সৈকত রুশদী মেহেরপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে রওনা হচ্ছেন।
-মুহম্মদ রবীউল আলম।।
মেহেরপুরের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট সাংবাদিক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক (১৯৯১-১৯৯২) সৈকত রুশদী আজ বিকেলে মেহেরপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে রওনা হচ্ছেন।তিনি আগামীকাল মঙ্গলবার মেহেরপুরের এমপি প্রফেসর ফরহাদ হোসেনসহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের সাথে দেখা করবেন।
মঙ্গলবার বিকেলেই তাঁর ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা।
তিনি ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে দেশে এসেছেন। তিনি আগামী ৭ আগষ্ট পর্যন্ত দেশে থাকবেন।
তিনি থাকেন কানাডা কিন্তু মেহেরপুরকে তিনি ভোলেননি। তার হৃদয়ে রয়েছে মেহেরপুর। মেহেরপুরের খবর তিনি সবসময়ে রাখেন।মূলত ফেইসবুকের মাধ্যমেই তিনি মেহেরপুরের সাথে যোগাযোগ রাখেন।
সৈকত রুশদী একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক, ব্রডকাস্টার, রাজনৈতিক ভাষ্যকার,কবি ওপুরষ্কারে ভূষিত লেখক। দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে তিনি লন্ডনে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস,ঢাকায় দৈনিক দেশ,দৈনিক খবর ও বাংলাদেশ টাইমস পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন।সাপ্তাহিক মতামত, বিচিত্রা ও ভারতের দেশ সাময়িকীতে তিনি কাজ করেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার/রেডিও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন ইলেকট্রোনিক মিডিয়া এবং ডেইলী স্টারসহ বিভিন্ন সংবাদপত্র ও সাময়িকীতে ভাষ্যকার হিসেবে কাজ করেছেন এবং নিবন্ধ ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি ঢাকায় কানাডা,অস্ট্রেলিয়া ও ব্রিটিশ কুটনৈতিক মিশনে তথ্য কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। তিনি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মিডিয়া ইনটেলিজেন্স প্রতিষ্ঠান সিশন-এ ইভালুয়েশন এডিটর হিসেবে কর্মরত আছেন। তার প্রকাশনার মধে রয়েছে :অমর একুশে ( ১৯৮৪), শহীদ মিনার ( ১৯৮৫), হল্ট গ্রীনহাউস ( ১৯৯১ ), এবং অচিনপাখি ( ২০০২ )।
তিনি সাম্প্রতিককালে কয়েকবার দেশে এসেছিলেন। মেহেরপুরেও গিয়েছেন। পৌর মেয়রের সাথে দেখা করেছেন এবং এপ্রিলে মেহেরপুর উৎসব সম্পর্কিত একটি পত্র হস্তÍান্তর করেন।এই পত্রে তিনি উল্লেখ করেন ‘বাংলা নববর্ষে এই শিরোনামে এক বর্ণাঢ্য উৎসবে মেতে উঠতে পারে দেশের পশ্চিম সীমান্তবর্তী শহর মেহেরপুর। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির অন্যতম পাদপীঠ নদীয়া-শান্তিপুর ও বাগোয়ান-কৃষ্ণনগর-কলকাতা কেন্দ্রভিত্তিক ঐতিহ্যের অংশ এবং রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক অভ্যূদয়ের সূতিকাগার মুজিবনগর সরকারের ভিত্তিভূমি মেহেরপুর সূচনা করতে পারে এক শিকড় সন্ধানী ঐতিহ্য উৎসব।
তিনি বলেন,প্রাথমিকভাবে প্রতিবছর ১৪ থেকে ১৭ এপ্রিল, এই চারদিন জুড়ে নানা আয়োজনে উৎসবটি পালন করা যেতে পারে। পহেলা বৈশাখ, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের রকমারী আয়োজন ও হালখাতা। পরদিন, ১৫ এপ্রিল দেশের অন্যতম প্রাচীন পৌরনগরী মেহেরপুর পৌরসভার (যা প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ঢাকা পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছর পর ১৮৬৯ খ্রীষ্টাব্দে) প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রঙ-বেরঙের ফেস্টুন ও ব্যানার শোভিত শিশু-কিশোর ও নারী-পুরুষের শোভাযাত্রা ও সমাবেশ। তার পরদিন, ১৬ এপ্রিল বাংলা ভাষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিনির্মাণে এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে মেহেরপুরের অবদান এবং তার তাৎপর্য নিয়ে প্রবন্ধ পাঠ ও আলোচনা সভা। শেষদিন, ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনের বার্ষিকীতে সেই সরকারের শপথ গ্রহণ স্থলে বিবিধ আয়োজনে মুজিবনগর দিবস উদযাপন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, এই চারদিন জুড়েই মেহেরপুরে চলতে পারে লোকজ মেলা। তার সাথে যোগ হতে পারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক এবং পর্যটনের নানান পশরা (যেমন, ১. মেহেরপুর-মুজিবনগর-আমঝুপি নীলকুঠি-বলরাম হাঁড়ির আখড়া; ২. কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় লালন শাহের আখড়া ও শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথের স্নৃতি বিজড়িত শিলাইদহ কুঠিবাড়ি ভ্রমণ)। কৃষি ও অর্থনীতির যোগসূত্র। তবে পুরো উৎসব হতে হবে রাজনৈতিক পক্ষপাতহীন ও প্রভাব মুক্ত।
তিনি বলেন,এব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা ও সমন্বয়ের দায়িত্ব নিতে হবে মেহেরপুর পৌরসভাকে। গুররুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে মেহেরপুর প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি এবং জেলা শিল্প ও বণিক সমিতি। জেলা পরিষদ এবং মেহেরপুর ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের শর্তসাপেক্ষ সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন আয়োজনের জন্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের স্পন্সরশীপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
সৈকত রুশদী মেহেরপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে রওনা হচ্ছেন। -মুহম্মদ রবীউল আলম।। মেহেরপুরের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট সাংবাদিক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক (১৯৯১-১৯৯২) সৈকত রুশদী আজ বিকেলে মেহেরপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে রওনা হচ্ছেন।তিনি আগামীকাল মঙ্গলবার মেহেরপুরের এমপি প্রফেসর ফরহাদ হোসেনসহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের সাথে দেখা করবেন। মঙ্গলবার বিকেলেই তাঁর ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা। তিনি ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে দেশে এসেছেন। তিনি আগামী ৭ আগষ্ট পর্যন্ত দেশে থাকবেন। তিনি থাকেন কানাডা কিন্তু মেহেরপুরকে তিনি ভোলেননি। তার হৃদয়ে রয়েছে মেহেরপুর। মেহেরপুরের খবর তিনি সবসময়ে রাখেন।মূলত ফেইসবুকের মাধ্যমেই তিনি মেহেরপুরের সাথে যোগাযোগ রাখেন। সৈকত রুশদী একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক, ব্রডকাস্টার, রাজনৈতিক ভাষ্যকার,কবি ওপুরষ্কারে ভূষিত লেখক। দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে তিনি লন্ডনে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস,ঢাকায় দৈনিক দেশ,দৈনিক খবর ও বাংলাদেশ টাইমস পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন।সাপ্তাহিক মতামত, বিচিত্রা ও ভারতের দেশ সাময়িকীতে তিনি কাজ করেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার/রেডিও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন ইলেকট্রোনিক মিডিয়া এবং ডেইলী স্টারসহ বিভিন্ন সংবাদপত্র ও সাময়িকীতে ভাষ্যকার হিসেবে কাজ করেছেন এবং নিবন্ধ ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি ঢাকায় কানাডা,অস্ট্রেলিয়া ও ব্রিটিশ কুটনৈতিক মিশনে তথ্য কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। তিনি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মিডিয়া ইনটেলিজেন্স প্রতিষ্ঠান সিশন-এ ইভালুয়েশন এডিটর হিসেবে কর্মরত আছেন। তার প্রকাশনার মধে রয়েছে :অমর একুশে ( ১৯৮৪), শহীদ মিনার ( ১৯৮৫), হল্ট গ্রীনহাউস ( ১৯৯১ ), এবং অচিনপাখি ( ২০০২ )। তিনি সাম্প্রতিককালে কয়েকবার দেশে এসেছিলেন। মেহেরপুরেও গিয়েছেন। পৌর মেয়রের সাথে দেখা করেছেন এবং এপ্রিলে মেহেরপুর উৎসব সম্পর্কিত একটি পত্র হস্তÍান্তর করেন।এই পত্রে তিনি উল্লেখ করেন ‘বাংলা নববর্ষে এই শিরোনামে এক বর্ণাঢ্য উৎসবে মেতে উঠতে পারে দেশের পশ্চিম সীমান্তবর্তী শহর মেহেরপুর। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির অন্যতম পাদপীঠ নদীয়া-শান্তিপুর ও বাগোয়ান-কৃষ্ণনগর-কলকাতা কেন্দ্রভিত্তিক ঐতিহ্যের অংশ এবং রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক অভ্যূদয়ের সূতিকাগার মুজিবনগর সরকারের ভিত্তিভূমি মেহেরপুর সূচনা করতে পারে এক শিকড় সন্ধানী ঐতিহ্য উৎসব। তিনি বলেন,প্রাথমিকভাবে প্রতিবছর ১৪ থেকে ১৭ এপ্রিল, এই চারদিন জুড়ে নানা আয়োজনে উৎসবটি পালন করা যেতে পারে। পহেলা বৈশাখ, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের রকমারী আয়োজন ও হালখাতা। পরদিন, ১৫ এপ্রিল দেশের অন্যতম প্রাচীন পৌরনগরী মেহেরপুর পৌরসভার (যা প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ঢাকা পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছর পর ১৮৬৯ খ্রীষ্টাব্দে) প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রঙ-বেরঙের ফেস্টুন ও ব্যানার শোভিত শিশু-কিশোর ও নারী-পুরুষের শোভাযাত্রা ও সমাবেশ। তার পরদিন, ১৬ এপ্রিল বাংলা ভাষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিনির্মাণে এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে মেহেরপুরের অবদান এবং তার তাৎপর্য নিয়ে প্রবন্ধ পাঠ ও আলোচনা সভা। শেষদিন, ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনের বার্ষিকীতে সেই সরকারের শপথ গ্রহণ স্থলে বিবিধ আয়োজনে মুজিবনগর দিবস উদযাপন। তিনি আরো উল্লেখ করেন, এই চারদিন জুড়েই মেহেরপুরে চলতে পারে লোকজ মেলা। তার সাথে যোগ হতে পারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক এবং পর্যটনের নানান পশরা (যেমন, ১. মেহেরপুর-মুজিবনগর-আমঝুপি নীলকুঠি-বলরাম হাঁড়ির আখড়া; ২. কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় লালন শাহের আখড়া ও শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথের স্নৃতি বিজড়িত শিলাইদহ কুঠিবাড়ি ভ্রমণ)। কৃষি ও অর্থনীতির যোগসূত্র। তবে পুরো উৎসব হতে হবে রাজনৈতিক পক্ষপাতহীন ও প্রভাব মুক্ত। তিনি বলেন,এব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা ও সমন্বয়ের দায়িত্ব নিতে হবে মেহেরপুর পৌরসভাকে। গুররুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে মেহেরপুর প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি এবং জেলা শিল্প ও বণিক সমিতি। জেলা পরিষদ এবং মেহেরপুর ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের শর্তসাপেক্ষ সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন আয়োজনের জন্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের স্পন্সরশীপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
Tag: lid news
No comments: