Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনায় বড় বাধা দুর্নীতি, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময়ী দেশ বলে মনে করে যুক্তরাজ্য। কিন্তু এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে এদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, ঘুষ, দুর্নীতি ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার প্রধান বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ‘ডুয়িং বিজনেস ইন বাংলাদেশ : শীর্ষক ট্রেড অ্যান্ড এক্সপোর্ট শীর্ষক’ সরকারি এক প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করেছে যুক্তরাজ্য। দেশটি সরকারি ওয়েবসাইটে (গভডট ইউকে) বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সম্পর্কে এমন মন্তব্য প্রতেবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। বাণিজ্যিক পরিবেশ কেমন, বিনিয়োগের নিশ্চয়তা কতখানি- ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীদের এ সম্পর্কে সজাগ করতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। সচ্ছতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে বসবাসরত প্রায় একশ’ ব্রিটিশ ব্যবসায়ীর বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ ক্ষেত্র অনেক বেশি। মূলধন নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিও কম। আমদানি-রফতানিপণ্য পরিবহনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বাণিজ্যিক চাহিদাপূরণ এদেশে খুবই সহজসাধ্য ব্যাপার। উৎসাহী ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা অনায়াসে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে তাদের এদেশে বিরাজমান এসব বাধার সম্মুখীন হতে হবে। বাংলাদেশে ব্যবসা করতে কি কি অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় তার কয়েকটি দিকও বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে ফরেন ব্যবসায়ী ও কোম্পানিগুলোর কর্পোরেট টেক্সের হারও উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয় এখানে শ্রমবাজার অন্যান্য দেশের তুলনায এখনও অনেক কম ও প্রতিযোগিতামূলক। প্রবৃদ্ধির অব্যাহত উন্নতি হচ্ছে এবং এর ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। আন্তর্জাতিক মাপকাঠিতে ক্রেডিট রেটিংও স্থিতিশীল। একজন ফরেন বিনিয়োগকারীর জন্য এ বিষয়গুলো বিনিয়োগের অনুকূল বলা যায়। কিন্তু ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশ সম্পর্কে সতর্ক করতে গিয়ে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়- বাংলাদেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল নয়, রাজনৈতিক অবস্থা কখনও কখনও মারাত্মক অবনতি ঘটে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা তো রয়েছেই। একজন বিনিয়োগকারী তার অর্জিত অর্থ বিনিয়োগের পূর্বে দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি রাজনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নেবে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তা এখন দিতে ব্যর্থ। ঘুষ যা ‘স্পিড মানি’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে- তা বাংলাদেশে বিদ্যমান। ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো কোনো দেশে ঘুষ আদান-প্রদান করলে আইনের চোখে তা দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশে ব্যবসা শুরুর পূর্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘুষ প্রদানের কথা তুলে ধরা হয়। এটা ফরেন বিনিয়োগকারীদের জন্য সে দেশে বিনিয়োগে অন্যতম একটি বাধা বলা হয়েছে। তাছাড়া দেশটির আইনশৃংখলা বাহিনী, আমলাদের পাশাপাশি রাজনীতিবিদরাও ক্ষমতার অপব্যবহার করেন বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়। এসব নেতা অনেকের মাঝে জবাবদিহিতা এবং সচ্ছতার অভাব রয়েছে। ব্রিটেনের প্রায় ১শ’ কোম্পানি বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিযোগ করেছে। এদের মধ্যে এইচএসবিসি ব্যাংক, ইউনিলিভার, জেএসকে প্রভৃতি বিখ্যাত কোম্পানি রয়েছে। বাংলাদেশে ব্যবসার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষার প্রচলন, ১১ দিনে ব্যবসা শুরু করার সুযোগ এবং ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পরিকল্পনাকে- বিনিয়োগের জন্য অনুকূল বলে উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশের বাজারে চীন এবং ভারত থেকে আসা স্বল্প দামে পণ্যসামগ্রী প্রভাব বিস্তার করে। সে ক্ষেত্রে ব্রিটিশ পণ্যের গুণগতমান, স্থানীয় মানুষের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পণ্যের দাম নির্ধারণ, বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের বিষয়গুলো মাথায় রেখে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো কাজ কররে তারা প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ভালো করবে তেমনটি নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়- বাংলাদেশ বিনিযোগের উজ্জ্বল ক্ষেত্র হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, জলবায়ু, জ্বালানি খাত। এসব খাতে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীদের এ খাতগুলোতে বিনিয়োগের কথা বলা হয়।





বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনায় বড় বাধা দুর্নীতি,


বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময়ী দেশ বলে মনে করে যুক্তরাজ্য। কিন্তু এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে এদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, ঘুষ, দুর্নীতি ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার প্রধান বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ‘ডুয়িং বিজনেস ইন বাংলাদেশ : শীর্ষক ট্রেড অ্যান্ড এক্সপোর্ট শীর্ষক’ সরকারি এক প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করেছে যুক্তরাজ্য। দেশটি সরকারি ওয়েবসাইটে (গভডট ইউকে) বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সম্পর্কে এমন মন্তব্য প্রতেবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। বাণিজ্যিক পরিবেশ কেমন, বিনিয়োগের নিশ্চয়তা কতখানি- ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীদের এ সম্পর্কে সজাগ করতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। সচ্ছতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে বসবাসরত প্রায় একশ’ ব্রিটিশ ব্যবসায়ীর বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ ক্ষেত্র অনেক বেশি। মূলধন নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিও কম। আমদানি-রফতানিপণ্য পরিবহনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বাণিজ্যিক চাহিদাপূরণ এদেশে খুবই সহজসাধ্য ব্যাপার। উৎসাহী ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা অনায়াসে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে তাদের এদেশে বিরাজমান এসব বাধার সম্মুখীন হতে হবে। বাংলাদেশে ব্যবসা করতে কি কি অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় তার কয়েকটি দিকও বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে ফরেন ব্যবসায়ী ও কোম্পানিগুলোর কর্পোরেট টেক্সের হারও উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয় এখানে শ্রমবাজার অন্যান্য দেশের তুলনায এখনও অনেক কম ও প্রতিযোগিতামূলক। প্রবৃদ্ধির অব্যাহত উন্নতি হচ্ছে এবং এর ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। আন্তর্জাতিক মাপকাঠিতে ক্রেডিট রেটিংও স্থিতিশীল। একজন ফরেন বিনিয়োগকারীর জন্য এ বিষয়গুলো বিনিয়োগের অনুকূল বলা যায়।

কিন্তু ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশ সম্পর্কে সতর্ক করতে গিয়ে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়- বাংলাদেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল নয়, রাজনৈতিক অবস্থা কখনও কখনও মারাত্মক অবনতি ঘটে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা তো রয়েছেই। একজন বিনিয়োগকারী তার অর্জিত অর্থ বিনিয়োগের পূর্বে দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি রাজনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নেবে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তা এখন দিতে ব্যর্থ। ঘুষ যা ‘স্পিড মানি’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে- তা বাংলাদেশে বিদ্যমান। ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো কোনো দেশে ঘুষ আদান-প্রদান করলে আইনের চোখে তা দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশে ব্যবসা শুরুর পূর্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘুষ প্রদানের কথা তুলে ধরা হয়। এটা ফরেন বিনিয়োগকারীদের জন্য সে দেশে বিনিয়োগে অন্যতম একটি বাধা বলা হয়েছে।
তাছাড়া দেশটির আইনশৃংখলা বাহিনী, আমলাদের পাশাপাশি রাজনীতিবিদরাও ক্ষমতার অপব্যবহার করেন বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়। এসব নেতা অনেকের মাঝে জবাবদিহিতা এবং সচ্ছতার অভাব রয়েছে। ব্রিটেনের প্রায় ১শ’ কোম্পানি বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিযোগ করেছে। এদের মধ্যে এইচএসবিসি ব্যাংক, ইউনিলিভার, জেএসকে প্রভৃতি বিখ্যাত কোম্পানি রয়েছে। বাংলাদেশে ব্যবসার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষার প্রচলন, ১১ দিনে ব্যবসা শুরু করার সুযোগ এবং ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পরিকল্পনাকে- বিনিয়োগের জন্য অনুকূল বলে উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশের বাজারে চীন এবং ভারত থেকে আসা স্বল্প দামে পণ্যসামগ্রী প্রভাব বিস্তার করে। সে ক্ষেত্রে ব্রিটিশ পণ্যের গুণগতমান, স্থানীয় মানুষের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পণ্যের দাম নির্ধারণ, বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের বিষয়গুলো মাথায় রেখে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো কাজ কররে তারা প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ভালো করবে তেমনটি নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়- বাংলাদেশ বিনিযোগের উজ্জ্বল ক্ষেত্র হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, জলবায়ু, জ্বালানি খাত। এসব খাতে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীদের এ খাতগুলোতে বিনিয়োগের কথা বলা হয়।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply