Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » সেপ্টেম্বর থেকে নতুন বেতন, টাইম স্কেল-সিলেকশন বাদ সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাদ দেওয়ার সুপারিশ ছিল ড. ফরাসউদ্দিন কমিশনের। সেই যুক্তি খণ্ডন করেননি সচিব কমিটি। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও ঐ সুপারিশ বাস্তাবায়নের পক্ষে। যদিও অর্থমন্ত্রীর এমন মনোভাবে সচিবালয়কেন্দ্রিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠনগুলো আন্দোলনের হুমকি দিয়ে আসলেও সংগঠনের নেতারা অখুশি নন। কারণ টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাদ দিয়ে নতুন যে পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে সরকার, তাতে চাকরিজীবীদের কোনো লোকসান হবে না। প্রতিবছর মূল বেতনের ৫ শতাংশ করে চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়বে তাদের বেতন। এতে পদোন্নতি না পেলেও ১৫ বছরের মধ্যেই তাঁদের বেতন-ভাতা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। সবশেষ গত ২০ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞার সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে সচিব কমিটি চুড়ান্ত করে প্রধানমন্ত্রীর কার‌্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিলে আগামী সোমবার বিষয়টি মন্ত্রিসভায় তোলা হতে পারে। নতুন বেতন কাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল না থাকলেও এর বিকল্প হিসেবে প্রতিবছর প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারী তাঁর মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট পাবেন। প্রথম বছর ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার পর তা যোগ করে যে মূল বেতন হবে, পরের বছর তার ওপর ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট পাবেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বেতন কাঠামোর ৫ থেকে ২০ নম্বর গ্রেড পর্যন্ত প্রত্যেকের জন্যই ৫ শতাংশ হারে চক্রবৃদ্ধি ইনক্রিমেন্ট এবং ২ থেকে ৪ নম্বর গ্রেড পর্যন্ত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ হারে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ ব্যবস্থার ফলে কারো বেতন বৃদ্ধি থেমে থাকবে না। পদোন্নতি না পেলেও প্রতিবছরই প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বাড়বে। এভাবে বছরান্তে বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতির ক্ষেত্র প্রস্তুত হলে জনপ্রশাসনে স্বস্তি ও কাজে গতি বাড়বে বলে আশা করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত ২৯ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নতুন বেতন কাঠামোর চূড়ান্ত খসড়া মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। পরে বেতন কাঠামো নিয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলে এটি চূড়ান্ত করছেন। আগামী সোমবারের মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদনের জন্য তা উঠতে পারে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলে আগামী আগস্ট অথবা সেপ্টেম্বর মাস থেকে বর্ধিত বেতন পাবেন। তবে কার্যকর হবে জুলাই থেকে। পিছনেরটা এরিয়ার হিসাবে পাবেন তারা। নতুন বেতন কাঠামো অনুমোদনের জন্য সোমবার মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, “সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উঠবে তবে অনুমোদন হবে কি না তা আমার জানা নেই ।” জানা যায়, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাদ দেওয়ার যুক্তি তুলে ধরে বেতন কাঠামোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান ব্যবস্থায় ১০০ ভাগ সিলেকশন গ্রেড বহাল রয়েছে। ফলে চাকরিজীবীদের দক্ষতা বৃদ্ধি বা উদ্দীপনা দেওয়ার কিছু নেই। এভাবে সর্বজনীন সিলেকশন গ্রেড দেওয়া আসলে আরেকটি টাইম স্কেলের মতোই। আবার এখন যে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল ব্যবস্থা রয়েছে, এতে বেতন কাঠামোর নিম্নতর গ্রেডের চাকরিজীবীরা বাস্তবিক অর্থে লাভবান হচ্ছেন না। বরং অনেক ক্ষেত্রে কনিষ্ঠ চাকরিজীবী জ্যেষ্ঠর চেয়ে বেশি বেতন পান। ফলে অনেক মামলা-মোকদ্দমাও চলতে থাকে। এসব বিবেচনায় সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল ব্যবস্থা বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে গ্রেডগুলোর মধ্যে টাকার অঙ্কে দূরত্ব বাড়িয়ে ইনক্রিমেন্টের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি হলে প্রতিটি ক্যাডার এবং ক্যাডারবহির্ভূত গ্রেড বা স্কেল এমনভাবে পিরামিড বিন্যস্ত করা যাবে যে বেতন বৃদ্ধি পদোন্নতির মাধ্যমেই হবে, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের প্রয়োজন হবে না। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. নিজামুল ইসলাম ভূঁইয়া মিলন বলেন, “সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাদ দেওয়ার কথা শুনে আমরা আতঙ্কিত হয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। এর বিকল্প হিসেবে চক্রবৃদ্ধি হারে ৫ শতাংশ করে ইনক্রিমেন্ট দেয়ার আশ্বাস তিনি আমাদের দিয়েছেন। তাতে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি যে এটি হলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল না থাকলেও আমাদের কোনো লোকসান হবে না।” বর্তমানে সর্বনিম্ন ২০তম গ্রেডে মূল বেতন ৪১০০ টাকা। ফরাসউদ্দিনের কমিশন তা বাড়িয়ে ৮২০০ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করে। সচিব কমিটি তাতে আরো ৫০ টাকা যোগ করে অর্থমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ দেয়। তবে তা আরো ২৫০ টাকা বাড়িয়ে ৮৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। সরকারের ১২ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে এ গ্রেডের আওতায় রয়েছেন প্রায় চার লাখের মতো। সর্বনিম্ন গ্রেডে বেতন বাড়ানো হলে তার আগের গ্রেডগুলোতেও বেতনের পরিমাণ কিছুটা করে বাড়বে। -




 সেপ্টেম্বর থেকে নতুন বেতন, টাইম স্কেল-সিলেকশন বাদ



  সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাদ দেওয়ার সুপারিশ ছিল ড. ফরাসউদ্দিন কমিশনের। সেই যুক্তি খণ্ডন করেননি সচিব কমিটি। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও ঐ সুপারিশ বাস্তাবায়নের  পক্ষে।


যদিও অর্থমন্ত্রীর এমন মনোভাবে সচিবালয়কেন্দ্রিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠনগুলো আন্দোলনের হুমকি দিয়ে আসলেও সংগঠনের নেতারা অখুশি নন। কারণ টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাদ দিয়ে নতুন যে পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে সরকার, তাতে চাকরিজীবীদের কোনো লোকসান হবে না। প্রতিবছর মূল বেতনের ৫ শতাংশ করে চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়বে তাদের বেতন। এতে পদোন্নতি না পেলেও ১৫ বছরের মধ্যেই তাঁদের বেতন-ভাতা দ্বিগুণ হয়ে যাবে।


সবশেষ গত ২০ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ  হোসাইন  ভূঁইঞার সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে সচিব কমিটি চুড়ান্ত করে প্রধানমন্ত্রীর কার‌্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিলে আগামী সোমবার বিষয়টি মন্ত্রিসভায় তোলা হতে পারে।


নতুন বেতন কাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল না থাকলেও এর বিকল্প হিসেবে প্রতিবছর প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারী তাঁর মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট পাবেন।  প্রথম বছর ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার পর তা যোগ করে যে মূল বেতন হবে, পরের বছর তার ওপর ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট পাবেন।


সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বেতন কাঠামোর ৫ থেকে ২০ নম্বর গ্রেড পর্যন্ত প্রত্যেকের জন্যই ৫ শতাংশ হারে চক্রবৃদ্ধি ইনক্রিমেন্ট এবং ২ থেকে ৪ নম্বর গ্রেড পর্যন্ত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ হারে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ ব্যবস্থার ফলে কারো বেতন বৃদ্ধি থেমে থাকবে না। পদোন্নতি না পেলেও প্রতিবছরই প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বাড়বে।


এভাবে বছরান্তে বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতির ক্ষেত্র প্রস্তুত হলে জনপ্রশাসনে স্বস্তি ও কাজে গতি বাড়বে বলে আশা করছে অর্থ মন্ত্রণালয়।


অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত ২৯ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নতুন বেতন কাঠামোর চূড়ান্ত খসড়া মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।


পরে বেতন কাঠামো নিয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলে এটি চূড়ান্ত করছেন। আগামী সোমবারের মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদনের জন্য তা উঠতে পারে।


মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলে আগামী আগস্ট অথবা সেপ্টেম্বর মাস থেকে বর্ধিত বেতন পাবেন। তবে কার্যকর হবে জুলাই থেকে। পিছনেরটা এরিয়ার হিসাবে পাবেন তারা।


নতুন বেতন কাঠামো অনুমোদনের জন্য সোমবার মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ   বলেন, “সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উঠবে তবে অনুমোদন হবে কি না তা আমার জানা নেই ।”


জানা যায়, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাদ দেওয়ার যুক্তি তুলে ধরে বেতন কাঠামোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান ব্যবস্থায় ১০০ ভাগ সিলেকশন গ্রেড বহাল রয়েছে। ফলে চাকরিজীবীদের দক্ষতা বৃদ্ধি বা উদ্দীপনা দেওয়ার কিছু নেই। এভাবে সর্বজনীন সিলেকশন গ্রেড দেওয়া আসলে আরেকটি টাইম স্কেলের মতোই। আবার এখন যে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল ব্যবস্থা রয়েছে, এতে বেতন কাঠামোর নিম্নতর গ্রেডের চাকরিজীবীরা বাস্তবিক অর্থে লাভবান হচ্ছেন না। বরং অনেক ক্ষেত্রে কনিষ্ঠ চাকরিজীবী জ্যেষ্ঠর চেয়ে বেশি বেতন পান। ফলে অনেক মামলা-মোকদ্দমাও চলতে থাকে। এসব বিবেচনায় সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল ব্যবস্থা বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে গ্রেডগুলোর মধ্যে টাকার অঙ্কে দূরত্ব বাড়িয়ে ইনক্রিমেন্টের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি হলে প্রতিটি ক্যাডার এবং ক্যাডারবহির্ভূত গ্রেড বা স্কেল এমনভাবে পিরামিড বিন্যস্ত করা যাবে যে বেতন বৃদ্ধি পদোন্নতির মাধ্যমেই হবে, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের প্রয়োজন হবে না।


বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. নিজামুল ইসলাম ভূঁইয়া মিলন   বলেন, “সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাদ দেওয়ার কথা শুনে আমরা আতঙ্কিত হয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। এর বিকল্প হিসেবে চক্রবৃদ্ধি হারে ৫ শতাংশ করে ইনক্রিমেন্ট দেয়ার আশ্বাস তিনি আমাদের দিয়েছেন। তাতে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি যে এটি হলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল না থাকলেও আমাদের কোনো লোকসান হবে না।”


বর্তমানে সর্বনিম্ন ২০তম গ্রেডে মূল বেতন ৪১০০ টাকা। ফরাসউদ্দিনের কমিশন তা বাড়িয়ে ৮২০০ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করে। সচিব কমিটি তাতে আরো ৫০ টাকা যোগ করে অর্থমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ দেয়।


তবে তা আরো ২৫০ টাকা বাড়িয়ে ৮৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। সরকারের ১২ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে এ গ্রেডের আওতায় রয়েছেন প্রায় চার লাখের মতো। সর্বনিম্ন গ্রেডে বেতন বাড়ানো হলে তার আগের গ্রেডগুলোতেও বেতনের পরিমাণ কিছুটা করে বাড়বে।
-






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply