Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » ছাত্রলীগের কমিটিতে অচেনা মুখ স্থানীয় পর্যায়ে দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রুপিং, আধিপত্য, স্বার্থগত দ্বন্দ্ব, নীতিগত বৈরিতা ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের মাঝেও অপ্রীতিকর ঘটনা-সংঘর্ষ এড়াতে অবশেষে সমঝোতার মাধ্যমে পদ-পদবি ভাগাভাগিতে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ছাত্রলীগের জেলা কমিটিতে আওয়ামী লীগের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আহম মুস্তফা কামাল এমপি, যুগ্ম আহ্বায়ক রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক এমপি ও অ্যাডভোকেট আফজল খানের এবং মহানগর ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থানীয় এমপি আকম বাহাউদ্দিনের অনুসারীদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। তবে পদপ্রাপ্তদের অনেকেই অচেনা মুখের এবং চেনা ও দলের জন্য নিবেদিত অনেককে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের একাধিক ত্যাগী কর্মী। দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০১১ সালের ২৭ জুন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের ১৫ সদস্যের একটি কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ওই কমিটির পদ-পদবিতে প্রাধান্য ছিল বর্তমান রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক অনুসারীদের। এ নিয়ে ওই সময় মুজিবুল হক ও আফজল খান অনুসারী এবং সদর আসনের এমপি বাহাউদ্দিনের অনুসারীদের মধ্যে নগরীর কান্দিরপাড়ে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে ওই কমিটি গঠনের ১ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা থাকলেও তা হয়নি। এতে দীর্ঘদিন ধরে কমিটি গঠন নিয়ে দুইপক্ষে টানাপোড়েন চলে আসছিল। ১১ এপ্রিল কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তনে জেলা ছাত্রলীগের কর্মী সম্মেলন হয়। ওই সম্মেলন শেষে দুই গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনার জেরে খুন হন শহর ছাত্রলীগের সভাপতি এম সাইফুল ইসলাম। এ নিয়ে হামলা-মামলা-পাল্টা মামলায় দলীয় অঙ্গনে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এদিকে ২০ জুলাই সমঝোতার ভিত্তিতে আবু তৈয়ব অপিকে সভাপতি, মিজানুর রহমান রাতুল ও শাহাদাৎ হোসেনকে সহ-সভাপতি, মো. লোকমান হোসেন রুবেলকে সম্পাদক এবং ওমর ফারুক মির্জা ও হোসেন মো. মনিরকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের ৬ সদস্যের একটি অপূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, অপূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটির মিজানুর রহমান ও লোকমান হোসেন রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হকের অনুসারী, শাহাদাৎ হোসেন পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামালের, ওমর ফারুক মির্জা সদর আসনের এমপি আকম বাহাউদ্দিন এবং হোসেন মো. মনির লাকসাম-মনোহরগঞ্জ আসনের এমপি মো. তাজুল ইসলামের অনুসারী। এর মধ্যে আবু তৈয়ব কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের ভূতপূর্ব কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তার বাবা মুহাম্মদ আবু তাহের দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। লোকমান হোসেন রেলপথমন্ত্রীর বোনের নাতি এবং তিনি চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক। শাহাদাৎ হোসেন নাঙ্গলকোট পৌরসভার একটি ওয়ার্ডের সদস্য। হোসেন মো. মনির মনোহরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এ ৬ সদস্যবিশিষ্ট জেলা কমিটির বেশিরভাগই জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছে ‘অচেনা’ মুখ। অপরদিকে একই দিন ৭ সদস্যের কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আবদুল আজিজ সিহানুকে আহ্বায়ক ও নাঈমুল হক হিমেল, গোলাম সারোয়ার কাওসার, সাইফুল আলম রবিন, মো. ফয়সাল হোসেন, নূর মোহাম্মদ সোহেল, সাকিব আল হাসানকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। এর মধ্যে আহ্বায়কসহ ৪ জন সংসদ সদস্য আকম বাহাউদ্দিনের অনুসারী এবং অপর ৩ জন রেলপথমন্ত্রীর অনুসারী। আবদুল আজিজ সদর আসনের এমপির বড় ভাইয়ের ছেলে। একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘কমিটিতে যাদের নাম এসেছে, তাদের তুলনায় রাজপথে আমরা সক্রিয় ছিলাম। কিন্তু অচেনাদের দিয়েই কমিটি ঘোষণা করা হয়।’ ২০০৩ সালে কুমিল্লা শহর ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছিল।




  ছাত্রলীগের কমিটিতে অচেনা মুখ


স্থানীয় পর্যায়ে দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রুপিং, আধিপত্য, স্বার্থগত দ্বন্দ্ব, নীতিগত বৈরিতা ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের মাঝেও অপ্রীতিকর ঘটনা-সংঘর্ষ এড়াতে অবশেষে সমঝোতার মাধ্যমে পদ-পদবি ভাগাভাগিতে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ছাত্রলীগের জেলা কমিটিতে আওয়ামী লীগের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আহম মুস্তফা কামাল এমপি, যুগ্ম আহ্বায়ক রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক এমপি ও অ্যাডভোকেট আফজল খানের এবং মহানগর ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থানীয় এমপি আকম বাহাউদ্দিনের অনুসারীদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। তবে পদপ্রাপ্তদের অনেকেই অচেনা মুখের এবং চেনা ও দলের জন্য নিবেদিত অনেককে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের একাধিক ত্যাগী কর্মী। দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০১১ সালের ২৭ জুন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের ১৫ সদস্যের একটি কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ওই কমিটির পদ-পদবিতে প্রাধান্য ছিল বর্তমান রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক অনুসারীদের। এ নিয়ে ওই সময় মুজিবুল হক ও আফজল খান অনুসারী এবং সদর আসনের এমপি বাহাউদ্দিনের অনুসারীদের মধ্যে নগরীর কান্দিরপাড়ে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে ওই কমিটি গঠনের ১ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা থাকলেও তা হয়নি। এতে দীর্ঘদিন ধরে কমিটি গঠন নিয়ে দুইপক্ষে টানাপোড়েন চলে আসছিল। ১১ এপ্রিল কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তনে জেলা ছাত্রলীগের কর্মী সম্মেলন হয়। ওই সম্মেলন শেষে দুই গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনার জেরে খুন হন শহর ছাত্রলীগের সভাপতি এম সাইফুল ইসলাম। এ নিয়ে হামলা-মামলা-পাল্টা মামলায় দলীয় অঙ্গনে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এদিকে ২০ জুলাই সমঝোতার ভিত্তিতে আবু তৈয়ব অপিকে সভাপতি, মিজানুর রহমান রাতুল ও শাহাদাৎ হোসেনকে সহ-সভাপতি, মো. লোকমান হোসেন রুবেলকে সম্পাদক এবং ওমর ফারুক মির্জা ও হোসেন মো. মনিরকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের ৬ সদস্যের একটি অপূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, অপূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটির মিজানুর রহমান ও লোকমান হোসেন রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হকের অনুসারী, শাহাদাৎ হোসেন পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামালের, ওমর ফারুক মির্জা সদর আসনের এমপি আকম বাহাউদ্দিন এবং হোসেন মো. মনির লাকসাম-মনোহরগঞ্জ আসনের এমপি মো. তাজুল ইসলামের অনুসারী। এর মধ্যে আবু তৈয়ব কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের ভূতপূর্ব কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তার বাবা মুহাম্মদ আবু তাহের দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। লোকমান হোসেন রেলপথমন্ত্রীর বোনের নাতি এবং তিনি চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক। শাহাদাৎ হোসেন নাঙ্গলকোট পৌরসভার একটি ওয়ার্ডের সদস্য। হোসেন মো. মনির মনোহরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এ ৬ সদস্যবিশিষ্ট জেলা কমিটির বেশিরভাগই জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছে ‘অচেনা’ মুখ। অপরদিকে একই দিন ৭ সদস্যের কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আবদুল আজিজ সিহানুকে আহ্বায়ক ও নাঈমুল হক হিমেল, গোলাম সারোয়ার কাওসার, সাইফুল আলম রবিন, মো. ফয়সাল হোসেন, নূর মোহাম্মদ সোহেল, সাকিব আল হাসানকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। এর মধ্যে আহ্বায়কসহ ৪ জন সংসদ সদস্য আকম বাহাউদ্দিনের অনুসারী এবং অপর ৩ জন রেলপথমন্ত্রীর অনুসারী। আবদুল আজিজ সদর আসনের এমপির বড় ভাইয়ের ছেলে। একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘কমিটিতে যাদের নাম এসেছে, তাদের তুলনায় রাজপথে আমরা সক্রিয় ছিলাম। কিন্তু অচেনাদের দিয়েই কমিটি ঘোষণা করা হয়।’ ২০০৩ সালে কুমিল্লা শহর ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছিল।







«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply