যে রেকর্ড মুস্তাফিজ ছাড়া আর কারও নেই
ইশ! টি ২০ ক্রিকেট-অভিষেকে যদি আরেকটি উইকেট পেতেন। তাহলে সেখানেও হয়তো ম্যাচসেরা হতেন মুস্তাফিজুর রহমান। অভিষেকের পর থেকেই একের পর এক চমক দেখিয়ে চলেছেন এই পেস-বিস্ময়। ছোট ফরম্যাটে তাকে মানানসই মনে হচ্ছিল। ওয়ানডেতে নিজেকে তুলে ধরে টেস্ট আঙিনায় পা দিয়েও রেকর্ড গড়ে ফেললেন। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকে ম্যাচসেরা হয়ে অনন্য এক কীর্তি গড়লেন এই বাঁ-হাতি। এ দুই ফরম্যাটে অভিষেক ম্যাচেসেরা হওয়ার কীর্তি নেই আর কারোর। তবে দুই ফরম্যাটে অভিষেকে সেরা হওয়ার কীর্তি আছে আরও এক বাংলাদেশীর। ক্রিকেটের টেস্ট ও টি ২০-তে অভিষেকে সেরা হয়েছিলেন ইলিয়াস সানি।
গত ১৮ জুন ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় মুস্তাফিজের। ৫০ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ফরম্যাটে। এবার অবশ্য পাঁচ উইকেট পাননি তিনি। কিন্তু অভিষেকে বাংলাদেশী টেস্ট বোলার হিসেবে এক ওভারে তিন উইকেট নিয়েছেন। পরে শেষ উইকেটটা নিয়ে প্রোটিয়াদের আড়াইশ’ রানের নিচে অলআউট করতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। বৃষ্টির কারণে ওভারের হিসেবে আড়াই দিন খেলা হয়েছে।
ম্যাচটি ড্র হওয়ার জন্য বৃষ্টির অবদানই বেশি। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন বাংলাদেশের তিন ব্যাটসম্যান। এছাড়া বাংলাদেশের জুবায়ের হোসেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ডেল স্টেইন ও সাইমন হার্মার তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। ২২১ ওভারের ম্যাচে ছোটখাটো পারফরম্যান্স হয়েছে আরও কিছু। কিন্তু ২.০৯ গড়ে ৩৭ রান দিয়ে চার উইকেট নেয়া মুস্তাফিজই ম্যাচসেরা। টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটের রথি-মহারথিদের পেছনে ফেলে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেলেন মুস্তাফিজ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যে কোনো দুটি ফরম্যাট ধরলে মুস্তাফিজের আগে রয়েছেন শুধু ইলিয়াস সানি। ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের অভিষেক ম্যাচে চট্টগ্রামেই ৭৯ রানে ছয় উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সেই টেস্টেরও দু’দিন গিয়েছিল বৃষ্টির পেটে। প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে এগিয়েছিল বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শেষ পর্যন্ত হয়েছিল ড্র। ম্যাচসেরা হয়েছিলেন সানি।
ওই বছরই ওয়ানডে অভিষেকে সানি পেয়েছিলেন এক উইকেট। আবার চমকে দেন তিনি টি ২০ অভিষেকে। ২০১২ সালের জুলাইয়ের বেলফাস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চার ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। টি ২০-তে এখনও সেটি বাংলাদেশের সেরা বোলিং।
সানি ও মুস্তাফিজ ছাড়া টেস্ট অভিষেকে কোনো সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন আর দু’জন। দু’জনই ব্যাটসম্যান এবং ইতিহাস গড়েছিলেন তারা। ২০০১ সালের এপ্রিলে বুলাওয়েতে টেস্ট অভিষেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৬২ রান করেছিলেন জাভেদ ওমর বেলিম, দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৫ রান করে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। আর সবচেয়ে কম বয়সে শ্রীলংকার বিপক্ষে শতক হাঁকিয়ে মোহাম্মদ আশরাফুলের ম্যাচসেরা হওয়ার ঘটনা সবারই জানা।
Slider
বিশ্ব
জাতীয়
মেহেরপুর জেলা
গাংনী উপজেলা
মুজিবনগর উপজেলা
ফিচার
খেলা
মেহেরপুর সদর উপজেলা
ছবি
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Home
»
games
»
lid news
»
national
» যে রেকর্ড মুস্তাফিজ ছাড়া আর কারও নেই ইশ! টি ২০ ক্রিকেট-অভিষেকে যদি আরেকটি উইকেট পেতেন। তাহলে সেখানেও হয়তো ম্যাচসেরা হতেন মুস্তাফিজুর রহমান। অভিষেকের পর থেকেই একের পর এক চমক দেখিয়ে চলেছেন এই পেস-বিস্ময়। ছোট ফরম্যাটে তাকে মানানসই মনে হচ্ছিল। ওয়ানডেতে নিজেকে তুলে ধরে টেস্ট আঙিনায় পা দিয়েও রেকর্ড গড়ে ফেললেন। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকে ম্যাচসেরা হয়ে অনন্য এক কীর্তি গড়লেন এই বাঁ-হাতি। এ দুই ফরম্যাটে অভিষেক ম্যাচেসেরা হওয়ার কীর্তি নেই আর কারোর। তবে দুই ফরম্যাটে অভিষেকে সেরা হওয়ার কীর্তি আছে আরও এক বাংলাদেশীর। ক্রিকেটের টেস্ট ও টি ২০-তে অভিষেকে সেরা হয়েছিলেন ইলিয়াস সানি। গত ১৮ জুন ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় মুস্তাফিজের। ৫০ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ফরম্যাটে। এবার অবশ্য পাঁচ উইকেট পাননি তিনি। কিন্তু অভিষেকে বাংলাদেশী টেস্ট বোলার হিসেবে এক ওভারে তিন উইকেট নিয়েছেন। পরে শেষ উইকেটটা নিয়ে প্রোটিয়াদের আড়াইশ’ রানের নিচে অলআউট করতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। বৃষ্টির কারণে ওভারের হিসেবে আড়াই দিন খেলা হয়েছে। ম্যাচটি ড্র হওয়ার জন্য বৃষ্টির অবদানই বেশি। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন বাংলাদেশের তিন ব্যাটসম্যান। এছাড়া বাংলাদেশের জুবায়ের হোসেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ডেল স্টেইন ও সাইমন হার্মার তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। ২২১ ওভারের ম্যাচে ছোটখাটো পারফরম্যান্স হয়েছে আরও কিছু। কিন্তু ২.০৯ গড়ে ৩৭ রান দিয়ে চার উইকেট নেয়া মুস্তাফিজই ম্যাচসেরা। টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটের রথি-মহারথিদের পেছনে ফেলে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেলেন মুস্তাফিজ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যে কোনো দুটি ফরম্যাট ধরলে মুস্তাফিজের আগে রয়েছেন শুধু ইলিয়াস সানি। ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের অভিষেক ম্যাচে চট্টগ্রামেই ৭৯ রানে ছয় উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সেই টেস্টেরও দু’দিন গিয়েছিল বৃষ্টির পেটে। প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে এগিয়েছিল বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শেষ পর্যন্ত হয়েছিল ড্র। ম্যাচসেরা হয়েছিলেন সানি। ওই বছরই ওয়ানডে অভিষেকে সানি পেয়েছিলেন এক উইকেট। আবার চমকে দেন তিনি টি ২০ অভিষেকে। ২০১২ সালের জুলাইয়ের বেলফাস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চার ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। টি ২০-তে এখনও সেটি বাংলাদেশের সেরা বোলিং। সানি ও মুস্তাফিজ ছাড়া টেস্ট অভিষেকে কোনো সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন আর দু’জন। দু’জনই ব্যাটসম্যান এবং ইতিহাস গড়েছিলেন তারা। ২০০১ সালের এপ্রিলে বুলাওয়েতে টেস্ট অভিষেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৬২ রান করেছিলেন জাভেদ ওমর বেলিম, দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৫ রান করে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। আর সবচেয়ে কম বয়সে শ্রীলংকার বিপক্ষে শতক হাঁকিয়ে মোহাম্মদ আশরাফুলের ম্যাচসেরা হওয়ার ঘটনা সবারই জানা।
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: