Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » বাড়িতে টিভি ছিল না আবদুল কালামের। অল ইন্ডিয়া রেডিও শুনতেন তিনি। জানালেন ২৪ বছর ধরে তাঁর পার্সোনাল সেক্রেটারির পদে কাজ করা হ্যারি শেরিডন। মৃত্যু সংবাদ বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তিনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যে মানুষটির ফিরে আসার কথা ছিল, পরের দিন সকালেই যে তাঁর মরদেহ ফিরবে তা তিনি কল্পনাতেই আনতে পারেননি। সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম ফোনটি আসে যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কালাম। পরের ফোনটিতেই আসে তাঁর মৃত্যুসংবাদ। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে হ্যারি বলেন, ‘স্যার বাড়িতে কোনদিনই টিভি রাখতেন না। সাধারণত রেডিও শুনতেন। বেশিরভাগ সময় অল ইন্ডিয়া রেডিও শুনতেন তিনি। সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে সাতটার মধ্যে দিন শুরু হতো তাঁর। রাত দু’টো পর্যন্ত জেগে থাকতেন স্যার।’ প্রতিদিন নিজের ই-মেইল চেক করতেন কালাম। প্রতি সপ্তাহেই কোথাও না কোথাও নিমন্ত্রণ পেতেন তিনি। নিয়মিত তাঁকে চেক করতে আসতেন তাঁর ফিজিশিয়ান। কিন্তু, কখনও কোনও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি। সবশেষে তিনি বলেন, ‘এপিজে কালাম স্যার খুব ভাল মানুষ ছিলেন। দেশে তাঁর মতো মানুষ আরও বেশি দরকার।’ ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর তামিলনাড়ুর একটি ছোট শহরে জন্ম কালামের। শহর ছোট্ট হলেও বড় স্বপ্ন নিয়েই পৃথিবীর পথে যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। তিনি বলতেন, ‘স্বপ্নকে হতে হবে বিশাল। জীবনে ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ একটি অপরাধ।’ সচ্ছলতার শৈশব ছিল না কালামের, খাবার জোটাতে আট বছর বয়সে তিনি খবরের কাগজও বিক্রি করেন। পরে বিজ্ঞানী হিসেবে নাম কুড়ালেও সেই শৈশবে পারস্যের কবি জালালউদ্দিন রুমির একটি কবিতাই কালামের হৃদয়ে স্বপ্নের বীজ বুনে দিয়েছিল, যে কবিতাটি গত বছর ঢাকার তরুণদের আবৃত্তি করে শোনান তিনি। সেই স্বপ্নের পথে ছুটে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করে ভারতের প্রথম মহাকাশ যান এসএলভি-৩ তৈরিতে প্রধান ভূমিকা রাখেন কালাম। ওই মহাকাশ যান দিয়েই ১৯৮০ সালে ভারত প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র রোহিনী উৎক্ষেপণ করে। ভারতের কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনা (স্ট্র্যাটেজিক মিসাইল সিস্টেমস) এবং ১৯৯৮ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষায়ও প্রধান ভূমিকা রাখেন এ বিজ্ঞানী। রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে তিনি প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় কাজ করেন। অবশ্য পরে নিজেকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রচারে যুক্ত করেন কালাম। কানাডা থেকে মেহেরপুরের কৃতি সন্তান সৈকত রুশদী জানান,বাবার অসুস্থতা আমার বাবা এ কে এম মনিরুল হক বেশ অসুস্থ। সোমবার প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধিজনিত অসুস্থতার চেকআপের পর ঢাকার কমফোর্ট হাসপাতালে আমাদের সামনেই স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। অচেতন অবস্থায় আইসিইউতে-তে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা লাইফ সাপোর্টের দেওয়ার জন্য বারবার জোরালো পরামর্শ দেন। আমরা আত্মীয় চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে তা' সিটি স্ক্যান হওয়া পর্যন্ত বিলম্বিত করি। আল্লাহর অশেষ রহমতে প্রায় ১৪ ঘন্টা পর তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে এবং অচল হয়ে যাওয়া শরীরের অর্ধাংশ সক্রিয় হয়ে ওঠে। কথাও বলতে শুরু করেন। বুধবার তাঁকে কেবিনে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্ট্রোকের আক্রমণের প্রভাব প্রায় ৮৫ শতাংশ কাটিয়ে উঠলেও তিনি ঝুঁকিমুক্ত নন এখনও। ৮৬ বছর বয়সের কারণে। অনেকেই বাবাকে দেখতে এসেছেন হাসপাতালে এবং টেলিফোন ও ফেসবুকে খবর নিয়েছেন। সকলের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। আপনারা তাঁর নিরাময়ের জন্য দোয়া করবেন। বাবার অসুস্থতার কারণে আমার ২৯ জুলাই সপরিবারে মেহেরপুর যাওয়ার পরিকল্পনা স্থগিত রাখতে হয়েছে। আগামী সপ্তাহে একদিনের জন্য যেতে পারি।




বাড়িতে টিভি ছিল না আবদুল কালামের। অল ইন্ডিয়া রেডিও শুনতেন তিনি। জানালেন ২৪ বছর ধরে তাঁর পার্সোনাল সেক্রেটারির পদে কাজ করা হ্যারি শেরিডন। মৃত্যু সংবাদ বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তিনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যে মানুষটির ফিরে আসার কথা ছিল, পরের দিন সকালেই যে তাঁর মরদেহ ফিরবে তা তিনি কল্পনাতেই আনতে পারেননি। সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম ফোনটি আসে যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কালাম। পরের ফোনটিতেই আসে তাঁর মৃত্যুসংবাদ।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে হ্যারি বলেন, ‘স্যার বাড়িতে কোনদিনই টিভি রাখতেন না। সাধারণত রেডিও শুনতেন। বেশিরভাগ সময় অল ইন্ডিয়া রেডিও শুনতেন তিনি। সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে সাতটার মধ্যে দিন শুরু হতো তাঁর। রাত দু’টো পর্যন্ত জেগে থাকতেন স্যার।’
প্রতিদিন নিজের ই-মেইল চেক করতেন কালাম। প্রতি সপ্তাহেই কোথাও না কোথাও নিমন্ত্রণ পেতেন তিনি। নিয়মিত তাঁকে চেক করতে আসতেন তাঁর ফিজিশিয়ান। কিন্তু, কখনও কোনও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি। সবশেষে তিনি বলেন, ‘এপিজে কালাম স্যার খুব ভাল মানুষ ছিলেন। দেশে তাঁর মতো মানুষ আরও বেশি দরকার।’
১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর তামিলনাড়ুর একটি ছোট শহরে জন্ম কালামের। শহর ছোট্ট হলেও বড় স্বপ্ন নিয়েই পৃথিবীর পথে যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। তিনি বলতেন, ‘স্বপ্নকে হতে হবে বিশাল। জীবনে ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ একটি অপরাধ।’ সচ্ছলতার শৈশব ছিল না কালামের, খাবার জোটাতে আট বছর বয়সে তিনি খবরের কাগজও বিক্রি করেন। পরে বিজ্ঞানী হিসেবে নাম কুড়ালেও সেই শৈশবে পারস্যের কবি জালালউদ্দিন রুমির একটি কবিতাই কালামের হৃদয়ে স্বপ্নের বীজ বুনে দিয়েছিল, যে কবিতাটি গত বছর ঢাকার তরুণদের আবৃত্তি করে শোনান তিনি।
সেই স্বপ্নের পথে ছুটে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করে ভারতের প্রথম মহাকাশ যান এসএলভি-৩ তৈরিতে প্রধান ভূমিকা রাখেন কালাম। ওই মহাকাশ যান দিয়েই ১৯৮০ সালে ভারত প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র রোহিনী উৎক্ষেপণ করে।
ভারতের কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনা (স্ট্র্যাটেজিক মিসাইল সিস্টেমস) এবং ১৯৯৮ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষায়ও প্রধান ভূমিকা রাখেন এ বিজ্ঞানী। রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে তিনি প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় কাজ করেন। অবশ্য পরে নিজেকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রচারে যুক্ত করেন কালাম।
কানাডা থেকে  মেহেরপুরের কৃতি সন্তান সৈকত রুশদী জানান,বাবার অসুস্থতা
আমার বাবা এ কে এম মনিরুল হক বেশ অসুস্থ। সোমবার প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধিজনিত অসুস্থতার চেকআপের পর ঢাকার কমফোর্ট হাসপাতালে আমাদের সামনেই স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। অচেতন অবস্থায় আইসিইউতে-তে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা লাইফ সাপোর্টের দেওয়ার জন্য বারবার জোরালো পরামর্শ দেন। আমরা আত্মীয় চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে তা' সিটি স্ক্যান হওয়া পর্যন্ত বিলম্বিত করি। আল্লাহর অশেষ রহমতে প্রায় ১৪ ঘন্টা পর তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে এবং অচল হয়ে যাওয়া শরীরের অর্ধাংশ সক্রিয় হয়ে ওঠে। কথাও বলতে শুরু করেন। বুধবার তাঁকে কেবিনে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্ট্রোকের আক্রমণের প্রভাব প্রায় ৮৫ শতাংশ কাটিয়ে উঠলেও তিনি ঝুঁকিমুক্ত নন এখনও। ৮৬ বছর বয়সের কারণে।
অনেকেই বাবাকে দেখতে এসেছেন হাসপাতালে এবং টেলিফোন ও ফেসবুকে খবর নিয়েছেন। সকলের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। আপনারা তাঁর নিরাময়ের জন্য দোয়া করবেন।
বাবার অসুস্থতার কারণে আমার ২৯ জুলাই সপরিবারে মেহেরপুর যাওয়ার পরিকল্পনা স্থগিত রাখতে হয়েছে। আগামী সপ্তাহে একদিনের জন্য যেতে পারি।







«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply