Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » প্রধানমন্ত্রীর অধীনেও সম্মত এই মুহূর্তে বিএনপির মূল লক্ষ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির অধীনে নির্বাচনে যেতেও আপত্তি নেই তাদের। তবে সেই নির্বাচন নিরপেক্ষ, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণভিত্তিক হওয়ার শতভাগ নিশ্চয়তা চায় তারা। আগাম নির্বাচনে সরকার সম্মত হলেই বিএনপি এ সংক্রান্ত রূপরেখা প্রকাশ করবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করেই সবকিছু চূড়ান্ত করতে চায় দলের হাইকমান্ড। বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য। এর আগে শনিবার রাতে এক মতবিনিময় সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক না হোক, যে কোনো নামে একটি ‘নিরপেক্ষ’ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ মধ্যবর্তী নির্বাচন চায় তার দল।’ বিএনপির থিঙ্কট্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজউদ্দীন আহমদ র বলেন, বর্তমান সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপতি স্বপদে থাকলেও নির্বাচনে আপত্তি নেই বিএনপির। তবে সেই নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সরকারকেই নিতে হবে। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সমঝোতা হতে হবে। তাহলে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। কারণ সবার মূল লক্ষ্য একটা- নিরপেক্ষ নির্বাচন। শনিবার রাতে দেয়া খালেদা জিয়ার ঘোষণার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, যৌক্তিক কারণেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি থেকে সরে আসে বিএনপি। তিনি বলেন, আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানটি বাতিল করে চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন। সরকারও আদালতের দোহাই দিয়েই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরে যাবে না। এ অবস্থায় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কথা বললে আদালত অবমাননার অভিযোগও তোলা হতে পারে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের বর্তমান অবস্থানকে তিনি যৌক্তিক বলে মনে করেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর আগে খালেদা জিয়া নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানালেও এবারের প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন। বিএনপি চেয়ারপারসনের এমন বক্তব্য এবং দলের সার্বিক অবস্থান বিবেচনায় বড় ধরনের ছাড়ের ইঙ্গিত রয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির অধীনে নির্বাচনে যেতে আপত্তি নেই এটা সেই ছাড়ের ইঙ্গিত বহন করছে। এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন রোববার টেলিফোনে বলেন, আমরা সব সময়ই বলে আসছি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। সেই নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে যারাই থাকবেন তাদের নিরপেক্ষ হতে হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শীর্ষ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগও যদি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে তবে তাদের অধীনেও নির্বাচনে যেতে আপত্তি নেই বিএনপির। সূত্র জানায়, জ্বালাও-পোড়াও বা আন্দোলন করে সরকারকে হঠানো সম্ভব নয় এমন ধারণা পোষণ করেন দলের বেশির ভাগ নেতাকর্মী। যে কোনো কৌশলে সরকারকে আগাম নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে চাচ্ছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। সরকারকে নির্বাচন দিতে দেশী-বিদেশী চাপের পাশাপাশি বড় ধরনের ছাড় দিতেও রাজি তারা। দলটির কেউ কেউ মনে করেন, সরকারও সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করতে চায়। ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের বদনাম থেকেও মুক্তি পেতে চায় ক্ষমতাসীন দলের বড় একটি অংশ। তাই সরকারের এমন মনোভাব বুঝতে পেরে বিএনপিও বড় ধরনের ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ ব্যাপারে দলের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা ও দল সমর্থিত বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তারা প্রায় সবাই নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে মত দেন। প্রয়োজনে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া যায় কিনা সেই ব্যাপারে পরামর্শ দেন। সেই পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতেই খালেদা জিয়ার শনিবার রাতে এমন ঘোষণা দেন। হঠাৎ করেই খালেদা জিয়ার এমন ঘোষণা সম্পর্কে দলের স্থায়ী কমিটির দু’জন সদস্য ও চেয়ারপারসনের একজন উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হলে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, চেয়ারপারসন যে ঘোষণা দিয়েছেন তা বুঝেশুনেই দিয়েছেন। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটি এখন মৃত। আদালতের নির্দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটি বাতিল করা হয়েছে। আদালতের রায়ের পর যদিও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে কথা বলা হয় তাহলে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠতে পারে। সে কারণেই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে এসেছে বিএনপি চেয়ারপারসন। ওই নেতারা আরও বলেন, আসলেই আদালতের ভয়েই যে শুধু নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন সরে এসেছেন, তা নয়। বর্তমান অবস্থায় কমপক্ষে দেশের শতকরা ৭০ ভাগ ভোটার বিএনপির পক্ষে। এই পরিস্থিতিতে সরকার নির্বাচন দিলে তাতে বিএনপি ভালো ফল করবে। বিএনপির দুর্বল সাংগঠনিক অবস্থাও শক্তিশালী হবে। তাই সংগঠনের ভিত মজবুত করতে নির্বাচনমুখী দল হিসেবে বিএনপি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে নিজ দল ছাড়াও সাধারণ ভোটারদের বড় একটি অংশের সমর্থন রয়েছে তাদের প্রতি। বিগত কয়েকটি নির্বাচনের ফলাফল এবং মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন জরিপ চালিয়ে এমন তথ্যের প্রমাণও পেয়েছেন তারা। সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই বিপুল ভোটে বিজয় নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন নেতারা। তাদের মতে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চরম ভরাডুবির আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি ক্ষমতাসীনরা বুঝতেও পারছেন। তাই সরকার নির্বাচন দিতে চাচ্ছে না। নির্বাচনে যাতে বিএনপি অংশ না নেয় সেজন্য নেয়া হয় নানা কৌশল। সেই কৌশলের অংশ হিসেবেই সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান তুলে দেয়া হয়। ক্ষমতায় থেকেই নির্বাচন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যাতে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেয়। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সরকারের সেই কৌশলেই পা দিয়েছে বিএনপি। মাঠের ভোটাররা বিএনপির পক্ষে থাকার পরও গত বছরের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেয়নি তারা। নির্বাচনে অংশ না নেয়ার বিষয়ে দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মতবিরোধ আছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিএনপি ওই নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বড় ধরনের ভুল করেছে। নির্বাচনে অংশ নিলেই মাঠের চিত্র পাল্টে যেত। নির্বাচনে পরাজয় হলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে তাদের অস্তিত্ব এতটা বিলীন হতো না। সংসদে বিরোধী দল হিসেবে শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে পারত। সেই ভুল শুধরানোর জন্যই এবার বড় ধরনের ছাড় দিয়েও নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী দলের হাইকমান্ড। সে অনুযায়ীই চলছে হোমওয়ার্ক।




   প্রধানমন্ত্রীর অধীনেও সম্মত


এই মুহূর্তে বিএনপির মূল লক্ষ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির অধীনে নির্বাচনে যেতেও আপত্তি নেই তাদের। তবে সেই নির্বাচন নিরপেক্ষ, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণভিত্তিক হওয়ার শতভাগ নিশ্চয়তা চায় তারা। আগাম নির্বাচনে সরকার সম্মত হলেই বিএনপি এ সংক্রান্ত রূপরেখা প্রকাশ করবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করেই সবকিছু চূড়ান্ত করতে চায় দলের হাইকমান্ড। বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
এর আগে শনিবার রাতে এক মতবিনিময় সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক না হোক, যে কোনো নামে একটি ‘নিরপেক্ষ’ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ মধ্যবর্তী নির্বাচন চায় তার দল।’ বিএনপির থিঙ্কট্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজউদ্দীন আহমদ র   বলেন, বর্তমান সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপতি স্বপদে থাকলেও নির্বাচনে আপত্তি নেই বিএনপির। তবে সেই নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সরকারকেই নিতে হবে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সমঝোতা হতে হবে। তাহলে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। কারণ সবার মূল লক্ষ্য একটা- নিরপেক্ষ নির্বাচন।
শনিবার রাতে দেয়া খালেদা জিয়ার ঘোষণার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে ড. এমাজউদ্দীন আহমদ   বলেন, যৌক্তিক কারণেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি থেকে সরে আসে বিএনপি। তিনি বলেন, আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানটি বাতিল করে চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন। সরকারও আদালতের দোহাই দিয়েই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরে যাবে না। এ অবস্থায় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কথা বললে আদালত অবমাননার অভিযোগও তোলা হতে পারে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের বর্তমান অবস্থানকে তিনি যৌক্তিক বলে মনে করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর আগে খালেদা জিয়া নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানালেও এবারের প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন। বিএনপি চেয়ারপারসনের এমন বক্তব্য এবং দলের সার্বিক অবস্থান বিবেচনায় বড় ধরনের ছাড়ের ইঙ্গিত রয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির অধীনে নির্বাচনে যেতে আপত্তি নেই এটা সেই ছাড়ের ইঙ্গিত বহন করছে।
এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন রোববার টেলিফোনে   বলেন, আমরা সব সময়ই বলে আসছি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। সেই নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে যারাই থাকবেন তাদের নিরপেক্ষ হতে হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শীর্ষ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগও যদি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে তবে তাদের অধীনেও নির্বাচনে যেতে আপত্তি নেই বিএনপির।
সূত্র জানায়, জ্বালাও-পোড়াও বা আন্দোলন করে সরকারকে হঠানো সম্ভব নয় এমন ধারণা পোষণ করেন দলের বেশির ভাগ নেতাকর্মী। যে কোনো কৌশলে সরকারকে আগাম নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে চাচ্ছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। সরকারকে নির্বাচন দিতে দেশী-বিদেশী চাপের পাশাপাশি বড় ধরনের ছাড় দিতেও রাজি তারা। দলটির কেউ কেউ মনে করেন, সরকারও সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করতে চায়। ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের বদনাম থেকেও মুক্তি পেতে চায় ক্ষমতাসীন দলের বড় একটি অংশ। তাই সরকারের এমন মনোভাব বুঝতে পেরে বিএনপিও বড় ধরনের ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ ব্যাপারে দলের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা ও দল সমর্থিত বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তারা প্রায় সবাই নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে মত দেন। প্রয়োজনে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া যায় কিনা সেই ব্যাপারে পরামর্শ দেন।
সেই পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতেই খালেদা জিয়ার শনিবার রাতে এমন ঘোষণা দেন। হঠাৎ করেই খালেদা জিয়ার এমন ঘোষণা সম্পর্কে দলের স্থায়ী কমিটির দু’জন সদস্য ও চেয়ারপারসনের একজন উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হলে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে   জানান, চেয়ারপারসন যে ঘোষণা দিয়েছেন তা বুঝেশুনেই দিয়েছেন। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটি এখন মৃত। আদালতের নির্দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটি বাতিল করা হয়েছে। আদালতের রায়ের পর যদিও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে কথা বলা হয় তাহলে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠতে পারে। সে কারণেই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে এসেছে বিএনপি চেয়ারপারসন।
ওই নেতারা আরও বলেন, আসলেই আদালতের ভয়েই যে শুধু নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন সরে এসেছেন, তা নয়। বর্তমান অবস্থায় কমপক্ষে দেশের শতকরা ৭০ ভাগ ভোটার বিএনপির পক্ষে। এই পরিস্থিতিতে সরকার নির্বাচন দিলে তাতে বিএনপি ভালো ফল করবে। বিএনপির দুর্বল সাংগঠনিক অবস্থাও শক্তিশালী হবে। তাই সংগঠনের ভিত মজবুত করতে নির্বাচনমুখী দল হিসেবে বিএনপি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে নিজ দল ছাড়াও সাধারণ ভোটারদের বড় একটি অংশের সমর্থন রয়েছে তাদের প্রতি। বিগত কয়েকটি নির্বাচনের ফলাফল এবং মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন জরিপ চালিয়ে এমন তথ্যের প্রমাণও পেয়েছেন তারা। সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই বিপুল ভোটে বিজয় নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন নেতারা। তাদের মতে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চরম ভরাডুবির আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি ক্ষমতাসীনরা বুঝতেও পারছেন। তাই সরকার নির্বাচন দিতে চাচ্ছে না। নির্বাচনে যাতে বিএনপি অংশ না নেয় সেজন্য নেয়া হয় নানা কৌশল। সেই কৌশলের অংশ হিসেবেই সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান তুলে দেয়া হয়। ক্ষমতায় থেকেই নির্বাচন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যাতে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেয়।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সরকারের সেই কৌশলেই পা দিয়েছে বিএনপি। মাঠের ভোটাররা বিএনপির পক্ষে থাকার পরও গত বছরের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেয়নি তারা। নির্বাচনে অংশ না নেয়ার বিষয়ে দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মতবিরোধ আছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিএনপি ওই নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বড় ধরনের ভুল করেছে। নির্বাচনে অংশ নিলেই মাঠের চিত্র পাল্টে যেত। নির্বাচনে পরাজয় হলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে তাদের অস্তিত্ব এতটা বিলীন হতো না। সংসদে বিরোধী দল হিসেবে শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে পারত। সেই ভুল শুধরানোর জন্যই এবার বড় ধরনের ছাড় দিয়েও নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী দলের হাইকমান্ড। সে অনুযায়ীই চলছে হোমওয়ার্ক।







«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply