Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » যুবদল দিয়ে শুরু হচ্ছে অঙ্গসংগঠনের পুনর্গঠন,, যুবদলের কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে বিএনপির অঙ্গসংগঠনগুলোর পুনর্গঠন। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। খুব শিগগিরই ঘোষণা করা হবে যুবদলের নতুন কমিটি। এরপর পর্যায়ক্রমে ঢেলে সাজানো হবে স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দলসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠন। এছাড়া বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের ঘোষিত কেন্দ্রীয় আংশিক কমিটিকে দেয়া হবে পূর্ণাঙ্গ রূপ। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াও প্রায় শেষ পর্যায়ে। সংগঠনগুলোর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে দৌড়ঝাঁপ। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বাসায় বাসায় গিয়ে পদ প্রত্যাশীরা লবিং-তদবিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন বলে জানায় বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, কমিটি পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে মুখ দেখে নয়- মেধাবী, যোগ্য ও স্বচ্ছভাবমূর্তির নেতাদের সংগঠনগুলোর দায়িত্ব দিতে হবে। অতীতের মতো সিন্ডিকেট করে অযোগ্য ও সুযোগসন্ধানীরা যাতে শীর্ষ নেতৃত্বে আসতে না পারে সেদিকে নজর দিতে হবে দলের হাইকমান্ডকে। তা না হলে সরকারবিরোধী আন্দোলন আবারও মুখ থুবড়ে পড়বে বলে আশংকা ওই নেতাকর্মীদের। আন্দোলন-সংগ্রামে যারা রাজপথে ছিলেন এমন অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন, মুখে মুখে পুনর্গঠনের কথা বললেই দল শক্তিশালী হবে না। চার বছর ধরে শুনছি দলকে পুনর্গঠন করা হবে। কিন্তু বাস্তবে ফল শূন্য। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হলে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, তা না হলে নেতাকর্মীদের মধ্যে যে আগ্রহ আছে তা নষ্ট হয়ে যাবে। এতে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে যারা রাজপথে ছিলেন তাদের মূল্যায়ন করা না হলে ভবিষ্যতে অনেকেই আর ঝুঁকি নিতে চাইবেন না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় না থাকলেও সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন অনেকেই। পুনর্গঠনের খবরে আন্দোলনে কাক্সিক্ষত ফল না পেয়ে ঝিমিয়ে পড়া দলটির অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর আত্মগোপনে থাকা নেতাদেরকেও প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে। নিজস্ব বলয়ের শক্তি জানান দিতে অনুগত কর্মীদের নিয়ে রাতে গুলশান ও দিনে পল্টন কার্যালয়ে ভিড় করছেন তারা। শুধু তাই নয়, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বাসায় বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও যাচ্ছেন কেউ কেউ। মামলা থাকায় কোনো কোনো নেতা প্রকাশ্যে দেখা না করে গোপনে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। বিগত আন্দোলনে মাঠে সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় সবাই পদ পাওয়ার প্রত্যাশায় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ঝিমিয়ে পড়া বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো ধীরে ধীরে চাঙ্গা হয়ে উঠছে। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা জানান, বিগত আন্দোলনে আত্মগোপনে থাকা নেতাদের যদি ফের সংগঠনের দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে সংগঠন বলতে আর কিছু থাকবে না। তবে যাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে এবং নেপথ্যে থেকে কাজ করেছেন তাদের বিষয়টি দলের হাইকমান্ডকে বিবেচনায় নিতে হবে। আর যারা অঙ্গসংগঠন থেকে বাদ পড়বেন তাদেরকে মূল দলে জায়গা করে দিলে সবমিলিয়ে পুনর্গঠনের মূল উদ্দেশ্য সফল হবে। তারা আরও মনে করেন, অঙ্গসংগঠনের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে শীর্ষ পদে অন্তত একজনকে যেন বর্তমান কমিটির ভেতর থেকে আনা হয়। কারণ গুরুত্বপূর্ণ পদধারী নেতা যদি সংগঠনের বাইরের হন সেক্ষেত্রে সংগঠনে গতি আসবে না। চেইন অব কমান্ডও ভেঙে পড়ার আশংকা থাকবে। সংগঠনের অন্য নেতাকর্মীরা অতীতে কি কাজ করেছেন সেই সম্পর্কে তাদের ধারণা না থাকায় ত্যাগীরাও কমিটি থেকে বাদ পড়তে পারেন। ঈদের আগে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, বিগত অন্দোলন-সংগ্রামে যারা সক্রিয় ছিল তাদেরকেই গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থান দেয়া হবে। এই ক্ষেত্রে ছাত্রদলের সাবেক নেতা যারা বিগত আন্দোলনে সক্রিয় ছিল তাদেরকে বিশেষভাবে অঙ্গসংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে গুরুত্ব দেয়া হবে। নেতৃত্বের বিকাশ ঘটাতে এক ‘নেতার এক পদ’- এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন দলের হাইকমান্ড। সেক্ষেত্রে অঙ্গ সংগঠনের নতুন কমিটির নেতৃত্বে আসলে তাকে দলের অন্য সব পদ ছেড়ে দিতে হবে। সূত্র জানায়, যুবদলের কমিটি গঠনের মধ্যদিয়ে পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করতে চান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ২০১০ সালের ১ মার্চ অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে সভাপতি ও সাইফুল আলম নীরবকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট যুবদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এই কমিটির মেয়াদ দু’বছর আগেই শেষ হয়েছে। যুবদলের বিগত আন্দোলন-সংগ্রামের ভূমিকায় হতাশ দলের হাইকমান্ড। সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির ‘প্রাণ’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের দিনের আলোয়ে দেখা যায়নি। এসব কারণে ক্ষুব্ধ হাইকমান্ড ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর পরই যুবদলের নেতত্বে¡ পরিবর্তনের ঘোষণা দিলেও তা রহস্যজনক কারণে থেমে যায়। চলতি বছরের আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ায় সবার আগে যুবদলের কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন খালেদা জিয়া। জানা গেছে, যুবদলের নতুন কমিটির শীর্ষ দুই পদের (সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) জন্য ছাত্রদলের সাবেক নেতা এবং যুবদলের বর্তমান নেতাদের ‘আমলনামা’ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে বিএনপির হাইকমান্ড। এসব নেতার মধ্যে রয়েছেন- সাবেক ছাত্র নেতা সানাউল হক নীরু, বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান রতন, যুবদলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, যুগ্ম-সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, সেলিমুজ্জামান সেলিম, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, আবদুল বারী ড্যানী। এছাড়া নতুন কমিটির বাকি শীর্ষ তিন পদের (সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক) জন্য লবিং করছেন যুবদলের বর্তমান কমিটি ও ছাত্রদলের সাবেক বেশ কয়েকজন নেতা। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন- মোরতাজুল করিম বাদরু, মাহবুবুল হাসান পিংকু, শহিদুল ইসলাম বাবুল, নুরুল ইসলাম নয়ন, বজলুল করীম চৌধুরী আবেদ অন্যতম। এদের বিষয়েও দলের হাইকমান্ড খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার রাতে যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যুগান্তরকে বলেন, যুবদলের নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজেই এ কমিটি গঠনের বিষয়টি দেখভাল করছেন। আশা করি, শিগগির এ কমিটি ঘোষণা হতে পারে। বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব করা হতে পারে। অথবা তাকে বিএনপির ঢাকা মহানগর কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে দেয়া হতে পারে। এ খবর জানার পরপরই যুবদলের সভাপতি পদ ছাড়ার বিষয়টি নিজ থেকেই দলের হাইকমান্ডকে অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছেন মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। বিএনপি সূত্রে জানা যায়, যুবদলের পরপরই স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি গঠনে হাত দেয়া হবে। রুহুল কবির রিজভী ও ফজলুল হক মিলনের মৃত্যুপ্রায় কমিটি ভেঙে ২০১০ সালে স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। সাবেক ছাত্র নেতা হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে সভাপতি, মীর সরাফত আলী সপুকে সাধারণ সম্পাদক এবং সফিউল বারী বাবুকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। এই তিন নেতার প্রচেষ্টায় অল্প সময়ের মধ্যে ঘুরে দাঁড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দল। পুরস্কার হিসেবে সোহেলকে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব করা হলে বর্তমানে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে গতি কিছুটা কমে যায়। বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের মতো একটি গতিশীল সংগঠনকে শুধু পরিকল্পনার অভাবে দুর্বল করা হল। সোহেলও তো মানুষ। তার তো সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। সোহেল না পারছে মহানগরে সময় দিতে, না পারছে স্বেচ্ছাসেবক দলে সময় দিতে। সংগঠন সূত্রে জানা যায়, স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটিতে সভাপতি পদে বর্তমান কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মুনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু ও সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবুর নাম আলোচনায় রয়েছে। এছাড়াও আলোচনায় রয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল। সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, সভাপতি আবদুল কাদের ভূইয়া জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির। আলোচনায় থাকা এসব নেতার ভেতর থেকেই স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক করা হতে পারে। আরও জানা গেছে, ছাত্রদলের আংশিক কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ করাসহ ঢাকা ও জগনাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটিও ঘোষণা করা হবে। তবে ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান গ্রেফতার হওয়ায় এখন ছাত্রদলের কমিটি গঠন বিলম্বিত হতে পারে বলে জানান সংগঠনের দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতা। ছাত্রদলের এসব কমিটি গঠনের কাজ ঈদের আগেই শেষ হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আহ্বায়ক কমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ইফতেখার কবির অথবা মামুন বিল্লাহকে আহ্বায়ক করার কথা ভাবা হচ্ছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। সেখানে বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মহসীন বিশ্বাস অথবা আসিফুর রহমান বিপ্লবকে আহ্বায়ক করা হতে পারে। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে উত্তরে বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি শরীফ উদ্দিন জুয়েলকে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির রওশনকে সপদে রাখা হতে পারে। তবে তেজগাঁও কলেজের সভাপতি মিজানুর রহমান রাজও এই পদের শক্ত প্রার্থী। ঈদের আগে ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান এবং সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান এসব কমিটি গঠন করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে গেলেও ওইসব কমিটি অনুমোদন পায়নি। ঈদের পর পরই ছাত্রদলে উল্লিখিত কমিটিগুলো ঘোষণা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঈদের একদিন পর পটুয়াখালীতে গ্রেফতার হন ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান। তার গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে আবার অনিশ্চিত হয়ে পড়ে এসব কমিটি ঘোষণা। তবে যত দ্রুত সম্ভব এসব কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে বলে ছাত্রদলের দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতা জানান। তবে এই নিয়ে ছাত্রদলের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি নেতা যারা ছাত্রদলকে দেখভাল করেন তাদেরকে দায়ী করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের একজন কেন্দ্রীয় নেতা। তিনি বলেন, বর্তমান কমিটি ঘোষণার পর বেশ কিছুদিন গত হয়েছে। প্রথম অবস্থায় কমিটি ঘোষণার পর সংগঠনের বড় একটি অংশ বিদ্রোহ করে। তাদের সংগঠনের যোগ্যতা অনুযায়ী পদ দেয়া হবে হাইকমান্ডের এমন আশ্বাসে বিদ্রোহীরা শান্ত হন। বিদ্রোহীরা বাদ পড়া ৩৬ জন নেতার একটা তালিকাও জমা দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদেরকে কোনো পদ দেয়া হয়নি। এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় পদ প্রত্যাশীরাও বেশ ক্ষুব্ধ। শিগগির কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন করা না হলে এই ছাত্রদল নেতার মতে আবারও ছাত্রদলে বড় ধরনের বিস্ফোরণ দেখা দিতে পারে।





যুবদল দিয়ে শুরু হচ্ছে অঙ্গসংগঠনের পুনর্গঠন,,



যুবদলের কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে বিএনপির অঙ্গসংগঠনগুলোর পুনর্গঠন। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। খুব শিগগিরই ঘোষণা করা হবে যুবদলের নতুন কমিটি। এরপর পর্যায়ক্রমে ঢেলে সাজানো হবে স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দলসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠন।
এছাড়া বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের ঘোষিত কেন্দ্রীয় আংশিক কমিটিকে দেয়া হবে পূর্ণাঙ্গ রূপ। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াও প্রায় শেষ পর্যায়ে। সংগঠনগুলোর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে দৌড়ঝাঁপ। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বাসায় বাসায় গিয়ে পদ প্রত্যাশীরা লবিং-তদবিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন বলে জানায় বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, কমিটি পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে মুখ দেখে নয়- মেধাবী, যোগ্য ও স্বচ্ছভাবমূর্তির নেতাদের সংগঠনগুলোর দায়িত্ব দিতে হবে। অতীতের মতো সিন্ডিকেট করে অযোগ্য ও সুযোগসন্ধানীরা যাতে শীর্ষ নেতৃত্বে আসতে না পারে সেদিকে নজর দিতে হবে দলের হাইকমান্ডকে। তা না হলে সরকারবিরোধী আন্দোলন আবারও মুখ থুবড়ে পড়বে বলে আশংকা ওই নেতাকর্মীদের।
আন্দোলন-সংগ্রামে যারা রাজপথে ছিলেন এমন অনেকেই আক্ষেপ করে  বলেন, মুখে মুখে পুনর্গঠনের কথা বললেই দল শক্তিশালী হবে না। চার বছর ধরে শুনছি দলকে পুনর্গঠন করা হবে। কিন্তু বাস্তবে ফল শূন্য। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হলে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, তা না হলে নেতাকর্মীদের মধ্যে যে আগ্রহ আছে তা নষ্ট হয়ে যাবে। এতে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে যারা রাজপথে ছিলেন তাদের মূল্যায়ন করা না হলে ভবিষ্যতে অনেকেই আর ঝুঁকি নিতে চাইবেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় না থাকলেও সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন অনেকেই। পুনর্গঠনের খবরে আন্দোলনে কাক্সিক্ষত ফল না পেয়ে ঝিমিয়ে পড়া দলটির অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর আত্মগোপনে থাকা নেতাদেরকেও প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে। নিজস্ব বলয়ের শক্তি জানান দিতে অনুগত কর্মীদের নিয়ে রাতে গুলশান ও দিনে পল্টন কার্যালয়ে ভিড় করছেন তারা। শুধু তাই নয়, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বাসায় বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও যাচ্ছেন কেউ কেউ। মামলা থাকায় কোনো কোনো নেতা প্রকাশ্যে দেখা না করে গোপনে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। বিগত আন্দোলনে মাঠে সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় সবাই পদ পাওয়ার প্রত্যাশায় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ঝিমিয়ে পড়া বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো ধীরে ধীরে চাঙ্গা হয়ে উঠছে।
অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা জানান, বিগত আন্দোলনে আত্মগোপনে থাকা নেতাদের যদি ফের সংগঠনের দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে সংগঠন বলতে আর কিছু থাকবে না। তবে যাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে এবং নেপথ্যে থেকে কাজ করেছেন তাদের বিষয়টি দলের হাইকমান্ডকে বিবেচনায় নিতে হবে। আর যারা অঙ্গসংগঠন থেকে বাদ পড়বেন তাদেরকে মূল দলে জায়গা করে দিলে সবমিলিয়ে পুনর্গঠনের মূল উদ্দেশ্য সফল হবে।
তারা আরও মনে করেন, অঙ্গসংগঠনের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে শীর্ষ পদে অন্তত একজনকে যেন বর্তমান কমিটির ভেতর থেকে আনা হয়। কারণ গুরুত্বপূর্ণ পদধারী নেতা যদি সংগঠনের বাইরের হন সেক্ষেত্রে সংগঠনে গতি আসবে না। চেইন অব কমান্ডও ভেঙে পড়ার আশংকা থাকবে। সংগঠনের অন্য নেতাকর্মীরা অতীতে কি কাজ করেছেন সেই সম্পর্কে তাদের ধারণা না থাকায় ত্যাগীরাও কমিটি থেকে বাদ পড়তে পারেন।
ঈদের আগে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, বিগত অন্দোলন-সংগ্রামে যারা সক্রিয় ছিল তাদেরকেই গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থান দেয়া হবে। এই ক্ষেত্রে ছাত্রদলের সাবেক নেতা যারা বিগত আন্দোলনে সক্রিয় ছিল তাদেরকে বিশেষভাবে অঙ্গসংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে গুরুত্ব দেয়া হবে। নেতৃত্বের বিকাশ ঘটাতে এক ‘নেতার এক পদ’- এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন দলের হাইকমান্ড। সেক্ষেত্রে অঙ্গ সংগঠনের নতুন কমিটির নেতৃত্বে আসলে তাকে দলের অন্য সব পদ ছেড়ে দিতে হবে।
সূত্র জানায়, যুবদলের কমিটি গঠনের মধ্যদিয়ে পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করতে চান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ২০১০ সালের ১ মার্চ অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে সভাপতি ও সাইফুল আলম নীরবকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট যুবদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এই কমিটির মেয়াদ দু’বছর আগেই শেষ হয়েছে। যুবদলের বিগত আন্দোলন-সংগ্রামের ভূমিকায় হতাশ দলের হাইকমান্ড। সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির ‘প্রাণ’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের দিনের আলোয়ে দেখা যায়নি। এসব কারণে ক্ষুব্ধ হাইকমান্ড ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর পরই যুবদলের নেতত্বে¡ পরিবর্তনের ঘোষণা দিলেও তা রহস্যজনক কারণে থেমে যায়। চলতি বছরের আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ায় সবার আগে যুবদলের কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন খালেদা জিয়া।
জানা গেছে, যুবদলের নতুন কমিটির শীর্ষ দুই পদের (সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) জন্য ছাত্রদলের সাবেক নেতা এবং যুবদলের বর্তমান নেতাদের ‘আমলনামা’ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে বিএনপির হাইকমান্ড। এসব নেতার মধ্যে রয়েছেন- সাবেক ছাত্র নেতা সানাউল হক নীরু, বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান রতন, যুবদলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, যুগ্ম-সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, সেলিমুজ্জামান সেলিম, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, আবদুল বারী ড্যানী।
এছাড়া নতুন কমিটির বাকি শীর্ষ তিন পদের (সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক) জন্য লবিং করছেন যুবদলের বর্তমান কমিটি ও ছাত্রদলের সাবেক বেশ কয়েকজন নেতা। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন- মোরতাজুল করিম বাদরু, মাহবুবুল হাসান পিংকু, শহিদুল ইসলাম বাবুল, নুরুল ইসলাম নয়ন, বজলুল করীম চৌধুরী আবেদ অন্যতম। এদের বিষয়েও দলের হাইকমান্ড খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার রাতে যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যুগান্তরকে বলেন, যুবদলের নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজেই এ কমিটি গঠনের বিষয়টি দেখভাল করছেন। আশা করি, শিগগির এ কমিটি ঘোষণা হতে পারে।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব করা হতে পারে। অথবা তাকে বিএনপির ঢাকা মহানগর কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে দেয়া হতে পারে। এ খবর জানার পরপরই যুবদলের সভাপতি পদ ছাড়ার বিষয়টি নিজ থেকেই দলের হাইকমান্ডকে অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছেন মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, যুবদলের পরপরই স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি গঠনে হাত দেয়া হবে। রুহুল কবির রিজভী ও ফজলুল হক মিলনের মৃত্যুপ্রায় কমিটি ভেঙে ২০১০ সালে স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। সাবেক ছাত্র নেতা হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে সভাপতি, মীর সরাফত আলী সপুকে সাধারণ সম্পাদক এবং সফিউল বারী বাবুকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। এই তিন নেতার প্রচেষ্টায় অল্প সময়ের মধ্যে ঘুরে দাঁড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দল। পুরস্কার হিসেবে সোহেলকে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব করা হলে বর্তমানে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে গতি কিছুটা কমে যায়।
বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান  বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের মতো একটি গতিশীল সংগঠনকে শুধু পরিকল্পনার অভাবে দুর্বল করা হল। সোহেলও তো মানুষ। তার তো সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। সোহেল না পারছে মহানগরে সময় দিতে, না পারছে স্বেচ্ছাসেবক দলে সময় দিতে।
সংগঠন সূত্রে জানা যায়, স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটিতে সভাপতি পদে বর্তমান কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মুনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু ও সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবুর নাম আলোচনায় রয়েছে। এছাড়াও আলোচনায় রয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল। সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, সভাপতি আবদুল কাদের ভূইয়া জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির। আলোচনায় থাকা এসব নেতার ভেতর থেকেই স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক করা হতে পারে।
আরও জানা গেছে, ছাত্রদলের আংশিক কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ করাসহ ঢাকা ও জগনাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটিও ঘোষণা করা হবে। তবে ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান গ্রেফতার হওয়ায় এখন ছাত্রদলের কমিটি গঠন বিলম্বিত হতে পারে বলে জানান সংগঠনের দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতা। ছাত্রদলের এসব কমিটি গঠনের কাজ ঈদের আগেই শেষ হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আহ্বায়ক কমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ইফতেখার কবির অথবা মামুন বিল্লাহকে আহ্বায়ক করার কথা ভাবা হচ্ছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। সেখানে বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মহসীন বিশ্বাস অথবা আসিফুর রহমান বিপ্লবকে আহ্বায়ক করা হতে পারে। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে উত্তরে বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি শরীফ উদ্দিন জুয়েলকে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির রওশনকে সপদে রাখা হতে পারে। তবে তেজগাঁও কলেজের সভাপতি মিজানুর রহমান রাজও এই পদের শক্ত প্রার্থী। ঈদের আগে ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান এবং সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান এসব কমিটি গঠন করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে গেলেও ওইসব কমিটি অনুমোদন পায়নি।
ঈদের পর পরই ছাত্রদলে উল্লিখিত কমিটিগুলো ঘোষণা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঈদের একদিন পর পটুয়াখালীতে গ্রেফতার হন ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান। তার গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে আবার অনিশ্চিত হয়ে পড়ে এসব কমিটি ঘোষণা। তবে যত দ্রুত সম্ভব এসব কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে বলে ছাত্রদলের দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতা জানান।
তবে এই নিয়ে ছাত্রদলের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি নেতা যারা ছাত্রদলকে দেখভাল করেন তাদেরকে দায়ী করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের একজন কেন্দ্রীয় নেতা। তিনি বলেন, বর্তমান কমিটি ঘোষণার পর বেশ কিছুদিন গত হয়েছে। প্রথম অবস্থায় কমিটি ঘোষণার পর সংগঠনের বড় একটি অংশ বিদ্রোহ করে। তাদের সংগঠনের যোগ্যতা অনুযায়ী পদ দেয়া হবে হাইকমান্ডের এমন আশ্বাসে বিদ্রোহীরা শান্ত হন। বিদ্রোহীরা বাদ পড়া ৩৬ জন নেতার একটা তালিকাও জমা দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদেরকে কোনো পদ দেয়া হয়নি। এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় পদ প্রত্যাশীরাও বেশ ক্ষুব্ধ। শিগগির কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন করা না হলে এই ছাত্রদল নেতার মতে আবারও ছাত্রদলে বড় ধরনের বিস্ফোরণ দেখা দিতে পারে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply