Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং আমি ও আমরা বদিউর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সংক্ষেপে কিছু লেখার জন্য অনেক জ্ঞানের অধিকারী হতে হয়। ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে, জ্ঞানের স্বল্পতা নিয়েও, আমি বিভিন্ন সময়ে কিছু লেখার চেষ্টা করেছি। তার জন্মদিন-মৃত্যুদিবস এলে ৩২ নম্বরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে একরকম ভিড় হয় আর ক্ষমতায় না থাকলে আরেকরকম ভিড় দেখা যায়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে আমি ৩২ নম্বরে যাই না, তখন চাটুকারের অভাব থাকে না। কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য কিংবা লেজুড় না হয়েও আমি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিকভাবেই জাতির জনক বা জাতির পিতা যেভাবেই বলি না কেন, তার দোষ-গুণ নিয়েই তার একনিষ্ঠ একজন কৃতজ্ঞভক্ত। ১৬ আগস্ট, ২০০৮ যুগান্তরে প্রকাশিত ‘এত কার্পণ্য কেন?’ শীর্ষক লেখায় আমি লিখেছিলাম ‘১৫ আগস্ট আর সালের সঙ্গে বলতে হয় না। ১৫ আগস্ট বললেই বোঝা যায়, এদিন আমাদের পিতাকে আমরা সপরিবারে হত্যা করেছিলাম; ১৫ আগস্ট শুনলেই মনে হয়, এদিন আমরা আমাদের অকৃতজ্ঞতাকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছিলাম। ১৫ আগস্ট উচ্চারিত হলেই আমাদের মনে পড়ে, আমরা কত অসহিষ্ণু হতে পারি।’ মনে পড়ে, আমরা তখন ছাত্র। সেই ’৬৯ আবার সেই ’৭০, আবার সেই ’৭১ এবং ২৫ মার্চ পর্যন্ত সময়। দৈনিক একবার অন্তত ৩২ নম্বর না গেলে যেন দিনটাই অপূর্ণ থেকে যেত। আমরা স্লোগান দিতাম, ‘একটা-দুটা মাউরা ধরো, সকাল-বিকাল নাস্তা করো, বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, ওই শালাদের খতম করো’... ইত্যাদি। অপেক্ষা করতাম, বঙ্গবন্ধু আসবেন এবং হ্যান্ড মাইকে কিছু বলবেন। একদিন এমন স্লোগান-মিছিলে তখনকার গানের এক উজ্জীবিত শক্তি আবদুল জব্বারও ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হ্যান্ড মাইকে দোতলার ব্যালকনি থেকে বললেন, ‘জব্বার ওদের মারার জন্য, খতম করার জন্য অনেক লোক আছে, তুই দেশের গান গা।’ এই বঙ্গবন্ধুকে ‘ওরা’ তার বাড়ির সিঁড়িতে গুলি করে মেরে ফেলল। পোয়েট অব পলিটিক্সের ৭ মার্চের সেই রাজনীতির কবিতা আমি শুনেছিলাম। আমরা সেখানে, তখনকার রেসকোর্সে, মঞ্চের অদূরে বাঁশের সীমানা ঘেঁষে বসে শুনেছিলাম সে কবিতা। সে কী দূরদৃষ্টি ‘আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি’..., সে কী যুদ্ধ ঘোষণার আদেশ ‘ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল’..., সে কী চূড়ান্ত সমাপনী সিদ্ধান্তের ঘোষণা ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’! এ ভাষণ এখনও শুনতে গেলে মাথার চুল খাড়া হয়ে যায়, এই যেন এখন আমি রেসকোর্সেই এ ভাষণ শুনছি। ১০ জানুয়ারি, ৭২ আবার পিতাকে দেখলাম। স্বাধীনতার পর স্বল্প মেয়াদে মাত্র সাড়ে তিন বছরের ব্যবধানে জনকের সেই করুণ বিদায় ১৫ আগস্ট, পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ড। আমরা পিতাকে হারালাম। আমার শুধু প্যাট্রিয়ট কবিতার বিখ্যাত লাইনটিই মনে পড়ে- ‘দাজ আই এন্টার অ্যান্ড দাজ আই গো’। জীবনে এ পর্যন্ত একবারই শুধু পিতার হত্যার পর ৩২ নম্বরের বাড়িতে গিয়েছিলাম, তখন লিখেছিলাম ‘পিতার রক্ত আমার শ্রেষ্ঠ কবিতা। শুরুটা ছিল এভাবেই- সিঁড়ির পরে রক্ত দেখে/ রক্তে আমার দোলা খায়, সেই রক্ততে আমার রক্ত/ সে রক্ত তা বলে যায়।...’ আমার দেহে পিতার রক্ত, বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতির পিতা, তারপরও আমাদের কারও কারও পিতাকে পিতা বলতে এত কার্পণ্য কেন? বঙ্গবন্ধুর আমলে তো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ছিল না। তার লাশের ওপর দিয়ে আসা জিয়া বিএনপি করে আওয়ামী লীগকে ‘সাইজ’ করে। এই দলের বিশ্বাসঘাতকেরা সময়ে বিএনপিতে গিয়েছে, আবার সময়ে জাপাতে গিয়েছে। কিন্তু তখনকার বিএনপির জনপ্রিয়তার পেছনে বঙ্গবন্ধুর আমলের দলীয় লুটপাট, রক্ষীবাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতন, অপশাসনের ভূমিকা ফেলে দেয়া যায় না। আমরা বলব, অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর সরকারে তার এবং বিশ্বস্ত কয়েকজন সহকর্মীর প্রশ্নাতীত আন্তরিকতা থাকলেও সরকার সুশাসন দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে দেশ এনে দিয়ে শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুই ‘বাকশাল’ করে গণতন্ত্র শেষ করে দিলেন- এটা ভাবতেও কষ্ট হয়। সংবিধান তিনি স্বল্প সময়ে উপহার দিলেন, আবার সেই সংবিধানের প্রাথমিক ‘জবাই’ তিনিই করলেন। ২৫ জানুয়ারি, ’৭৫ও একটা বড় নির্মম দিবস ছিল বলা চলে। চাঁদের কলংক তার আলোর ব্যাঘাত ঘটায় না, চাঁদ চাঁদই। তদ্রুপ ভুল-ভ্রান্তি সত্ত্বেও আমরা বলব, বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধুই, তিনিই আমাদের জনক, পিতা। যতদিন ইতিহাস থাকবে, বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু নিজ মহিমায় চিরভাস্বর থাকবেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যা দিবসে খালেদা জিয়া তার অনেক জন্মদিনের একদিন পালন করলেই বা কী, তাতে চাঁদের আলোর কমতি হয় না। অকৃতজ্ঞ মীরজাফররা তো যুগে যুগে থাকবেই। তবে বঙ্গবন্ধুর ভাবমূর্তির কোনো ক্ষতি যদি কখনও কেউ করে, তা হবে বেশি আওয়ামী লীগের দ্বারাই। ‘বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে পার পাওয়া যাবে না’ যুগান্তর-২৪ আগস্ট, ২০০৯ এবং ‘বঙ্গবন্ধুকে দেয়া স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহার করা হোক’ যুগান্তর ১৩ মার্চ, ২০১০ আওয়ামী লীগকে সাবধান করার জন্যই লিখেছিলাম। বঙ্গবন্ধু এবং জিয়া কখনও এক মানের নন, এক মানের হতেও পারবেন না, বিএনপি যতই বঙ্গবন্ধুকে টেনেহেঁচড়ে নামিয়ে এনে জিয়ার সমান আর জিয়াকে টেনেটুনে লম্বা করে বঙ্গবন্ধুর উচ্চতায় তুলতে চেষ্টা করুক না কেন। যিনি দেশ দেন, স্বাধীনতা এনে দেন, যিনি দেশ সৃষ্টি করে জনক হন, পিতা হন, তাকে ওই পিতৃত্বের পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া বেয়াদবি, তাও আবার জিয়ার সঙ্গে। অথচ আওয়ামী লীগ এখনও সে পুরস্কার প্রত্যাহার করেনি, ছি ছি! আর ৪০ দিনের কর্মসূচি কি বঙ্গবন্ধুকে ‘খাটো’ করার আরেক অপচেষ্টা নয়? আমরা বঙ্গবন্ধুকে কোনো অবস্থায়ই শুধু আওয়ামী লীগের দলীয় হিসেবে দেখতে চাই না, তিনি জাতির, দেশের, আমাদের সবার; তিনি আমাদের বঙ্গবন্ধু, আমাদের জাতির পিতা। বদিউর রহমান : সাবেক সচিব, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান




জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং আমি ও আমরা

বদিউর রহমান


সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সংক্ষেপে কিছু লেখার জন্য অনেক জ্ঞানের অধিকারী হতে হয়। ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে, জ্ঞানের স্বল্পতা নিয়েও, আমি বিভিন্ন সময়ে কিছু লেখার চেষ্টা করেছি। তার জন্মদিন-মৃত্যুদিবস এলে ৩২ নম্বরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে একরকম ভিড় হয় আর ক্ষমতায় না থাকলে আরেকরকম ভিড় দেখা যায়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে আমি ৩২ নম্বরে যাই না, তখন চাটুকারের অভাব থাকে না। কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য কিংবা লেজুড় না হয়েও আমি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিকভাবেই জাতির জনক বা জাতির পিতা যেভাবেই বলি না কেন, তার দোষ-গুণ নিয়েই তার একনিষ্ঠ একজন কৃতজ্ঞভক্ত। ১৬ আগস্ট, ২০০৮ যুগান্তরে প্রকাশিত ‘এত কার্পণ্য কেন?’ শীর্ষক লেখায় আমি লিখেছিলাম ‘১৫ আগস্ট আর সালের সঙ্গে বলতে হয় না। ১৫ আগস্ট বললেই বোঝা যায়, এদিন আমাদের পিতাকে আমরা সপরিবারে হত্যা করেছিলাম; ১৫ আগস্ট শুনলেই মনে হয়, এদিন আমরা আমাদের অকৃতজ্ঞতাকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছিলাম। ১৫ আগস্ট উচ্চারিত হলেই আমাদের মনে পড়ে, আমরা কত অসহিষ্ণু হতে পারি।’ মনে পড়ে, আমরা তখন ছাত্র। সেই ’৬৯ আবার সেই ’৭০, আবার সেই ’৭১ এবং ২৫ মার্চ পর্যন্ত সময়। দৈনিক একবার অন্তত ৩২ নম্বর না গেলে যেন দিনটাই অপূর্ণ থেকে যেত। আমরা স্লোগান দিতাম, ‘একটা-দুটা মাউরা ধরো, সকাল-বিকাল নাস্তা করো, বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, ওই শালাদের খতম করো’... ইত্যাদি। অপেক্ষা করতাম, বঙ্গবন্ধু আসবেন এবং হ্যান্ড মাইকে কিছু বলবেন। একদিন এমন স্লোগান-মিছিলে তখনকার গানের এক উজ্জীবিত শক্তি আবদুল জব্বারও ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হ্যান্ড মাইকে দোতলার ব্যালকনি থেকে বললেন, ‘জব্বার ওদের মারার জন্য, খতম করার জন্য অনেক লোক আছে, তুই দেশের গান গা।’ এই বঙ্গবন্ধুকে ‘ওরা’ তার বাড়ির সিঁড়িতে গুলি করে মেরে ফেলল।
পোয়েট অব পলিটিক্সের ৭ মার্চের সেই রাজনীতির কবিতা আমি শুনেছিলাম। আমরা সেখানে, তখনকার রেসকোর্সে, মঞ্চের অদূরে বাঁশের সীমানা ঘেঁষে বসে শুনেছিলাম সে কবিতা। সে কী দূরদৃষ্টি ‘আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি’..., সে কী যুদ্ধ ঘোষণার আদেশ ‘ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল’..., সে কী চূড়ান্ত সমাপনী সিদ্ধান্তের ঘোষণা ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’! এ ভাষণ এখনও শুনতে গেলে মাথার চুল খাড়া হয়ে যায়, এই যেন এখন আমি রেসকোর্সেই এ ভাষণ শুনছি। ১০ জানুয়ারি, ৭২ আবার পিতাকে দেখলাম। স্বাধীনতার পর স্বল্প মেয়াদে মাত্র সাড়ে তিন বছরের ব্যবধানে জনকের সেই করুণ বিদায় ১৫ আগস্ট, পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ড। আমরা পিতাকে হারালাম। আমার শুধু প্যাট্রিয়ট কবিতার বিখ্যাত লাইনটিই মনে পড়ে- ‘দাজ আই এন্টার অ্যান্ড দাজ আই গো’। জীবনে এ পর্যন্ত একবারই শুধু পিতার হত্যার পর ৩২ নম্বরের বাড়িতে গিয়েছিলাম, তখন লিখেছিলাম ‘পিতার রক্ত আমার শ্রেষ্ঠ কবিতা। শুরুটা ছিল এভাবেই- সিঁড়ির পরে রক্ত দেখে/ রক্তে আমার দোলা খায়, সেই রক্ততে আমার রক্ত/ সে রক্ত তা বলে যায়।...’ আমার দেহে পিতার রক্ত, বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতির পিতা, তারপরও আমাদের কারও কারও পিতাকে পিতা বলতে এত কার্পণ্য কেন? বঙ্গবন্ধুর আমলে তো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ছিল না। তার লাশের ওপর দিয়ে আসা জিয়া বিএনপি করে আওয়ামী লীগকে ‘সাইজ’ করে। এই দলের বিশ্বাসঘাতকেরা সময়ে বিএনপিতে গিয়েছে, আবার সময়ে জাপাতে গিয়েছে। কিন্তু তখনকার বিএনপির জনপ্রিয়তার পেছনে বঙ্গবন্ধুর আমলের দলীয় লুটপাট, রক্ষীবাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতন, অপশাসনের ভূমিকা ফেলে দেয়া যায় না। আমরা বলব, অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর সরকারে তার এবং বিশ্বস্ত কয়েকজন সহকর্মীর প্রশ্নাতীত আন্তরিকতা থাকলেও সরকার সুশাসন দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে দেশ এনে দিয়ে শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুই ‘বাকশাল’ করে গণতন্ত্র শেষ করে দিলেন- এটা ভাবতেও কষ্ট হয়। সংবিধান তিনি স্বল্প সময়ে উপহার দিলেন, আবার সেই সংবিধানের প্রাথমিক ‘জবাই’ তিনিই করলেন। ২৫ জানুয়ারি, ’৭৫ও একটা বড় নির্মম দিবস ছিল বলা চলে।
চাঁদের কলংক তার আলোর ব্যাঘাত ঘটায় না, চাঁদ চাঁদই। তদ্রুপ ভুল-ভ্রান্তি সত্ত্বেও আমরা বলব, বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধুই, তিনিই আমাদের জনক, পিতা। যতদিন ইতিহাস থাকবে, বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু নিজ মহিমায় চিরভাস্বর থাকবেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যা দিবসে খালেদা জিয়া তার অনেক জন্মদিনের একদিন পালন করলেই বা কী, তাতে চাঁদের আলোর কমতি হয় না। অকৃতজ্ঞ মীরজাফররা তো যুগে যুগে থাকবেই। তবে বঙ্গবন্ধুর ভাবমূর্তির কোনো ক্ষতি যদি কখনও কেউ করে, তা হবে বেশি আওয়ামী লীগের দ্বারাই। ‘বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে পার পাওয়া যাবে না’ যুগান্তর-২৪ আগস্ট, ২০০৯ এবং ‘বঙ্গবন্ধুকে দেয়া স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহার করা হোক’ যুগান্তর ১৩ মার্চ, ২০১০ আওয়ামী লীগকে সাবধান করার জন্যই লিখেছিলাম। বঙ্গবন্ধু এবং জিয়া কখনও এক মানের নন, এক মানের হতেও পারবেন না, বিএনপি যতই বঙ্গবন্ধুকে টেনেহেঁচড়ে নামিয়ে এনে জিয়ার সমান আর জিয়াকে টেনেটুনে লম্বা করে বঙ্গবন্ধুর উচ্চতায় তুলতে চেষ্টা করুক না কেন। যিনি দেশ দেন, স্বাধীনতা এনে দেন, যিনি দেশ সৃষ্টি করে জনক হন, পিতা হন, তাকে ওই পিতৃত্বের পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া বেয়াদবি, তাও আবার জিয়ার সঙ্গে। অথচ আওয়ামী লীগ এখনও সে পুরস্কার প্রত্যাহার করেনি, ছি ছি! আর ৪০ দিনের কর্মসূচি কি বঙ্গবন্ধুকে ‘খাটো’ করার আরেক অপচেষ্টা নয়? আমরা বঙ্গবন্ধুকে কোনো অবস্থায়ই শুধু আওয়ামী লীগের দলীয় হিসেবে দেখতে চাই না, তিনি জাতির, দেশের, আমাদের সবার; তিনি আমাদের বঙ্গবন্ধু, আমাদের জাতির পিতা।
বদিউর রহমান : সাবেক সচিব, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply