে আপনাদের সাথে কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে আপনাদের নিয়ে গল্প করতেন। তিনি পরিবার ও আপনাদের সমানভাবে ভালোবাসতেন। তিনি যে অসুস্থ তা আমরা কখনো বুঝতে পারিনি। এমন সময় এসে আমরা টের পেলাম যখন আমাদের কিছুই করার নেই।’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘আমরা অনেক ভালো একজন শিল্পী হারালাম। এমন একজন শিল্পী যাকে চিন্তা করে শক্তিশালী একটি চরিত্র তৈরি করা যেত, মজবুত হতো গল্পের গাঁথুনি। সবারই একদিন যেতে হয়, যে কারণে যে কারো চলে যাওয়া মেনে নিতে হয়। অভিনয়শিল্পী হিসেবে তিনি কেমন ছিলেন, সেটা দর্শক জানেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি অসাধারণ একজন মানুষ ছিলেন। সবাই দোয়া করবেন আল্লাহ্ যেন উনাকে বেহেস্ত নসিব করেন।’

শিল্পী সমিতির সহসভাপতি অভিনেতা ওমর সানি বলেন, ‘কিছু দিন আগেও আমরা এক সাথে অভিনয় করেছি, ডাবিং করেছি একটি ছবিতে। উনি সব সময়ই বলতেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করতে চান। উনি তাই করেছেন। এত ভালো মানুষ আর এত ভালো সহশিল্পী খুব কমই হয়।’
 তেজপাতা সাত টি গুনাগুন
নায়ক আলমগীর বলেন, ‘দিতি শুরু থেকেই আমাকে বাবা বলে ডাকতেন। তিনি অনেক মিশুক প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। সবাই দোয়া করবেন তিনি যেন ভালো থাকেন।’

সহযোগী পরিচালক সমিতির সভাপতি এস আই ফারুক বলেন, ‘আমাদের কাছে অনেক ভালো লাগছে যে উনাকে আমরা এফডিসিতে সম্মান জানাতে পারলাম। গতকাল সন্ধ্যায় উনার ছেলেমেয়েরা চাইছিলেন এফডিসিতে না এনে নারায়ণগঞ্জে নেওয়া হবে। তখন নিজেকে অনেক অসহায় মনে হচ্ছিল। যার সাথে সারাজীবন কাজ করেছি, তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারব না? শুধু সহকারী পরিচালক বা শিল্পী নয় আমরা যারা দীর্ঘদিন একসাথে কাজ করি তখন আমাদের কাজের বাইরেও একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। যেটা মা-বোন-ভাই–বাবার চেয়ে কম নয়। এফডিসিতে উনার লাশ নিয়ে আসা হবে, আমরা শ্রদ্ধা জানাব—এটা আমাদের অধিকার। উনার পরিবারকে ধন্যবাদ আমাদের সেই সুযোগটা দেওয়ার জন্য।’
-
তেজপাতা সাত টি গুনাগুন







«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply