Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » ঢাকার শহরের ফুটপাথে ব্যবসা করে টিকে আছেন যারা ঢাকা শহরের মিরপুর এলাকায় ফুটপাথের দোকানে কেনাকাটা। ঢাকা শহরের যেকোনো ব্যস্ত এলাকায় হাঁটলেই চোখে পড়ে হরেক রকম পশরা সাজিয়ে বসা বিক্রেতাদের। এ্ই শহরে বহু মানুষের জীবিকা চলে শুধু ফুটপাথকে কেন্দ্র করেই। বহু মানুষের কেনাকাটাও চলে ফুটপাথেই। অন্যদিকে এই জমজমাট ব্যবসা পথচারীদের জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বিড়ম্বনার ব্যাপার। আবার এসব ব্যবসাকে কেন্দ্র করে চলছে চাঁদাবাজিও। পুরো ঢাকা শহরকে মাঝে মাঝে বড় আকারের একটা বাজার বলে মনে হয়। শহরের যেকোনো ব্যস্ত এলাকায় হাঁটলেই চোখে পড়ে হরেক রকম পশরা সাজিয়ে বসা বিক্রেতাদের। চোখে পড়ে দরকষাকষি। ক্রেতা আকর্ষণের নানান কায়দা। ফার্মগেটের এক জুতো বিক্রেতা বলছিলেন ফুটপাথের ক্রেতা মূলত পথচারী। পথে হাটতে গিয়ে কিছু চোখে পড়লে অনেকে দাড়িয়ে পড়েন কয়েক মিনিটের জন্য। ফুটপাথে পাওয়া যায় হরেক রকম পণ্য। ব্যস্ততায় মার্কেটে গিয়ে কেনাকাটার সুযোগ পাননা এমন মানুষজনও রয়েছেন। ক্রেতারা বলছেন কিছু টুকিটাকি পণ্য রয়েছে যা শুধু রাস্তাতেই পাওয়া যায় অথবা রাস্তায় কেনাই লাভজনক। ফুটপাথের মুল আকর্ষন কম দামে পণ্যের সরবরাহ। সস্তায় পণ্য কেনার বিড়ম্বনাও রয়েছে। মাপে ঠিক হলো কিনা, কদিন টিকবে, বদলানো যাবে কিনা সেসব বিষয় ভাবতে হয় বৈকি। ঢাকার মিরপুর ১৪ নম্বরে একজন কাপড় বিক্রেতা বলছিলেন স্বল্প পুঁজি বলেই তারা রাস্তায় বসছেন। দোকান ভাড়া নেয়ার সামর্থ্য নেই তাদের। ঢাকার শহর জুড়ে ফুটপাথ বিক্রেতাদের ঝড়-বৃষ্টি হলেই মাল গুটিয়ে ফেলতে হয়। পুলিশে তাড়া দিলেই দৌড়। ফুটপাথকে ঘিরে চলে বহু মানুষের জীবিকা। আর রাস্তায় বসার জন্য নিয়মিত দু পয়সা চাঁদাও দিতে হয়। সস্তায় পণ্য কিনে অনেকে স্বস্তি পেলেও ফুটপাথের ব্যবসা নিয়ে অস্বস্তির কথাও বললেন অনেকে। কয়েকজন পথচারী বলছিলেন ফুটপাথে বসে যারা বিক্রি করেন তাদের জন্য হাটাই যায়না। ঢাকা শহরে সবচাইতে ব্যস্ত ফুটপাথ বাণিজ্য দেখা যায় গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররমের আশপাশ, নিউমার্কেট আর ফার্মগেটে। রয়েছে বাস টার্মিনাল ও সদরঘাট কেন্দ্রিক বাণিজ্য। ফুটপাথ বাণিজ্য দেখা যায় ঢাকার বড় স্কুলগুলোর আশপাশে অথবা যেকোনো পাড়াতেও। বাদ যায়নি গুলশান বা ধানমন্ডির মতো পশ এলাকাও। ঝড় বৃষ্টিতে ভিজে ফুটপাথে যাদের জীবিকা চলে, কি তাদের পরিচয়? অভিবাসন বিশেষজ্ঞ তাসনিম সিদ্দিকি বলছেন তারা হলেন বানে ভাসা, নদী ভাঙনে ঘরছাড়া মানুষজন। ফুটপাথে কেনা পণ্য টেকসই হবে কিনা সেনিয়ে অবশ্য ভাবতে হয়। তিনি বলছিলেন, “ঢাকায় সবচাইতে বেশে কাজ জোটে তাই এসব মানুষ যখন নিজের এলাকায় আর কাজ পান না তখন ঢাকায় চলে আসেন। কিন্তু এখানে এলেই তারা কোন আনুষ্ঠানিক খাতে কাজ পাবেন তা মোটেই নয়। তারা যেকাজটি সবচেয়ে সহজে সেটিই বেছে নেন। যেমন ফুটপাথে ব্যবসা” ফুটপাথ দখলকারী হিসেবে অনেক সময় তাদের পরিচয় হলেও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের গবেষক মনজুর হোসেন বলছেন ফুটপাথ কেন্দ্রিক বাণিজ্যের ভাল দিক হলো এটি অল্প পুঁজির মানুষকে জীবিকার সুযোগ করে দিচ্ছে যাদের উপর নির্ভর করছে তাদের পরিবার। একইসাথে এতে অল্প আয়ের মানুষজনেরও লাভ হচ্ছে। সবমিলিয়ে ফুটপাথ বাণিজ্য অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। তবে এর মন্দ দিকও দেখছেন মি হোসেন। তিনি মনে করছেন, এই মানুষগুলো যে চাঁদা দিচ্ছেন তাতে একটি অবৈধ অর্থের লেনদেন হচ্ছে। মি হোসেনের মতে, সহজ জীবিকার টানে আসা এই মানুষগুলো শহরের জন্য একটি বাড়তি চাপ। তবে এই চাপ মেনেই অবশ্য ঢাকায় ক্রেতা বিক্রেতাদের সহাবস্থান।




   ঢাকার শহরের ফুটপাথে ব্যবসা করে টিকে আছেন যারা

ঢাকা শহরের মিরপুর এলাকায় ফুটপাথের দোকানে কেনাকাটা।

ঢাকা শহরের যেকোনো ব্যস্ত এলাকায় হাঁটলেই চোখে পড়ে হরেক রকম পশরা সাজিয়ে বসা বিক্রেতাদের।

এ্ই শহরে বহু মানুষের জীবিকা চলে শুধু ফুটপাথকে কেন্দ্র করেই। বহু মানুষের কেনাকাটাও চলে ফুটপাথেই।

অন্যদিকে এই জমজমাট ব্যবসা পথচারীদের জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বিড়ম্বনার ব্যাপার।

আবার এসব ব্যবসাকে কেন্দ্র করে চলছে চাঁদাবাজিও।

পুরো ঢাকা শহরকে মাঝে মাঝে বড় আকারের একটা বাজার বলে মনে হয়।

শহরের যেকোনো ব্যস্ত এলাকায় হাঁটলেই চোখে পড়ে হরেক রকম পশরা সাজিয়ে বসা বিক্রেতাদের।

চোখে পড়ে দরকষাকষি। ক্রেতা আকর্ষণের নানান কায়দা।

ফার্মগেটের এক জুতো বিক্রেতা বলছিলেন ফুটপাথের ক্রেতা মূলত পথচারী।

পথে হাটতে গিয়ে কিছু চোখে পড়লে অনেকে দাড়িয়ে পড়েন কয়েক মিনিটের জন্য।
ফুটপাথে পাওয়া যায় হরেক রকম পণ্য।

ব্যস্ততায় মার্কেটে গিয়ে কেনাকাটার সুযোগ পাননা এমন মানুষজনও রয়েছেন।

ক্রেতারা বলছেন কিছু টুকিটাকি পণ্য রয়েছে যা শুধু রাস্তাতেই পাওয়া যায় অথবা রাস্তায় কেনাই লাভজনক।

ফুটপাথের মুল আকর্ষন কম দামে পণ্যের সরবরাহ।

সস্তায় পণ্য কেনার বিড়ম্বনাও রয়েছে।

মাপে ঠিক হলো কিনা, কদিন টিকবে, বদলানো যাবে কিনা সেসব বিষয় ভাবতে হয় বৈকি।

ঢাকার মিরপুর ১৪ নম্বরে একজন কাপড় বিক্রেতা বলছিলেন স্বল্প পুঁজি বলেই তারা রাস্তায় বসছেন।

দোকান ভাড়া নেয়ার সামর্থ্য নেই তাদের।

ঢাকার শহর জুড়ে ফুটপাথ বিক্রেতাদের ঝড়-বৃষ্টি হলেই মাল গুটিয়ে ফেলতে হয়।

পুলিশে তাড়া দিলেই দৌড়।
ফুটপাথকে ঘিরে চলে বহু মানুষের জীবিকা।

আর রাস্তায় বসার জন্য নিয়মিত দু পয়সা চাঁদাও দিতে হয়।

সস্তায় পণ্য কিনে অনেকে স্বস্তি পেলেও ফুটপাথের ব্যবসা নিয়ে অস্বস্তির কথাও বললেন অনেকে।

কয়েকজন পথচারী বলছিলেন ফুটপাথে বসে যারা বিক্রি করেন তাদের জন্য হাটাই যায়না।

ঢাকা শহরে সবচাইতে ব্যস্ত ফুটপাথ বাণিজ্য দেখা যায় গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররমের আশপাশ, নিউমার্কেট আর ফার্মগেটে।

রয়েছে বাস টার্মিনাল ও সদরঘাট কেন্দ্রিক বাণিজ্য।

ফুটপাথ বাণিজ্য দেখা যায় ঢাকার বড় স্কুলগুলোর আশপাশে অথবা যেকোনো পাড়াতেও।

বাদ যায়নি গুলশান বা ধানমন্ডির মতো পশ এলাকাও।

ঝড় বৃষ্টিতে ভিজে ফুটপাথে যাদের জীবিকা চলে, কি তাদের পরিচয়?

অভিবাসন বিশেষজ্ঞ তাসনিম সিদ্দিকি বলছেন তারা হলেন বানে ভাসা, নদী ভাঙনে ঘরছাড়া মানুষজন।
ফুটপাথে কেনা পণ্য টেকসই হবে কিনা সেনিয়ে অবশ্য ভাবতে হয়।

তিনি বলছিলেন, “ঢাকায় সবচাইতে বেশে কাজ জোটে তাই এসব মানুষ যখন নিজের এলাকায় আর কাজ পান না তখন ঢাকায় চলে আসেন। কিন্তু এখানে এলেই তারা কোন আনুষ্ঠানিক খাতে কাজ পাবেন তা মোটেই নয়। তারা যেকাজটি সবচেয়ে সহজে সেটিই বেছে নেন। যেমন ফুটপাথে ব্যবসা”

ফুটপাথ দখলকারী হিসেবে অনেক সময় তাদের পরিচয় হলেও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের গবেষক মনজুর হোসেন বলছেন ফুটপাথ কেন্দ্রিক বাণিজ্যের ভাল দিক হলো এটি অল্প পুঁজির মানুষকে জীবিকার সুযোগ করে দিচ্ছে যাদের উপর নির্ভর করছে তাদের পরিবার।

একইসাথে এতে অল্প আয়ের মানুষজনেরও লাভ হচ্ছে।

সবমিলিয়ে ফুটপাথ বাণিজ্য অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।

তবে এর মন্দ দিকও দেখছেন মি হোসেন।

তিনি মনে করছেন, এই মানুষগুলো যে চাঁদা দিচ্ছেন তাতে একটি অবৈধ অর্থের লেনদেন হচ্ছে।

মি হোসেনের মতে, সহজ জীবিকার টানে আসা এই মানুষগুলো শহরের জন্য একটি বাড়তি চাপ।

তবে এই চাপ মেনেই অবশ্য ঢাকায় ক্রেতা বিক্রেতাদের সহাবস্থান।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply