বিদ্যুৎ আমদানি-ব্যান্ডউইথ রফতানি উদ্বোধন করলেন
ভারতের ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আমদানি ও বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় ব্যান্ডউইথ রফতানি আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি।
আজ (বুধবার) সকালে ঢাকায় গণভবন থেকে শেখ হাসিনা ও দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নরেন্দ্র মোদির ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গেই ভারত-বাংলাদেশ ৪শ’ কেভি ডাবল সার্কিট লাইনটিতে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু হয়েছে। ভিডিও কনফারন্সে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও অংশ নেন।
বুধবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ত্রিপুরা থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি ও ত্রিপুরায় ১০ জিপিবিএস ব্যান্ডউইথ রফতানির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এর মাধ্যমে দু’দেশের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হয়েছে ।
ভিডিও কনফারেন্স প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভারত থেকে ইতোমধ্যে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়েছে। আরও ৫০০ কোটি মেগাওয়াট আমদানি করা হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে রামপালে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। দুই দেশের আঞ্চলিক যোগাযোগ উভয় দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে। দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতায় উভয় পক্ষ লাভবান হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। এই সময় তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও সে দেশের জনগনকে হোলি উৎসবের শুভেচ্ছা জানান।
উল্লেখ্য, ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে বাংলাদেশ অংশে ২৭.৮ কিমি ও ভারতে অংশে ২৪ কিমি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এ লাইন দিয়ে ত্রিপুরার পালাটানা গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা হবে। প্রায় ৫২ কিলোমিটার গ্রিড লাইনটি বাংলাদেশে কুমিল্লার কসবা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে ব্যান্ডউইথ রপ্তানির জন্য আখাউড়া-আগরতলা সীমান্তে ইতোমধ্যে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সংযোগ স্থাপিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ১০ গিগাবাইট পার সেকেন্ড ব্যান্ডউইথ পাবে ভারতের ত্রিপুরা। পরে চাহিদা অনুযায়ী ব্যান্ডউইথের পরিমাণ বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।
গতবছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরের সময় ভারতের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি ভারত সঞ্জার নিগম লিমিটেডের (বিএসএনএল) সঙ্গে ব্যান্ডউইথ রপ্তানির এই চুক্তি করে বিএসসিসিএল। এরপর গত ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলক ট্রান্সমিশন শুরু হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ব্যান্ডউইথ রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ বছরে ৯.৬ কোটি টাকা আয় করবে।
এ সময় নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাদেশ আর ভারত যুক্ত হয়েই চলেছে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সামনে বাড়ছে। এবার মহাশূন্যেও আমরা একসঙ্গে সামনে বাড়ব। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে আমরা সহযোগিতা দেব।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সব সময়ই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রেখেছেন। আপনিও সে সঙ্কটকালীন সময়ে আকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছেন। একটা সময় ছিল বাংলাদেশ দুঃখ-দুর্দশাগ্রস্ত ছিল। আজ বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। ক্রান্তিকালে যেমন আমরা পাশাপাশি যেমন ছিলাম, এখনো আছি।#২৩ মার্চ (রেডিও তেহরান):
No comments: